Ajker Patrika

বন্যায় ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ১১
বন্যায় ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে এ বছরের বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ সদর, চুকাইবাড়ি, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতীভাঙা, ডাংধরাসহ ৮টি ইউনিয়নে এ ক্ষতি হয়। বন্যার পানিতে আমন ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন এসব ইউনিয়নের কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা বন্যায় ১০ হাজার ৩৭৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় নিমজ্জিত ফসলি জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ১ হাজার ৬০০ হেক্টর।

আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ১ হাজার ৯০০ হেক্টর। আংশিক ক্ষতির হার শতকরা ২৫ ভাগ। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আমনের উৎপাদন হতো ৩ হাজার ৩১ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি ৪০ টাকা হিসেবে যার মূল্য ১২ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

চর কালিকাপুর গ্রামের কৃষক মো. আসলাম হোসেন জানান, এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় তাঁরা ভাদ্র মাসে ধানের চারা রোপণ করেন। তাঁদের ধারণা ছিল এ বছর বন্যা হবে না। চিকাজানী ইউনিয়নের খোলাবাড়ী গ্রামের কৃষক মোতালেব মিয়া বলেন, ‘ভাদ্র মাসে চারা রোপণের পর থেকেই বন্যার ভয়টা করছিলাম। বন্যায় আমার প্রায় ৫ বিঘা আমন ধান নষ্ট হয়েছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রতিবেদন এবং প্রণোদনার জন্য তাঁদের চাহিদা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে সহায়তা দিতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত