Ajker Patrika

বাবুগঞ্জে থামানো যাচ্ছে না অবৈধভাবে বালু তোলা

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১৩: ৫৭
Thumbnail image

বাবুগঞ্জে খাল ও পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ছে। গত রোববার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালু তোলা বন্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করা হলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব ড্রেজার দিয়ে গ্রামাঞ্চলের খাল, বিল ও পুকুর থেকে যত্রতত্র ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। বছরের পর বছর ধরে ড্রেজার মালিকেরা এ অবৈধ কাজটি করছেন।এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানালেও তা কাজে আসছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মালিকেরা ঘুরে ঘুরে গ্রামের পরিত্যক্ত খাল, ডোবা ও পুকুর থেকে বালু তুলছেন। উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের লাফাদি ও ফুলতলার মাঝামাঝি গাইনার খালে ড্রেজার বসিয়েছে হিরা ও মন্টু নামের দুই ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছে।

একই ইউনিয়নের পাংশা গ্রামের হায়দার আলীর পুকুর থেকে স্থানীয় কাজী পারভেজের নেতৃত্বে একটি চক্র বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে খবর পেয়ে গত রোববার রাতে পাংশা গ্রামের ড্রেজারের পাই ভেঙে দিয়ে আসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান।

ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার ব্যাপারে জানতে চাইলে বালু উত্তোলনকারী হিরা বলেন, ‘আমরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছি না। বৈধভাবে ভাবেই বালু উত্তোলন করছি।’

কাজী পারভেজের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কারও ড্রেজার দরকার হইলে ড্রেজার সরবরাহ করি।’

সম্প্রতি এসব ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বসতবাড়ি দেবে যাওয়ার বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। জেনে তিনি খুব শিগগিরই।

বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাংশা গ্রামে অভিযান চালিয়ে কাউকে না পেয়ে ড্রেজারের পাইপ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত