অনলাইন ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যেখানে প্রতিনিয়ত বদলে দিচ্ছে সফটওয়্যার শিল্পকে, ঠিক সেই সময়ে প্রযুক্তি খাতে পা রাখতে চাওয়া তরুণদের জন্য এক স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা। তাঁর মতে, এআই যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য মৌলিক কম্পিউটেশনাল চিন্তাধারা ও সিস্টেম ডিজাইনের দক্ষতা এখনো অপরিহার্য।
প্রখ্যাত টেক ইউটিউবার সাজ্জাদ খাদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সত্য নাদেলা বলেন, ‘যদি তুমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হও, তাহলে সফটওয়্যারের মৌলিক বিষয়গুলো জানা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, কম্পিউটেশনালভাবে চিন্তা করার সক্ষমতা থাকা জরুরি।’
খাদে প্রশ্ন করেন, বর্তমানের এআই-চালিত সফটওয়্যার দুনিয়ায় নতুন করে ক্যারিয়ার শুরু করতে চাওয়া কাউকে তাঁর একটিমাত্র পরামর্শ কী। উত্তরে নাদেলা জানান, কোড লেখা আজকাল অনেকটাই এআইয়ের মাধ্যমে সহজ হয়ে গেছে, তবে কাঠামোগতভাবে চিন্তা করে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব এখনো মানুষেরই।
তিনি বলেন, ‘সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট হওয়ার পথ এখন অনেকটা ছোট হয়ে গেছে। আমাদের সবাইকেই ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আর্কিটেক্টের মতো ভাবতে হবে।’
তাঁর মতে, এটাই ভবিষ্যতের কোডিংয়ের রূপ—এআই যেমন ম্যানুয়াল কাজ সহজ করে দিচ্ছে, তেমনি সমস্যার কাঠামো নির্মাণ ও সমাধানের কৌশল ঠিক করে দিচ্ছে মানুষ।
এআই ইতিমধ্যে মাইক্রোসফটের নিজস্ব সফটওয়্যার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায়ও বড় ভূমিকা রাখছে। মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে এক আলোচনায় নাদেলা বলেন, বর্তমানে মাইক্রোসফটের অনেক কোডই এআই লিখে দিচ্ছে।
নাদেলা বলেন, ‘আমাদের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কোড এখন এআই লেখে। এমনকি কিছু কিছু প্রকল্পে পুরো কোডটাই হয়তো এআই লিখেছে।’
গত মাসে মাইক্রোসফট বিল্ড সম্মেলনে নাদেলা ‘এজেন্টিক এআই’ নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর ভাষায়, ‘এজেন্টিক ওয়েব সম্পূর্ণ টেক স্ট্যাককে নতুনভাবে গড়ে তুলছে, যা প্রতিটি স্তরে ডেভেলপারদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে।’
তরুণদের প্রস্তুত করতে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ কেবল নীতিগত পরামর্শেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাস্তবমুখী কর্মসূচিতেও তা প্রতিফলিত হচ্ছে। এ বছর ভারতের মাইক্রোসফট ও ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (MeitY) একসঙ্গে একটি বৃহৎ উদ্যোগ ঘোষণা করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে ৫ লাখ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ডেভেলপার, সরকারি কর্মকর্তা ও নারী উদ্যোক্তাকে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই অংশীদারত্বের মূল আকর্ষণ হলো ‘এআই ক্যাটালিস্টস’ নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্র, যা গ্রামীণ উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ১ লাখ এআই ডেভেলপারের একটি শক্তিশালী কমিউনিটি গড়ে তুলবে। পাশাপাশি, মাইক্রোসফট ভারতের ১০টি রাজ্যে ২০টি এআই প্রোডাকটিভিটি ল্যাব, যেখানে ২০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এআইয়ের মূল ধারণাগুলো নিয়ে।
এই প্রয়াস নাদেলার মৌলিক দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাঁর মতে, যাঁরা শক্তিশালী কারিগরি ভিত্তির সঙ্গে এআই টুলের সহযোগিতা নিতে সক্ষম হবেন, ভবিষ্যতে প্রযুক্তি খাতে তারাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবেন।
তাই, যদি আপনি প্রযুক্তি দুনিয়ায় নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে চান, নাদেলার কথায় একটাই বার্তা—এআই হয়তো কোড লিখতে পারে, কিন্তু সেই কোড কী করবে, তা ঠিক করে এখনো মানুষই।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যেখানে প্রতিনিয়ত বদলে দিচ্ছে সফটওয়্যার শিল্পকে, ঠিক সেই সময়ে প্রযুক্তি খাতে পা রাখতে চাওয়া তরুণদের জন্য এক স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা। তাঁর মতে, এআই যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য মৌলিক কম্পিউটেশনাল চিন্তাধারা ও সিস্টেম ডিজাইনের দক্ষতা এখনো অপরিহার্য।
প্রখ্যাত টেক ইউটিউবার সাজ্জাদ খাদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সত্য নাদেলা বলেন, ‘যদি তুমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হও, তাহলে সফটওয়্যারের মৌলিক বিষয়গুলো জানা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, কম্পিউটেশনালভাবে চিন্তা করার সক্ষমতা থাকা জরুরি।’
খাদে প্রশ্ন করেন, বর্তমানের এআই-চালিত সফটওয়্যার দুনিয়ায় নতুন করে ক্যারিয়ার শুরু করতে চাওয়া কাউকে তাঁর একটিমাত্র পরামর্শ কী। উত্তরে নাদেলা জানান, কোড লেখা আজকাল অনেকটাই এআইয়ের মাধ্যমে সহজ হয়ে গেছে, তবে কাঠামোগতভাবে চিন্তা করে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব এখনো মানুষেরই।
তিনি বলেন, ‘সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট হওয়ার পথ এখন অনেকটা ছোট হয়ে গেছে। আমাদের সবাইকেই ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আর্কিটেক্টের মতো ভাবতে হবে।’
তাঁর মতে, এটাই ভবিষ্যতের কোডিংয়ের রূপ—এআই যেমন ম্যানুয়াল কাজ সহজ করে দিচ্ছে, তেমনি সমস্যার কাঠামো নির্মাণ ও সমাধানের কৌশল ঠিক করে দিচ্ছে মানুষ।
এআই ইতিমধ্যে মাইক্রোসফটের নিজস্ব সফটওয়্যার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায়ও বড় ভূমিকা রাখছে। মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে এক আলোচনায় নাদেলা বলেন, বর্তমানে মাইক্রোসফটের অনেক কোডই এআই লিখে দিচ্ছে।
নাদেলা বলেন, ‘আমাদের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কোড এখন এআই লেখে। এমনকি কিছু কিছু প্রকল্পে পুরো কোডটাই হয়তো এআই লিখেছে।’
গত মাসে মাইক্রোসফট বিল্ড সম্মেলনে নাদেলা ‘এজেন্টিক এআই’ নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর ভাষায়, ‘এজেন্টিক ওয়েব সম্পূর্ণ টেক স্ট্যাককে নতুনভাবে গড়ে তুলছে, যা প্রতিটি স্তরে ডেভেলপারদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে।’
তরুণদের প্রস্তুত করতে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ কেবল নীতিগত পরামর্শেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাস্তবমুখী কর্মসূচিতেও তা প্রতিফলিত হচ্ছে। এ বছর ভারতের মাইক্রোসফট ও ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (MeitY) একসঙ্গে একটি বৃহৎ উদ্যোগ ঘোষণা করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে ৫ লাখ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ডেভেলপার, সরকারি কর্মকর্তা ও নারী উদ্যোক্তাকে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই অংশীদারত্বের মূল আকর্ষণ হলো ‘এআই ক্যাটালিস্টস’ নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্র, যা গ্রামীণ উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ১ লাখ এআই ডেভেলপারের একটি শক্তিশালী কমিউনিটি গড়ে তুলবে। পাশাপাশি, মাইক্রোসফট ভারতের ১০টি রাজ্যে ২০টি এআই প্রোডাকটিভিটি ল্যাব, যেখানে ২০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এআইয়ের মূল ধারণাগুলো নিয়ে।
এই প্রয়াস নাদেলার মৌলিক দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাঁর মতে, যাঁরা শক্তিশালী কারিগরি ভিত্তির সঙ্গে এআই টুলের সহযোগিতা নিতে সক্ষম হবেন, ভবিষ্যতে প্রযুক্তি খাতে তারাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবেন।
তাই, যদি আপনি প্রযুক্তি দুনিয়ায় নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে চান, নাদেলার কথায় একটাই বার্তা—এআই হয়তো কোড লিখতে পারে, কিন্তু সেই কোড কী করবে, তা ঠিক করে এখনো মানুষই।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
বিশেষ মুহূর্ত বা স্মৃতি বন্ধুবান্ধব বা অনুসারীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই, তখন স্টোরি ফিচারটি খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে ওঠে। এটি এমন একটি ফিচার, যার মাধ্যমে অল্প সময়ের জন্য (২৪ ঘণ্টা) কোনো ছবি, ভিডিও বা বার্তা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করা যায়। অনেক সময় আমরা স্টোরি প্রকাশ করার সময় কারও নাম ট্যাগ করতে ভুলে
৬ ঘণ্টা আগেফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নতুন একাধিক এআইভিত্তিক উদ্যোক্তা স্থান পেয়েছেন। তবে এআইকে ঘিরে প্রতিক্রিয়া সবার এক রকম নয়।
১ দিন আগেহোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে মেটা এআই-এর কাছে ছবি, ভিডিও ও টেক্সট পাঠিয়ে সেগুলোর বিশ্লেষণ করাতে পারবেন। পরীক্ষামূলকভাবে ফিচারটি প্রথমে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ২.২৫. ১৮.৮ সংস্করণে চালু হয়েছে। পাশাপাশি কিছু সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্যও এটি ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে।
১ দিন আগেএক সময় ইন্টারনেট থেকে তথ্য জানার জন্য মানুষ নির্ভর করত একমাত্র সার্চ ইঞ্জিনের ওপর। আর সেই দুনিয়ার শীর্ষে ছিল গুগল। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এখন চিত্রটা বদলাতে শুরু করেছে। চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য জেনারেটিভ এআই টুল তথ্য খোঁজার নতুন বিকল্প হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
১ দিন আগে