আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে আর বাধা দেবে না পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এড়াতে সড়কের বদলে খোলা মাঠে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে চায়। কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি জেলা-উপজেলায় পালনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
তবে মামলা ও পরোয়ানা থাকা নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে ছাড় দেবে না পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিভিন্ন রেঞ্জের প্রধান ও ইউনিটগুলোর প্রধানদের এ-সংক্রান্ত মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন সূত্র এই নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, পুলিশ তাদের (বিএনপি) কোথাও বাধা দিচ্ছে না। পরোয়ানা থাকা আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, এ বছর জানুয়ারি থেকে বিএনপি যত কর্মসূচির অনুমতি চেয়েছে, সবগুলোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় সমাবেশ, জেলা ও উপজেলার কোনো কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ গুরুতর অভিযোগে মামলা রয়েছে, আদালতের পরোয়ানা রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের একজন কর্মকর্তা বলেন, জননিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে। কোনো জায়গায় জননিরাপত্তার হুমকি হলে সেখানে কর্মসূচি পালন না করতে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। এ ছাড়া দেশজুড়ে একযোগে সড়ককেন্দ্রিক সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টানা রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়েও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, খোলা মাঠকেন্দ্রিক সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে পুলিশ সুপার (এসপি) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, খোলা মাঠে সহিংসতার ঝুঁকি কম থাকে।
পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে দলই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে, তাদের স্থানীয়ভাবে অনুমতি নিতে হবে। সহিংসতার আশঙ্কা না থাকলে অনুমতি দেওয়া হবে। এ জন্য থানার ওসি বা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দলগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কথা বলতে হবে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা যাবে না।’
রংপুর রেঞ্জের একজন কর্মকর্তা জানান, রংপুরে গত কয়েক দিনের কর্মসূচিতে সহিংসতা হয়নি। সহিংসতা হলে তখন সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ ও ১৯ জুলাই বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ ১১টি জেলায় দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা হয়েছে।এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ আসামি প্রায় ১৫ হাজার। সারা দেশে দলটির সাড়ে তিন শর বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ফেরার সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শাহাদাত হোসেন বাশার, ইউনিট যুগ্ম সম্পাদক আবু তালেব ও সদস্য মো. সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমন করা যাবে না।’
তবে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এ পর্যন্ত তাদের (বিএনপি) যত নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো না কোনো মামলায় পরোয়ানা আছে। এ কারণে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।’ তিনি বলেন, পুলিশ তাদের (বিএনপি) কোথাও কোনো ধরনের বাধা দিচ্ছে না।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে আর বাধা দেবে না পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এড়াতে সড়কের বদলে খোলা মাঠে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে চায়। কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি জেলা-উপজেলায় পালনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
তবে মামলা ও পরোয়ানা থাকা নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে ছাড় দেবে না পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিভিন্ন রেঞ্জের প্রধান ও ইউনিটগুলোর প্রধানদের এ-সংক্রান্ত মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন সূত্র এই নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, পুলিশ তাদের (বিএনপি) কোথাও বাধা দিচ্ছে না। পরোয়ানা থাকা আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, এ বছর জানুয়ারি থেকে বিএনপি যত কর্মসূচির অনুমতি চেয়েছে, সবগুলোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় সমাবেশ, জেলা ও উপজেলার কোনো কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ গুরুতর অভিযোগে মামলা রয়েছে, আদালতের পরোয়ানা রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের একজন কর্মকর্তা বলেন, জননিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে। কোনো জায়গায় জননিরাপত্তার হুমকি হলে সেখানে কর্মসূচি পালন না করতে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। এ ছাড়া দেশজুড়ে একযোগে সড়ককেন্দ্রিক সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টানা রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়েও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, খোলা মাঠকেন্দ্রিক সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে পুলিশ সুপার (এসপি) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, খোলা মাঠে সহিংসতার ঝুঁকি কম থাকে।
পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে দলই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে, তাদের স্থানীয়ভাবে অনুমতি নিতে হবে। সহিংসতার আশঙ্কা না থাকলে অনুমতি দেওয়া হবে। এ জন্য থানার ওসি বা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দলগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কথা বলতে হবে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা যাবে না।’
রংপুর রেঞ্জের একজন কর্মকর্তা জানান, রংপুরে গত কয়েক দিনের কর্মসূচিতে সহিংসতা হয়নি। সহিংসতা হলে তখন সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ ও ১৯ জুলাই বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ ১১টি জেলায় দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা হয়েছে।এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ আসামি প্রায় ১৫ হাজার। সারা দেশে দলটির সাড়ে তিন শর বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ফেরার সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শাহাদাত হোসেন বাশার, ইউনিট যুগ্ম সম্পাদক আবু তালেব ও সদস্য মো. সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমন করা যাবে না।’
তবে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এ পর্যন্ত তাদের (বিএনপি) যত নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো না কোনো মামলায় পরোয়ানা আছে। এ কারণে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।’ তিনি বলেন, পুলিশ তাদের (বিএনপি) কোথাও কোনো ধরনের বাধা দিচ্ছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪