সম্পাদকীয়
বাংলাদেশে অনেক শহরে বর্ষার সময় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টা স্বাভাবিক। কিন্তু যেখানে সারা বছর পানি জমে থাকে? না, কোনো দুর্গম এলাকায় নয়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি সড়কের কথা বলা হচ্ছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ৭ জুলাই ‘শ্রীপুরে বছরজুড়ে পানির নিচে সড়ক, ভোগান্তি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সড়কটির অবস্থান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা সদর থেকে মাওনা চৌরাস্তার মধ্যে মাত্র ৫০০ মিটার এলাকায় পানি জমে থাকে। উপজেলা শহরে প্রবেশের মূল সড়ক হওয়ায় এখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, গণপরিবহন এবং বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পণ্যবাহী শত শত গাড়ি চলাচল করে। পানি মাড়িয়েই চলাচল করে সাইকেল-রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন। আর পথচারীরা চলেন দুই পাশের নর্দমার ওপর বানানো ফুটপাত দিয়ে। কোনো যানবাহন একটু দ্রুতগতিতে গেলেই ফুটপাতে চলাচলকারী পথচারীদের নোংরা পানি ছিটিয়ে প্রায় স্নান করিয়ে যায়।
যেকোনো নগরীর সৃষ্ট জলাবদ্ধতার পেছনে দায়ী কারণগুলোর মধ্যে হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, খানাখন্দে ভরা সড়ক, যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি ও ময়লার ভাগাড়। আবার মানুষ ঘরের জানালা দিয়ে পলিথিনের ব্যাগে করে রাতের আঁধারে ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ছুড়ে ফেলে, যেগুলো গিয়ে স্থান নেয় কোনো একটি পয়োনিষ্কাশন পাইপ কিংবা নালার মুখে। এতে পানি সরার স্বাভাবিক প্রবাহ নালা বা ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানি উপচে আশপাশের জায়গাজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
শ্রীপুরের এই জলাবদ্ধতার মূল কারণ কৃত্রিম। এখানে পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শ্রীপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র স্বীকার করেছেন, আশপাশের বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ীরা আবর্জনাযুক্ত পলিথিন রাস্তায় সরাসরি ফেলার কারণে পানিনিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার তৈরি হয়েছে।
পৃথিবীর বহু দেশে নগরায়ণের জন্য পানি ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর আমাদের দেশে সেটাই থাকে উপেক্ষিত। শিল্পনগরী শ্রীপুরে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার প্রতি আগে থেকেই মনোযোগ দিলে, আজকের এই পরিণতি দেখতে হতো না। সে জন্যই কথায় আছে—ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
প্রশ্ন হচ্ছে, নগরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে চরম গণদুর্ভোগের পরও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের কোনো হেলদোল চোখে পড়ছে না। আমাদের দেশের পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে কাউকেই কোনো কিছুর জন্য কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। এ জন্যই দায়িত্বে অবহেলা দেখানোর প্রবণতা বাড়ছে। যথাসময়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নিলে সড়কটি হয়তো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ত না।
তবে দায় শুধু জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নয়, এলাকাবাসীরও আছে। একটি নিরাপদ বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে পানি
ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা খুব জরুরি—এ কথা জনপ্রতিনিধিদের যেমন আমলে নিতে হবে, তেমনি নগরবাসীকেও যত্রতত্র আবর্জনা বা প্লাস্টিক বর্জ্য
ফেলে পরিবেশদূষণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নগরবাসী সচেতন হলে, জনপ্রতিনিধিরাও সচেতন হতে বাধ্য। আর সচেতন নাগরিকদের সম্মিলিত উদ্যোগে স্থানীয় অনেক সমস্যার সমাধান হওয়ার নজিরও আমাদের দেশে কম নয়।
বাংলাদেশে অনেক শহরে বর্ষার সময় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টা স্বাভাবিক। কিন্তু যেখানে সারা বছর পানি জমে থাকে? না, কোনো দুর্গম এলাকায় নয়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি সড়কের কথা বলা হচ্ছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ৭ জুলাই ‘শ্রীপুরে বছরজুড়ে পানির নিচে সড়ক, ভোগান্তি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সড়কটির অবস্থান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা সদর থেকে মাওনা চৌরাস্তার মধ্যে মাত্র ৫০০ মিটার এলাকায় পানি জমে থাকে। উপজেলা শহরে প্রবেশের মূল সড়ক হওয়ায় এখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, গণপরিবহন এবং বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পণ্যবাহী শত শত গাড়ি চলাচল করে। পানি মাড়িয়েই চলাচল করে সাইকেল-রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন। আর পথচারীরা চলেন দুই পাশের নর্দমার ওপর বানানো ফুটপাত দিয়ে। কোনো যানবাহন একটু দ্রুতগতিতে গেলেই ফুটপাতে চলাচলকারী পথচারীদের নোংরা পানি ছিটিয়ে প্রায় স্নান করিয়ে যায়।
যেকোনো নগরীর সৃষ্ট জলাবদ্ধতার পেছনে দায়ী কারণগুলোর মধ্যে হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, খানাখন্দে ভরা সড়ক, যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি ও ময়লার ভাগাড়। আবার মানুষ ঘরের জানালা দিয়ে পলিথিনের ব্যাগে করে রাতের আঁধারে ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ছুড়ে ফেলে, যেগুলো গিয়ে স্থান নেয় কোনো একটি পয়োনিষ্কাশন পাইপ কিংবা নালার মুখে। এতে পানি সরার স্বাভাবিক প্রবাহ নালা বা ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানি উপচে আশপাশের জায়গাজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
শ্রীপুরের এই জলাবদ্ধতার মূল কারণ কৃত্রিম। এখানে পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শ্রীপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র স্বীকার করেছেন, আশপাশের বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ীরা আবর্জনাযুক্ত পলিথিন রাস্তায় সরাসরি ফেলার কারণে পানিনিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার তৈরি হয়েছে।
পৃথিবীর বহু দেশে নগরায়ণের জন্য পানি ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর আমাদের দেশে সেটাই থাকে উপেক্ষিত। শিল্পনগরী শ্রীপুরে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার প্রতি আগে থেকেই মনোযোগ দিলে, আজকের এই পরিণতি দেখতে হতো না। সে জন্যই কথায় আছে—ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
প্রশ্ন হচ্ছে, নগরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে চরম গণদুর্ভোগের পরও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের কোনো হেলদোল চোখে পড়ছে না। আমাদের দেশের পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে কাউকেই কোনো কিছুর জন্য কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। এ জন্যই দায়িত্বে অবহেলা দেখানোর প্রবণতা বাড়ছে। যথাসময়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নিলে সড়কটি হয়তো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ত না।
তবে দায় শুধু জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নয়, এলাকাবাসীরও আছে। একটি নিরাপদ বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে পানি
ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা খুব জরুরি—এ কথা জনপ্রতিনিধিদের যেমন আমলে নিতে হবে, তেমনি নগরবাসীকেও যত্রতত্র আবর্জনা বা প্লাস্টিক বর্জ্য
ফেলে পরিবেশদূষণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নগরবাসী সচেতন হলে, জনপ্রতিনিধিরাও সচেতন হতে বাধ্য। আর সচেতন নাগরিকদের সম্মিলিত উদ্যোগে স্থানীয় অনেক সমস্যার সমাধান হওয়ার নজিরও আমাদের দেশে কম নয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪