অভিজিৎ সাহা, নালিতাবাড়ী
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ১৯টি পণ্য আমদানির কথা থাকলেও বর্তমানে শুধু পাথর আমদানির মধ্যে সীমাবদ্ধ বন্দরটি। ভারত ও ভুটান থেকে শুধু পাথর আমদানি করা হচ্ছে এই বন্দর দিয়ে। অথচ সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে নাকুগাঁও স্থলবন্দরে।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সহজে বিক্রয় ও লাভজনক পণ্যের অনুমতি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সকল পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। পণ্যগুলো আমদানি করা গেলে দেশের রাজস্ব আয় বাড়বে। অনুমতি চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বারবার আবেদন করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, বন্দরটির ওপারেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। সেখান থেকে শুঁটকি, খৈল, সুপারি ও পশুখাদ্য আমদানি করা সহজ এবং লাভজনক।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সাল থেকে নাকুগাঁও শুল্ক বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ২০০২ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বন্দর দিয়ে কয়লা ও পাথর ছাড়া সব পণ্য আমদানি বন্ধ করা হয়। পরে ২০০৯ সালে ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বন্দরটি পরিদর্শন করে এটিকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালুর ঘোষণা দেন।
প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমির ওপর ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এর অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নাকুগাঁও থেকে নকলা উপজেলা পর্যন্ত সাড়ে ২৯ কিলোমিটারের সড়কের কাজ করা হয়। ২০১৫ সালের ১৮ জুন নাকুগাঁও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব পরিচালনায় অপারেশন শুরু করে। কার্যক্রম শুরুর দিকে কয়লা আমদানি করা হলেও পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এ বন্দর দিয়ে শুধুই পাথর আমদানি করা হচ্ছে।
নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির অনুমতি থাকা পণ্যগুলো হচ্ছে গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছড়া, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে ও কোয়ার্টজ। এত কিছু পণ্যের আমদানির কথা থাকলেও ভারত ও ভুটান থেকে শুধু পাথরেই সীমাবদ্ধ এই বন্দর।
এ বন্দরে শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন প্রায় ৮০০ শ্রমিক। এ ছাড়া দিন হিসেবে কাজ করেন আরও প্রায় এক হাজার শ্রমিক। পণ্য কম আমদানি হওয়ায় বেকার হয়ে পড়ছেন তাঁরা।
বন্দরে কর্মরত শ্রমিকেরা জানান, এখন শুধু বন্দর দিয়ে পাথর আসছে, আগে কয়লা আসত। যদি কয়লাসহ অন্যান্য মালামাল আনা হতো এই বন্দর দিয়ে, তাহলে শ্রমিকদের অনেক ভালো হতো।
শ্রমিক রুহুল আমীন বলেন, ‘আগে তাও কয়লা আইতো, এখন আর আসে না। কয়লা আইলে আমাগোর ইনকাম ভালো হয়। কিন্তু এহন শুধু পাথর আসে। যদি কয়লাসহ অন্যান্য জিনিস আনা হয়, তাহলে আমাগোর ইনকাম বেশি হবে, পাশাপাশি মেলা মানুষ কাজের সুযোগ পাব।’
শ্রমিক ওসমান গণি বলেন, ‘ আরও কয়েকটা আইটেম নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হলে আমরা খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারব। ’
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘বর্তমানে ভারত থেকে পাথর আমদানি করা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণে কয়লা আসে। যেসব পণ্য আমদানি করা সহজ হবে, সেসব পণ্য আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এ বন্দরের ওপারেই মেঘালয় রাজ্য থাকায় সেখান থেকে শুঁটকি মাছ, খৈল, সুপারি ও পশুখাদ্য আমদানি করা সহজ এবং লাভজনক হবে।’
বন্দরটির সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজেশ চাকমা বলেন, ‘বন্দর দিয়ে অনুমোদিত ১৯টি পণ্য আমদানি ও নিষিদ্ধ ব্যতীত সব পণ্য রপ্তানি করা যাবে। তবে যেসব পণ্য আমদানি করে রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন, সেজন্য নিয়মানুযায়ী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।’
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ১৯টি পণ্য আমদানির কথা থাকলেও বর্তমানে শুধু পাথর আমদানির মধ্যে সীমাবদ্ধ বন্দরটি। ভারত ও ভুটান থেকে শুধু পাথর আমদানি করা হচ্ছে এই বন্দর দিয়ে। অথচ সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে নাকুগাঁও স্থলবন্দরে।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সহজে বিক্রয় ও লাভজনক পণ্যের অনুমতি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সকল পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। পণ্যগুলো আমদানি করা গেলে দেশের রাজস্ব আয় বাড়বে। অনুমতি চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বারবার আবেদন করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, বন্দরটির ওপারেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। সেখান থেকে শুঁটকি, খৈল, সুপারি ও পশুখাদ্য আমদানি করা সহজ এবং লাভজনক।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সাল থেকে নাকুগাঁও শুল্ক বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ২০০২ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বন্দর দিয়ে কয়লা ও পাথর ছাড়া সব পণ্য আমদানি বন্ধ করা হয়। পরে ২০০৯ সালে ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বন্দরটি পরিদর্শন করে এটিকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালুর ঘোষণা দেন।
প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমির ওপর ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এর অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নাকুগাঁও থেকে নকলা উপজেলা পর্যন্ত সাড়ে ২৯ কিলোমিটারের সড়কের কাজ করা হয়। ২০১৫ সালের ১৮ জুন নাকুগাঁও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব পরিচালনায় অপারেশন শুরু করে। কার্যক্রম শুরুর দিকে কয়লা আমদানি করা হলেও পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এ বন্দর দিয়ে শুধুই পাথর আমদানি করা হচ্ছে।
নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির অনুমতি থাকা পণ্যগুলো হচ্ছে গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছড়া, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে ও কোয়ার্টজ। এত কিছু পণ্যের আমদানির কথা থাকলেও ভারত ও ভুটান থেকে শুধু পাথরেই সীমাবদ্ধ এই বন্দর।
এ বন্দরে শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন প্রায় ৮০০ শ্রমিক। এ ছাড়া দিন হিসেবে কাজ করেন আরও প্রায় এক হাজার শ্রমিক। পণ্য কম আমদানি হওয়ায় বেকার হয়ে পড়ছেন তাঁরা।
বন্দরে কর্মরত শ্রমিকেরা জানান, এখন শুধু বন্দর দিয়ে পাথর আসছে, আগে কয়লা আসত। যদি কয়লাসহ অন্যান্য মালামাল আনা হতো এই বন্দর দিয়ে, তাহলে শ্রমিকদের অনেক ভালো হতো।
শ্রমিক রুহুল আমীন বলেন, ‘আগে তাও কয়লা আইতো, এখন আর আসে না। কয়লা আইলে আমাগোর ইনকাম ভালো হয়। কিন্তু এহন শুধু পাথর আসে। যদি কয়লাসহ অন্যান্য জিনিস আনা হয়, তাহলে আমাগোর ইনকাম বেশি হবে, পাশাপাশি মেলা মানুষ কাজের সুযোগ পাব।’
শ্রমিক ওসমান গণি বলেন, ‘ আরও কয়েকটা আইটেম নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হলে আমরা খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারব। ’
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘বর্তমানে ভারত থেকে পাথর আমদানি করা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণে কয়লা আসে। যেসব পণ্য আমদানি করা সহজ হবে, সেসব পণ্য আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এ বন্দরের ওপারেই মেঘালয় রাজ্য থাকায় সেখান থেকে শুঁটকি মাছ, খৈল, সুপারি ও পশুখাদ্য আমদানি করা সহজ এবং লাভজনক হবে।’
বন্দরটির সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজেশ চাকমা বলেন, ‘বন্দর দিয়ে অনুমোদিত ১৯টি পণ্য আমদানি ও নিষিদ্ধ ব্যতীত সব পণ্য রপ্তানি করা যাবে। তবে যেসব পণ্য আমদানি করে রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন, সেজন্য নিয়মানুযায়ী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪