নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
‘ভোর হলো, দোর খোল, খুকুমণি ওঠ রে! ঐ ডাকে, জুঁই-শাখে, ফুল-খুকী ছোট রে!’—এমন আদর করে কচি-কোমল শিশুদের ঘুম ভাঙানোর উপায় বাতলে দিয়েছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর? তিনি তো শিশুদের ভাসিয়েছেন কল্পনার রঙিন এক ভুবনে। কবিগুরু ‘বীরপুরুষ’ কবিতায় লিখেছেন, ‘মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে, মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে। তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে…’
রবীন্দ্র-নজরুলের ধ্যানজ্ঞান যদিও শিশুতোষ সাহিত্য ছিল না, তবু এ ক্ষেত্রে তাঁদের সাধনার ফসল একেবারে কম নয়। অথচ একুশে বইমেলায় তাঁদের লেখা বই প্রায় নেই বললেই চলে। গতকাল শনিবার মেলার শিশু চত্বর ঘুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা শিশুতোষ কোনো বই পাওয়া যায়নি। ঝিঙেফুল প্রকাশনীতে রবীন্দ্রনাথের একটি বই পাওয়া গেছে।
নজরুল লেখা পিলেপটকা, খাদু দাদু, লিচু চোর, মটকুল মাইতি, খুকি ও কাঠবিড়ালী, সংকল্প এবং রবীন্দ্রনাথের বীরপুরুষ, জন্মকথা, শিশু, খাপছাড়া, শিশু ভোলানাথ, বলাই, পোস্টমাস্টার, রতন কিংবা ছুটি না পড়ে একটা প্রজন্ম বেড়ে উঠবে, তা মানতে পারছেন না অভিভাবকেরা। তাঁরা বইমেলায় এসব বই নিয়ে আসার আহ্বান জানান। শনিবার মেলার শিশুপ্রহরে ঘুরতে আসেন নওগাঁর রানীনগরের রবিউল সরদার। তিনি বলেন, ‘বইমেলায় নজরুল কিংবা রবীন্দ্রনাথের লেখা ছড়া, কবিতা বা গল্পের কোনো বই নেই। এমনকি তাঁদের নিয়েও শিশুতোষ কোনো বই আসেনি। বিষয়টা বুঝতে পেরে কষ্টও পেলাম। আমি আমার সন্তানদের জন্য বই কিনতে এসেছিলাম।’
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডক্টর জাফর ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের জন্য অনেক অনেক বই আসছে, তবে সেগুলো কতটা মানসম্পন্ন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। নজরুল বা রবীন্দ্রনাথের বই না থাকাটা দুঃখজনক।’
প্রকাশকেরা জানান, শনিবার শিশুপ্রহরে প্রত্যাশা অনুযায়ী বই বিক্রি হয়েছে। বিক্রির তালিকায় শীর্ষে ছিল রূপকথা, ভূতের গল্প, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, বিদেশি কার্টুনের বিভিন্ন চরিত্র অবলম্বনে লেখা ছোট বইগুলো। জনতা প্রকাশ স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি তামান্না আখতার বলেন, ‘মিস্টার বিন, সিনড্রেলা, আলাদিন বা আঁকার বইয়ের দিকে শিশু ও অভিভাবকের ঝোঁক বেশি। তবে রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করিয়ে দেওয়াতে আমাদের ঘাটতি আছে, এটা ঠিক।’ এবার মেলায় শিশুতোষ বইয়ের মধ্যে অন্যতম ফ্লোরেন্স সাকাদের লেখার অনুবাদ ‘জাপানি শিশু গল্পগুচ্ছ’। রহিম ওয়াহিদের এ অনুবাদ বই স্থান পেয়েছে বাংলা একাডেমির স্টলে, যার মলাট মূল্য ১২০ টাকা। শিশু চত্বরের ঝিঙেফুল প্রকাশনীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্বাচিত শিশু-কিশোর সংকলন ‘রবি কিশোর’ ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বইটির মলাট মূল্য ৫৫০ টাকা।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেসরকারিভাবে বইয়ের সংখ্যা কম হলেও বাংলা একাডেমিতে আমাদের স্টলে নজরুলের পর্যাপ্ত বই আছে। বই প্রকাশে কপিরাইটসংক্রান্ত ঝামেলা নেই। প্রকাশকেরা তা-ও কেন প্রকাশ করেন না, তা জানি না।’ রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘প্রকাশনীগুলো চাইলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নিয়ে সংকলন বের করতে পারে। এটা ভিন্নমাত্রা যোগ করবে।’
ঝিঙেফুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা একটি বই এনেছি। সবাই যদি এমন দু-একটি বইও নিয়ে আসত, তবে সংখ্যাটা বড় হতো। সামনে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে সবাইকেই।’ এদিকে শনিবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১১৯টি।
‘ভোর হলো, দোর খোল, খুকুমণি ওঠ রে! ঐ ডাকে, জুঁই-শাখে, ফুল-খুকী ছোট রে!’—এমন আদর করে কচি-কোমল শিশুদের ঘুম ভাঙানোর উপায় বাতলে দিয়েছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর? তিনি তো শিশুদের ভাসিয়েছেন কল্পনার রঙিন এক ভুবনে। কবিগুরু ‘বীরপুরুষ’ কবিতায় লিখেছেন, ‘মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে, মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে। তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে…’
রবীন্দ্র-নজরুলের ধ্যানজ্ঞান যদিও শিশুতোষ সাহিত্য ছিল না, তবু এ ক্ষেত্রে তাঁদের সাধনার ফসল একেবারে কম নয়। অথচ একুশে বইমেলায় তাঁদের লেখা বই প্রায় নেই বললেই চলে। গতকাল শনিবার মেলার শিশু চত্বর ঘুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা শিশুতোষ কোনো বই পাওয়া যায়নি। ঝিঙেফুল প্রকাশনীতে রবীন্দ্রনাথের একটি বই পাওয়া গেছে।
নজরুল লেখা পিলেপটকা, খাদু দাদু, লিচু চোর, মটকুল মাইতি, খুকি ও কাঠবিড়ালী, সংকল্প এবং রবীন্দ্রনাথের বীরপুরুষ, জন্মকথা, শিশু, খাপছাড়া, শিশু ভোলানাথ, বলাই, পোস্টমাস্টার, রতন কিংবা ছুটি না পড়ে একটা প্রজন্ম বেড়ে উঠবে, তা মানতে পারছেন না অভিভাবকেরা। তাঁরা বইমেলায় এসব বই নিয়ে আসার আহ্বান জানান। শনিবার মেলার শিশুপ্রহরে ঘুরতে আসেন নওগাঁর রানীনগরের রবিউল সরদার। তিনি বলেন, ‘বইমেলায় নজরুল কিংবা রবীন্দ্রনাথের লেখা ছড়া, কবিতা বা গল্পের কোনো বই নেই। এমনকি তাঁদের নিয়েও শিশুতোষ কোনো বই আসেনি। বিষয়টা বুঝতে পেরে কষ্টও পেলাম। আমি আমার সন্তানদের জন্য বই কিনতে এসেছিলাম।’
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডক্টর জাফর ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের জন্য অনেক অনেক বই আসছে, তবে সেগুলো কতটা মানসম্পন্ন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। নজরুল বা রবীন্দ্রনাথের বই না থাকাটা দুঃখজনক।’
প্রকাশকেরা জানান, শনিবার শিশুপ্রহরে প্রত্যাশা অনুযায়ী বই বিক্রি হয়েছে। বিক্রির তালিকায় শীর্ষে ছিল রূপকথা, ভূতের গল্প, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, বিদেশি কার্টুনের বিভিন্ন চরিত্র অবলম্বনে লেখা ছোট বইগুলো। জনতা প্রকাশ স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি তামান্না আখতার বলেন, ‘মিস্টার বিন, সিনড্রেলা, আলাদিন বা আঁকার বইয়ের দিকে শিশু ও অভিভাবকের ঝোঁক বেশি। তবে রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করিয়ে দেওয়াতে আমাদের ঘাটতি আছে, এটা ঠিক।’ এবার মেলায় শিশুতোষ বইয়ের মধ্যে অন্যতম ফ্লোরেন্স সাকাদের লেখার অনুবাদ ‘জাপানি শিশু গল্পগুচ্ছ’। রহিম ওয়াহিদের এ অনুবাদ বই স্থান পেয়েছে বাংলা একাডেমির স্টলে, যার মলাট মূল্য ১২০ টাকা। শিশু চত্বরের ঝিঙেফুল প্রকাশনীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্বাচিত শিশু-কিশোর সংকলন ‘রবি কিশোর’ ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বইটির মলাট মূল্য ৫৫০ টাকা।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেসরকারিভাবে বইয়ের সংখ্যা কম হলেও বাংলা একাডেমিতে আমাদের স্টলে নজরুলের পর্যাপ্ত বই আছে। বই প্রকাশে কপিরাইটসংক্রান্ত ঝামেলা নেই। প্রকাশকেরা তা-ও কেন প্রকাশ করেন না, তা জানি না।’ রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘প্রকাশনীগুলো চাইলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নিয়ে সংকলন বের করতে পারে। এটা ভিন্নমাত্রা যোগ করবে।’
ঝিঙেফুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা একটি বই এনেছি। সবাই যদি এমন দু-একটি বইও নিয়ে আসত, তবে সংখ্যাটা বড় হতো। সামনে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে সবাইকেই।’ এদিকে শনিবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১১৯টি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪