Ajker Patrika

টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৩
টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা পরিষদ ভবন চত্বরে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারী থেকে টিকা দেওয়া শুরু হলেও গতকাল রোববার টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি দেখা গেছে। এদিকে টিকা নিতে এসে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, যাঁদের বয়স ১২-১৮ বছর তাদের ৩ জানুয়ারি থেকে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়, যা চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। শুরু থেকেই টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের মোটামুটি ভিড় থাকলেও শেষের দিকে এসে ভিড় বাড়ছে। পড়া ভিড় থাকায়,

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, টিকা না নিলে বিদ্যালয়ে যাওয়া যাবে না, এমন ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে টিকাকেন্দ্রে ভিড় করছে। তবে টিকাকেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। এতে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, অনেকে নির্দিষ্টি সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে, এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের আগেও টিকা নিতে এসেছে। আবার, যে পরিমাণ ভিড় হচ্ছে তাতে দূরত্ব মেনে চলা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। এক প্রকার ঘেঁষাঘেঁষি করেই লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।

লস্করদিয়া আতিকুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকাদানের নির্ধারিত তারিখে গিয়ে দেখি, একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত তারিখ না এসে টিকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। আবার অনেকের সঙ্গে তাদের অভিভাবকেরাও এসেছেন।’

নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইফতেখার আজাদ বলেন, ‘যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছর তাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ টিকা এসি রুমের মধ্যে দিতে হয়। নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসি রুম না থাকায় উপজেলা পরিষদ ভবনের এসি রুমে দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত তারিখে নির্দিষ্ট বিদ্যালয় ছাড়াও একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে আসছে। ফলে টিকাকেন্দ্রে বেশি ভিড় হচ্ছে।’

ইফতেখার আজাদ আরও বলেন, ‘ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করে টিকা দেওয়ায় করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা আমাদের মতো করে সবাইকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকদের উদ্যোগী হতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত