নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর আত্রাইয়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। এতে ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এই উপজেলার দীর্ঘদিনের পরিচিত সমস্যা হলেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের দাবি, সম্প্রতি গ্রিড থেকে তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না দেওয়ায় গ্রাহকদেরঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছেন না তাঁরা।
স্থানীয় বাসিনাদারা বলছেন, প্রতিদিনই গড়ে ৮-১০ বার করে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। ইফতার, তারাবিহ ও সাহরির সময়গুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া শহরের তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে গ্রামের মানুষেরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। এ জন্য স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন তাঁরা।
জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আত্রাই জোনের অধীনে প্রায় ২২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। যেখানে গ্রহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৬টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে চতুর্থ নম্বর ফিডারের আওতায় উপজেলা সদরকে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৪ হাজার। এ অবস্থায় বিদ্যুৎতের আসা-যাওয়াতে বিরক্ত ওই এলাকার হাজারো মানুষ।
বিদ্যুৎবিভ্রাটে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বলেন, একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে রমজান মাস। এ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তাঁরা। অসহনীয় গরমে বিদ্যুৎহীন কয়েক ঘণ্টা তাঁদের কষ্টে কাটছে। তাঁরা বলছেন, এই গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে ইফতার, তারাবিহ ও সাহরির সময় বিদ্যুৎ না পাওয়াতে গ্রামের মানুষগুলোর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার তারাটিয়া মসজিদের তারাবির ইমাম সালমান সোহেল বলেন, তারাবি শুরুর দিন থেকে তাঁরা বিদ্যুৎতের আসা-যাওয়াতে খুব কষ্ঠ পাচ্ছেন। বিশেষ করে নামাজের সময়ে বিদ্যুৎতের সমস্যা দেখা দেওয়ায় খুব অসুবিধা হচ্ছে।
বড়ভিটা গ্রামের ওহিদুর রহমান বলেন, রমজানের শুরুর দিকে গাছ কাটার এক অজুহাত দিয়ে টানা দুই দিন থেকে এই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। এ ছাড়া পুরু মাস জুড়েই দিনের মধ্যে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকে। এই গরমে রোজার দিন কী পরিমাণ যে কষ্ট হয় বলে বুঝাতে পারব না।দেওলা গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, রমজানে বিদ্যুতবিভ্রাটে তাঁরা অতিষ্ঠ। বিশেষ করে ইফতার ও সাহরির সময়েও বিদ্যুৎ থাকে না। উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সমস্যা কম, কিন্তু গ্রামের দিকে অবস্থা খুবই খারাপ। কত বার যে যায় আর আসে বলাই মুসকিল।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ আত্রাই জোনের ডিজিএম কামরুজ্জামান বলেন, গ্রিড থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না দেওয়ায় গ্রাহকদের ঠিক মত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছেন না তাঁরা। এ জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বৈষম্য করা হয় না। অঞ্চল ভেদে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
কামরুজ্জামান আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তাঁরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে কবে এই সমস্যার সমাধান মিলবে তা বলা যাচ্ছে না।
নওগাঁর আত্রাইয়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। এতে ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এই উপজেলার দীর্ঘদিনের পরিচিত সমস্যা হলেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের দাবি, সম্প্রতি গ্রিড থেকে তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না দেওয়ায় গ্রাহকদেরঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছেন না তাঁরা।
স্থানীয় বাসিনাদারা বলছেন, প্রতিদিনই গড়ে ৮-১০ বার করে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। ইফতার, তারাবিহ ও সাহরির সময়গুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া শহরের তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে গ্রামের মানুষেরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। এ জন্য স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন তাঁরা।
জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আত্রাই জোনের অধীনে প্রায় ২২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। যেখানে গ্রহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৬টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে চতুর্থ নম্বর ফিডারের আওতায় উপজেলা সদরকে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৪ হাজার। এ অবস্থায় বিদ্যুৎতের আসা-যাওয়াতে বিরক্ত ওই এলাকার হাজারো মানুষ।
বিদ্যুৎবিভ্রাটে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বলেন, একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে রমজান মাস। এ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তাঁরা। অসহনীয় গরমে বিদ্যুৎহীন কয়েক ঘণ্টা তাঁদের কষ্টে কাটছে। তাঁরা বলছেন, এই গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে ইফতার, তারাবিহ ও সাহরির সময় বিদ্যুৎ না পাওয়াতে গ্রামের মানুষগুলোর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার তারাটিয়া মসজিদের তারাবির ইমাম সালমান সোহেল বলেন, তারাবি শুরুর দিন থেকে তাঁরা বিদ্যুৎতের আসা-যাওয়াতে খুব কষ্ঠ পাচ্ছেন। বিশেষ করে নামাজের সময়ে বিদ্যুৎতের সমস্যা দেখা দেওয়ায় খুব অসুবিধা হচ্ছে।
বড়ভিটা গ্রামের ওহিদুর রহমান বলেন, রমজানের শুরুর দিকে গাছ কাটার এক অজুহাত দিয়ে টানা দুই দিন থেকে এই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। এ ছাড়া পুরু মাস জুড়েই দিনের মধ্যে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকে। এই গরমে রোজার দিন কী পরিমাণ যে কষ্ট হয় বলে বুঝাতে পারব না।দেওলা গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, রমজানে বিদ্যুতবিভ্রাটে তাঁরা অতিষ্ঠ। বিশেষ করে ইফতার ও সাহরির সময়েও বিদ্যুৎ থাকে না। উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সমস্যা কম, কিন্তু গ্রামের দিকে অবস্থা খুবই খারাপ। কত বার যে যায় আর আসে বলাই মুসকিল।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ আত্রাই জোনের ডিজিএম কামরুজ্জামান বলেন, গ্রিড থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না দেওয়ায় গ্রাহকদের ঠিক মত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছেন না তাঁরা। এ জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বৈষম্য করা হয় না। অঞ্চল ভেদে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
কামরুজ্জামান আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তাঁরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে কবে এই সমস্যার সমাধান মিলবে তা বলা যাচ্ছে না।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১৩ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪