ওয়াছিক রাজিব দিঘলিয়া (খুলনা)
ভৈরব সেতুর নির্মাণকাজ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয়েছে চলতি বছর থেকে। ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজের অগ্রগতি পাঁচ শতাংশও হয়নি বলে জানিয়েছে সেতু কতৃপক্ষ। সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা থাকার কারণে এমনটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় বাড়তে পারে নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে বলে দাবি কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ১.৩১৬ কিলোমিটারের ভৈরব সেতু নামের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। নির্মাণব্যয় ধরা হয় ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ২০২০ সালের ২৭ জুলাই খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নির্মাণকাজের দরপত্র আহবান করে। একই বছরের ১২ নভেম্বর ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (করিম গ্রুপ) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সেতুর নির্মাণকাজ দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ১৩ দিন পর ওই বছরের ২৬ নভেম্বর উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুর জন্য দিঘলিয়া, মহেশ্বরপাশা এবং দেবনগর মৌজার মোট ১৭ দশমিক ৪৯ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সেতুর খুলনা শহরাংশ অর্থাৎ নগরীর কুলি বাগান থেকে রেলগেট পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের ৭.১১৩৬ একর ভূমি রয়েছে। সেতুর উভয় পাশের উক্ত জমি অধিগ্রহণের জন্য খুলনা সওজের কার্যালয় থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য ২টি সংশোধিত প্রস্তাবনা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে পাঠায়। চলতি বছরের ৬ মার্চ খুলনা ডিসি কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ভূমি অধিগ্রহণের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ভূমি মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়। এদিন সেতুর দিঘলিয়া অংশ নগর ঘাটের ফেরি ঘাট থেকে উপজেলা-সদর সংলগ্ন কুকুর মারা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জমির মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়। বর্তমানে যৌথ ফিল্ডবুকের কাজ চলমান রয়েছে।
কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, সেতুর দিঘলিয়া অংশে দেয়াড়া ইউনাইটেড ক্লাব সংলগ্ন খাস জমিতে ২৪ নম্বর পিলারের ১০টি পাইল ক্যাপ ঢালাইয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। একই স্থানে নদীর তীরবর্তী ১৪ নম্বর পিলারের শিট পাইলিং ড্রাইভের কাজ এবং কেসিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতরের আগে ২৫ নম্বর পিলারের ১০টি পাইল ক্যাপ এবং নদীর পশ্চিম পার্শ্বে ১৩ নম্বর পিলারের ১০টি পাইল ক্যাপের ওপর একটি পাইল ক্যাপ বসানোর কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সওজ সূত্রে জানা যায়, ভৈরব সেতুর পিলার বসবে ৩০ টি। এর মধ্যে নদীর পশ্চিম পাশে নগরীর কুলিবাগান থেকে রেলগেট ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীর তীর পর্যন্ত ১ থেকে ১৪ নম্বর পিলার বসবে। এই অংশের প্রথম পিলারটি বসবে নগরীর কুলিবাগান আকাঙ্খা পাট গোডাউনের কর্ণারে। ৫ এবং ৬ নম্বর পিলারের মাঝখান দিয়ে রেললাইন ক্রস করবে। ৯ থেকে ১৩ নম্বর পিলারগুলো বসবে নগরীর ঢাকা ট্রেডিং হাউজ লিমিটেডের অভ্যন্তরে। এর ফলে রপ্তানিকারক এ প্রতিষ্ঠানটি ভাঙ্গা পড়বে। নদীর ভেতরে কোনো পিলার বসবে না।
সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার এস এম নাজমুল বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি এবং নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা কাজে গতি আনতে পারছি না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চলছে। খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।’
ভৈরব সেতুর নির্মাণকাজ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয়েছে চলতি বছর থেকে। ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজের অগ্রগতি পাঁচ শতাংশও হয়নি বলে জানিয়েছে সেতু কতৃপক্ষ। সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা থাকার কারণে এমনটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় বাড়তে পারে নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে বলে দাবি কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ১.৩১৬ কিলোমিটারের ভৈরব সেতু নামের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। নির্মাণব্যয় ধরা হয় ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ২০২০ সালের ২৭ জুলাই খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নির্মাণকাজের দরপত্র আহবান করে। একই বছরের ১২ নভেম্বর ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (করিম গ্রুপ) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সেতুর নির্মাণকাজ দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ১৩ দিন পর ওই বছরের ২৬ নভেম্বর উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুর জন্য দিঘলিয়া, মহেশ্বরপাশা এবং দেবনগর মৌজার মোট ১৭ দশমিক ৪৯ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সেতুর খুলনা শহরাংশ অর্থাৎ নগরীর কুলি বাগান থেকে রেলগেট পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের ৭.১১৩৬ একর ভূমি রয়েছে। সেতুর উভয় পাশের উক্ত জমি অধিগ্রহণের জন্য খুলনা সওজের কার্যালয় থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য ২টি সংশোধিত প্রস্তাবনা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে পাঠায়। চলতি বছরের ৬ মার্চ খুলনা ডিসি কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ভূমি অধিগ্রহণের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ভূমি মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়। এদিন সেতুর দিঘলিয়া অংশ নগর ঘাটের ফেরি ঘাট থেকে উপজেলা-সদর সংলগ্ন কুকুর মারা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জমির মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়। বর্তমানে যৌথ ফিল্ডবুকের কাজ চলমান রয়েছে।
কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, সেতুর দিঘলিয়া অংশে দেয়াড়া ইউনাইটেড ক্লাব সংলগ্ন খাস জমিতে ২৪ নম্বর পিলারের ১০টি পাইল ক্যাপ ঢালাইয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। একই স্থানে নদীর তীরবর্তী ১৪ নম্বর পিলারের শিট পাইলিং ড্রাইভের কাজ এবং কেসিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতরের আগে ২৫ নম্বর পিলারের ১০টি পাইল ক্যাপ এবং নদীর পশ্চিম পার্শ্বে ১৩ নম্বর পিলারের ১০টি পাইল ক্যাপের ওপর একটি পাইল ক্যাপ বসানোর কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সওজ সূত্রে জানা যায়, ভৈরব সেতুর পিলার বসবে ৩০ টি। এর মধ্যে নদীর পশ্চিম পাশে নগরীর কুলিবাগান থেকে রেলগেট ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীর তীর পর্যন্ত ১ থেকে ১৪ নম্বর পিলার বসবে। এই অংশের প্রথম পিলারটি বসবে নগরীর কুলিবাগান আকাঙ্খা পাট গোডাউনের কর্ণারে। ৫ এবং ৬ নম্বর পিলারের মাঝখান দিয়ে রেললাইন ক্রস করবে। ৯ থেকে ১৩ নম্বর পিলারগুলো বসবে নগরীর ঢাকা ট্রেডিং হাউজ লিমিটেডের অভ্যন্তরে। এর ফলে রপ্তানিকারক এ প্রতিষ্ঠানটি ভাঙ্গা পড়বে। নদীর ভেতরে কোনো পিলার বসবে না।
সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার এস এম নাজমুল বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি এবং নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা কাজে গতি আনতে পারছি না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চলছে। খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪