Ajker Patrika

দাম্পত্যজীবনে প্রয়োজন পারস্পরিক বোঝাপড়া

আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ২৯
দাম্পত্যজীবনে প্রয়োজন পারস্পরিক বোঝাপড়া

প্রশ্ন: আমার বয়স ২২ বছর। এক বন্ধুকে আমি ভালোবেসেছিলাম।  হঠাৎ একদিন কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বন্ধুদের সামনে সে আমার গায়ে হাত তোলে। এ ছাড়া সময়ে-অসময়ে সে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে আমি এই সম্পর্ক থেকে দূর সরে যাই। কিন্তু সমস্যা বাধে, যখন আমার পক্ষ থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলতে থাকে।

এর মধ্যে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে ঠিক হয় অন্যখানে। আমার পরিবার আমার আগের সম্পর্কের বিষয়ে সবকিছু জানে। কিন্তু এর মধ্যে আমার আগের প্রেমিক, যার সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক হয়, তাকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি পাঠায়। এতে আমার এই বিয়ে ভেঙে যায়। এই ঘটনার পর আমি আত্মহত্যাও করার চেষ্টা করি। আমার মা দরজা ভেঙে আমাকে রক্ষা করেন। আমি এখন এই ছেলের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কী করতে পারি? মামলা করা যাবে? এতে কি আমি কোনো সমস্যায় পড়ব?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নরসিংদী

পরামর্শ:  আপনি ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে পারবেন। চাইলে থানায় জিডি করতে পারবেন। তাতে আপনি কোনো সমস্যায় পড়বেন না।

প্রশ্ন: আমার বয়স ২৬ বছর। আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। নিজের পছন্দে আমাদের বিয়ে হয়েছে তিন বছর আগে। গত দু্ই বছর আমাদের দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু এক বছর ধরে আমার স্বামী ঠিকমতো কথাবার্তা বলছে না। ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করছে, আমার সঙ্গে সে আর থাকতে চায় না। আমার আচার-আচরণে সে নাকি খুব বিরক্ত।

আমি নাকি তাকে বোঝার চেষ্টা করছি না। আমাদের সম্পর্কের ভালোর জন্য সে তিন থেকে চার মাস আলাদা থাকতে চাইছে। আমি মনেপ্রাণে এ সম্পর্কে থাকতে চাই। আমি এখন কী করব?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নাটোর

পরামর্শ: ১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ দাম্পত্য অধিকার ফিরে পাওয়াবিষয়ক মামলার সুযোগ রেখেছে। দাম্পত্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাদীকে সৎ মনোভাব নিয়ে আদালতে আসতে হয় এবং প্রমাণ করতে হয় যে তাঁর সঙ্গী কোনো কারণ ছাড়াই ঘরে ফিরতে চান না। কাজেই এখানে আলাদা বসবাস মামলার একটি উপাদান। নয়তো কোনো স্বামী-স্ত্রীর একান্ত দাম্পত্যজীবনে কোনো আইনই সাধারণত হস্তক্ষেপ করে না। সংসার একটি পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্র। এখানে দুজনের মনের বা মতের মিল না হলে আইন প্রয়োগ করে সেটা ঘটানো সম্ভব নয়। সুতরাং এ ধরনের সমস্যায় নিজেদেরই যথাসম্ভব সমাধানের পথ খুঁজে নিতে হবে। একান্তই সম্ভব না হলে, ক্ষতি এড়ানো না গেলে, আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। তবে দুঃখজনক, সেই সুযোগ আপনার মতো সমস্যায় অবারিত নয়।

পরামর্শ দিয়েছেন: তান্ইয়া নাহার, আইনজীবী , বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত