নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনকে ছাড়াই নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভক্ত হলো গণফোরাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দিনভর ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় মোস্তফা মহসীন মন্টুকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে দলটির একাংশের ১৫৭ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে পঞ্চম কাউন্সিলে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন দলটির নেতারা। এরপর গত এক বছরে পাল্টাপাল্টি নানা কর্মসূচি ও সিদ্ধান্তে সেই বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে ওঠে। গতকাল নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলটির ভাঙন চূড়ান্ত হলো।
যদিও মোস্তফা মহসীন মন্টু দাবি করেছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ড. কামাল গতকালের কাউন্সিলে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে চিঠি লিখে কাউন্সিলের সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন ড. কামাল। কাউন্সিলের শুরুতেই সেই বার্তা পড়ে শোনান মন্টু। চিঠিতে ড. কামাল বলেছেন, ‘আমি সব সময় ঐক্যের কথা বলেছি। আশা করি, গণফোরামের সব নেতা-কর্মী ও সমর্থকগণ ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাবেন।’
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে গতকাল সকাল ১০টার দিকে শুরু হয় কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিকতা। ড. কামাল অনুপস্থিত থাকলেও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্নাদের মতো নেতারা। গণফোরামসংক্রান্ত আলোচনার চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে তাঁর সুচিকিৎসার দাবিই ছিল তাঁদের বক্তব্যের বেশির ভাগ অংশজুড়ে। এ নিয়ে কাউন্সিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে শুরু হয় কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশন। এতে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলাম। তাঁর অবস্থা ক্রিটিক্যাল, কখন কী হয় বলা যায় না, আমরা কেউ জানি না।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনার যদি মনে হয় যে খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে আর আসবেন না, তা ঠিক নয়। খালেদা জিয়াই সবার আগে আসবেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় অনেকে বিদেশে যেতে চেয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমি মরতে পারি কিন্তু বিদেশে যাব না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশে এখন একটা দুঃশাসন চলছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাঁকে দ্রুত বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো খুব জরুরি।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
গণফোরামের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীও খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন। তা না হলে একদিন আপনাকে এ জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে আবু সাইয়িদ বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। জাতির ইতিহাসে রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনে এমন অব্যবস্থাপনা কখনো পরিলক্ষিত হয়নি। এই অবস্থা থেকে দেশ ও জাতি মুক্তি চায়। শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চায়।
কাউন্সিলের সাংগঠনিক অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ। পরে নির্বাচন কমিটির পক্ষে নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করেন আবু সাইয়িদ ও জগলুল হায়দার আফ্রিক।
দলের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনকে ছাড়াই নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভক্ত হলো গণফোরাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দিনভর ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় মোস্তফা মহসীন মন্টুকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে দলটির একাংশের ১৫৭ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে পঞ্চম কাউন্সিলে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন দলটির নেতারা। এরপর গত এক বছরে পাল্টাপাল্টি নানা কর্মসূচি ও সিদ্ধান্তে সেই বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে ওঠে। গতকাল নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলটির ভাঙন চূড়ান্ত হলো।
যদিও মোস্তফা মহসীন মন্টু দাবি করেছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ড. কামাল গতকালের কাউন্সিলে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে চিঠি লিখে কাউন্সিলের সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন ড. কামাল। কাউন্সিলের শুরুতেই সেই বার্তা পড়ে শোনান মন্টু। চিঠিতে ড. কামাল বলেছেন, ‘আমি সব সময় ঐক্যের কথা বলেছি। আশা করি, গণফোরামের সব নেতা-কর্মী ও সমর্থকগণ ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাবেন।’
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে গতকাল সকাল ১০টার দিকে শুরু হয় কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিকতা। ড. কামাল অনুপস্থিত থাকলেও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্নাদের মতো নেতারা। গণফোরামসংক্রান্ত আলোচনার চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে তাঁর সুচিকিৎসার দাবিই ছিল তাঁদের বক্তব্যের বেশির ভাগ অংশজুড়ে। এ নিয়ে কাউন্সিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে শুরু হয় কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশন। এতে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলাম। তাঁর অবস্থা ক্রিটিক্যাল, কখন কী হয় বলা যায় না, আমরা কেউ জানি না।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনার যদি মনে হয় যে খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে আর আসবেন না, তা ঠিক নয়। খালেদা জিয়াই সবার আগে আসবেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় অনেকে বিদেশে যেতে চেয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমি মরতে পারি কিন্তু বিদেশে যাব না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশে এখন একটা দুঃশাসন চলছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাঁকে দ্রুত বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো খুব জরুরি।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
গণফোরামের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীও খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন। তা না হলে একদিন আপনাকে এ জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে আবু সাইয়িদ বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। জাতির ইতিহাসে রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনে এমন অব্যবস্থাপনা কখনো পরিলক্ষিত হয়নি। এই অবস্থা থেকে দেশ ও জাতি মুক্তি চায়। শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চায়।
কাউন্সিলের সাংগঠনিক অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ। পরে নির্বাচন কমিটির পক্ষে নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করেন আবু সাইয়িদ ও জগলুল হায়দার আফ্রিক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪