নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজীরহাট বন্দরের ময়লা-আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে কীর্তিনাশা নদীর পরিবেশ। বন্দরের ২ নম্বর সেতুর ওপর থেকে ব্যবসায়ীরা বর্জ্য ফেলছেন নদীতে। এভাবে নদীর মাঝে ময়লার স্তূপ হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে স্তূপাকারে থাকলেও বর্ষা শুরুর আগেই বেড়ে যাওয়া নদীর পানিতে এসব বর্জ্য মিশে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ময়লা অপসারণে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। সমস্যার সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে জাজিরা পৌরসভা।
কাজিরহাট বাজার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জাজিরার নাওডোবা থেকে পদ্মা থেকে কীর্তিনাশা নদীর উৎপত্তি। প্রায় ৪০ কিলোমিটার নদীটি মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কীর্তিনাশা নদীর তীরঘেঁষে গড়ে উঠেছে শরীয়তপুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাজিরহাট বন্দর।
বন্দরে দেড় সহস্রাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে কৃষিপণ্য ও কাঠ বিক্রির বাজার। এ ছাড়া বাজারের দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে মাছ, মাংস ও মুরগি বিক্রির অর্ধশত দোকান। প্রতিদিন বন্দরের দেড় সহস্রাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ উচ্ছিষ্ট মাছ ও মাংসের বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। ফলে এক রকম বাধ্য হয়েই যত্রতত্র ময়লা ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই আবার কিছুটা হেঁটে কাজিরহাট ২ নম্বর সেতুর ওপর থেকে ময়লা ফেলছেন কীর্তিনাশা নদীতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতে এই বন্দরের হোটেলসহ বিভিন্ন বেকারি, কারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে।
নদীতে ফেলা এসব ময়লা-আবর্জনায় মাঝনদী রীতিমতো ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিন ধরে নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে ময়লার স্তূপ স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। ফলে দূষিত হচ্ছে নদীর পরিবেশ।
ময়লার স্তূপের পাশে থাকা ব্যবসায়প্রতিষ্ঠানের মালিক মিল্লাদ টেপা বলেন, ‘এখানে একটি পুকুর ছিল। পুকুরটি হাটের ময়লা ফেলতে ফেলতে ভরাট হয়ে গেছে। ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পুকুরটি ভরাট হওয়ায় নদীতে ময়লা ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। ময়লার দুর্গন্ধে ব্যবসা কার্যক্রম চালাতে কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ি।’
বন্দরের মাংস ব্যবসায়ী মাহবুব ব্যাপারীর কাছে নদীতে ময়লা ফেলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ময়লা হালাইমু কই, সরকার তো আডে (হাটে) ব্যবসা করতে চান্দা (চাঁদা) নেয়। কিন্তু ময়লা হালানের কোনো জায়গা কইরা দেয় নাই। আমরা কি ময়লা মাতায় কইরা বাড়ি লইয়া যামু?’
আরেক ব্যবসায়ী হালিম হাওলাদার বলেন, ‘নদীর পানিতে হাটের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পানি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য পচে আশপাশে গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়লার স্তূপ জমে গেলে দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে মাঝেমাধ্যে বাঁশের সাহায্যে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দিই।’
বিডি ক্লিন জাজিরা টিমের সমন্বয়ক পলাশ খান বলেন, ‘এমন একটি বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। এটি দুঃখজনক। কেননা এর কারণে হাটের আবর্জনা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে আশপাশের জনজীবন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাট কমিটির সভাপতি কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সরকার এই হাটটি ইজারা দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু হাটের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের কমিটির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করা হয় না। আর ইজারাদারও হাটের এই ধরনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন না।
বিষয়টি সমাধানে আমরা হাট কমিটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।’
জাজিরা পৌরসভা মেয়র ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। স্থানীয়রা লিখিত বা মৌখিকভাবেও জানাননি। সমস্যা সমাধানে অস্থায়ীভাবে ছয়জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত তাঁরা ময়লা অপসারণের কাজ করবে।’
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজীরহাট বন্দরের ময়লা-আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে কীর্তিনাশা নদীর পরিবেশ। বন্দরের ২ নম্বর সেতুর ওপর থেকে ব্যবসায়ীরা বর্জ্য ফেলছেন নদীতে। এভাবে নদীর মাঝে ময়লার স্তূপ হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে স্তূপাকারে থাকলেও বর্ষা শুরুর আগেই বেড়ে যাওয়া নদীর পানিতে এসব বর্জ্য মিশে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ময়লা অপসারণে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। সমস্যার সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে জাজিরা পৌরসভা।
কাজিরহাট বাজার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জাজিরার নাওডোবা থেকে পদ্মা থেকে কীর্তিনাশা নদীর উৎপত্তি। প্রায় ৪০ কিলোমিটার নদীটি মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কীর্তিনাশা নদীর তীরঘেঁষে গড়ে উঠেছে শরীয়তপুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাজিরহাট বন্দর।
বন্দরে দেড় সহস্রাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে কৃষিপণ্য ও কাঠ বিক্রির বাজার। এ ছাড়া বাজারের দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে মাছ, মাংস ও মুরগি বিক্রির অর্ধশত দোকান। প্রতিদিন বন্দরের দেড় সহস্রাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ উচ্ছিষ্ট মাছ ও মাংসের বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। ফলে এক রকম বাধ্য হয়েই যত্রতত্র ময়লা ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই আবার কিছুটা হেঁটে কাজিরহাট ২ নম্বর সেতুর ওপর থেকে ময়লা ফেলছেন কীর্তিনাশা নদীতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতে এই বন্দরের হোটেলসহ বিভিন্ন বেকারি, কারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে।
নদীতে ফেলা এসব ময়লা-আবর্জনায় মাঝনদী রীতিমতো ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিন ধরে নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে ময়লার স্তূপ স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। ফলে দূষিত হচ্ছে নদীর পরিবেশ।
ময়লার স্তূপের পাশে থাকা ব্যবসায়প্রতিষ্ঠানের মালিক মিল্লাদ টেপা বলেন, ‘এখানে একটি পুকুর ছিল। পুকুরটি হাটের ময়লা ফেলতে ফেলতে ভরাট হয়ে গেছে। ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পুকুরটি ভরাট হওয়ায় নদীতে ময়লা ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। ময়লার দুর্গন্ধে ব্যবসা কার্যক্রম চালাতে কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ি।’
বন্দরের মাংস ব্যবসায়ী মাহবুব ব্যাপারীর কাছে নদীতে ময়লা ফেলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ময়লা হালাইমু কই, সরকার তো আডে (হাটে) ব্যবসা করতে চান্দা (চাঁদা) নেয়। কিন্তু ময়লা হালানের কোনো জায়গা কইরা দেয় নাই। আমরা কি ময়লা মাতায় কইরা বাড়ি লইয়া যামু?’
আরেক ব্যবসায়ী হালিম হাওলাদার বলেন, ‘নদীর পানিতে হাটের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পানি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য পচে আশপাশে গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়লার স্তূপ জমে গেলে দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে মাঝেমাধ্যে বাঁশের সাহায্যে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দিই।’
বিডি ক্লিন জাজিরা টিমের সমন্বয়ক পলাশ খান বলেন, ‘এমন একটি বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। এটি দুঃখজনক। কেননা এর কারণে হাটের আবর্জনা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে আশপাশের জনজীবন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাট কমিটির সভাপতি কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সরকার এই হাটটি ইজারা দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু হাটের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের কমিটির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করা হয় না। আর ইজারাদারও হাটের এই ধরনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন না।
বিষয়টি সমাধানে আমরা হাট কমিটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।’
জাজিরা পৌরসভা মেয়র ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। স্থানীয়রা লিখিত বা মৌখিকভাবেও জানাননি। সমস্যা সমাধানে অস্থায়ীভাবে ছয়জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত তাঁরা ময়লা অপসারণের কাজ করবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪