মো. শামীম হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী)
প্রায় ২০ বছর ধরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে রয়েছেন প্রথম শ্রেণির পৌরসভার বাসিন্দারা। তলিয়ে গেছে অলিগলির সড়কগুলো। শুধু সড়ক নয়, পানিতে তালিয়ে গেছে রান্নাঘর, নলকূপ ও টয়লেট। বসতঘরেও উঠে গেছে পানি। ঘরের তালা বদ্ধ করে অনেকেই চলে গেছেন স্বজনদের বাড়িতে। কারও কারও বসতঘরে প্রবেশ করতে কাপড় তুলতে হয় হাঁটুর ওপরে।
সম্প্রতি বৃষ্টিতে কয়েক দফায় এমন নাজেহাল অবস্থা রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভার। প্রতি বর্ষা মৌসুমে এমন দুর্ভোগে দিন কাটে পৌরবাসীর। গতকাল পৌর শহরের মৈশালা, কুরাপাড়া, বৈরাগীপাড়া, সত্যজিৎপুর, মাগুরাডাঙ্গী, কলেজপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ সময় পৌরবাসী সেন্টু সরকার বলেন, রান্নাঘরে পানি উঠে চুলা তলিয়ে গেছে। ২-৩ দিন তাঁর বাড়িতে রান্না হয় না। ঘরের খাটের নিচ দিয়ে পানি। নেই বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির ব্যবস্থা। প্রায় ২০ বছর হয়েছে বর্ষা মৌসুমে এমন নাজেহাল অবস্থায় দিন কাটাতে হয়।
অন্যান্য ভুক্তভোগী জানান, বিভিন্ন সময় ঘরের মধ্যে সাপ প্রবেশ করে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। সব সময় পানির মধ্যে চলাচল করতে হয়। পায়ে ঘাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এক দিন বৃষ্টি হলে পানি শুকাতে অনেক দিন লাগে। চলাচলের রাস্তাগুলোও তলিয়ে গেছে। এই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে কবে মুক্তি হবে জানেন না কেউ।
শুধু পৌর নাগরিকেরাই নয়, জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পায়নি সরকারি অফিসও। একটু বৃষ্টি হলেই সরকারি খাদ্যগুদাম চত্বরেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
এদিকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি বর্ষা মৌসুমে হলেও পৌর সড়কের ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি উপজেলাবাসীর। খানাখন্দে ভরা পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক। দেখে মনে হয়, যেন যুগের পর যুগ সড়কগুলোতে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। খানাখন্দে ঝাঁকুনিতে কাহিল যাত্রী ও চালকেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র সড়কে খানাখন্দের ঝাঁকুনিতে ভালো মানুষও রোগী হয়ে যায়। প্রায় ৮-১০ বছর ধরে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে এই সড়ক। দ্রুত সংস্কারের দাবি উপজেলাবাসীর।
এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রধান আনিসুর রহমান বলেন, ‘আজকে আমাদের মাসিক সভা হয়েছে। সভার বিভিন্ন কাউন্সিলররা তাঁদের এলাকার জলাবদ্ধতার কথা উপস্থাপন করেছেন। স্থানগুলো পরিদর্শন করে যত দ্রুত সম্ভব পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করব।’
প্রায় ২০ বছর ধরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে রয়েছেন প্রথম শ্রেণির পৌরসভার বাসিন্দারা। তলিয়ে গেছে অলিগলির সড়কগুলো। শুধু সড়ক নয়, পানিতে তালিয়ে গেছে রান্নাঘর, নলকূপ ও টয়লেট। বসতঘরেও উঠে গেছে পানি। ঘরের তালা বদ্ধ করে অনেকেই চলে গেছেন স্বজনদের বাড়িতে। কারও কারও বসতঘরে প্রবেশ করতে কাপড় তুলতে হয় হাঁটুর ওপরে।
সম্প্রতি বৃষ্টিতে কয়েক দফায় এমন নাজেহাল অবস্থা রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভার। প্রতি বর্ষা মৌসুমে এমন দুর্ভোগে দিন কাটে পৌরবাসীর। গতকাল পৌর শহরের মৈশালা, কুরাপাড়া, বৈরাগীপাড়া, সত্যজিৎপুর, মাগুরাডাঙ্গী, কলেজপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ সময় পৌরবাসী সেন্টু সরকার বলেন, রান্নাঘরে পানি উঠে চুলা তলিয়ে গেছে। ২-৩ দিন তাঁর বাড়িতে রান্না হয় না। ঘরের খাটের নিচ দিয়ে পানি। নেই বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির ব্যবস্থা। প্রায় ২০ বছর হয়েছে বর্ষা মৌসুমে এমন নাজেহাল অবস্থায় দিন কাটাতে হয়।
অন্যান্য ভুক্তভোগী জানান, বিভিন্ন সময় ঘরের মধ্যে সাপ প্রবেশ করে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। সব সময় পানির মধ্যে চলাচল করতে হয়। পায়ে ঘাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এক দিন বৃষ্টি হলে পানি শুকাতে অনেক দিন লাগে। চলাচলের রাস্তাগুলোও তলিয়ে গেছে। এই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে কবে মুক্তি হবে জানেন না কেউ।
শুধু পৌর নাগরিকেরাই নয়, জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পায়নি সরকারি অফিসও। একটু বৃষ্টি হলেই সরকারি খাদ্যগুদাম চত্বরেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
এদিকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি বর্ষা মৌসুমে হলেও পৌর সড়কের ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি উপজেলাবাসীর। খানাখন্দে ভরা পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক। দেখে মনে হয়, যেন যুগের পর যুগ সড়কগুলোতে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। খানাখন্দে ঝাঁকুনিতে কাহিল যাত্রী ও চালকেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র সড়কে খানাখন্দের ঝাঁকুনিতে ভালো মানুষও রোগী হয়ে যায়। প্রায় ৮-১০ বছর ধরে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে এই সড়ক। দ্রুত সংস্কারের দাবি উপজেলাবাসীর।
এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রধান আনিসুর রহমান বলেন, ‘আজকে আমাদের মাসিক সভা হয়েছে। সভার বিভিন্ন কাউন্সিলররা তাঁদের এলাকার জলাবদ্ধতার কথা উপস্থাপন করেছেন। স্থানগুলো পরিদর্শন করে যত দ্রুত সম্ভব পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪