Ajker Patrika

ব্রহ্মপুত্রের বুকে চর, বিপাকে জেলেরা

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ০১
ব্রহ্মপুত্রের বুকে চর, বিপাকে জেলেরা

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শুকিয়ে গিয়ে অনেক স্থানে বালুর চর জেগেছে। এতে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিপাকে পড়েছে নদ কেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় ৩ হাজার জেলে পরিবার।

উপজেলার নয়ারহাট, অষ্টমীরচর, চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের বুকে পানি নেই, যেদিকে চোখ যায় শুধু বালু আর বালু। নদে যেটুকু পানি প্রবাহ আছে সেখানেও ছোট-বড় অসংখ্য চর জেগে ওঠায় নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন শাখা নদীর মাধ্যমে ঘুর পথে কোনো কোনো নৌপথে নৌকা চলাচলও সব এলাকায় চলাচল করতে পারছে না।

ব্রহ্মপুত্রের রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ মাঝিপাড়া এলাকার ভোলা দাস বলেন, ‘জানি না কবে নাগাদ আবার ব্রহ্মপুত্রের বুকে পানি থই-থই করবে। ব্রহ্মপুত্রের বুকজুড়ে এখন ধু ধু বালু চর। পানি শুকিয়ে ব্রহ্মপুত্র যেন হয়েছে মরূদ্যান।’

নয়ারহাট ইউনিয়নের গয়নার পটল এলাকার কৃষক ইউসুফ ও মাহফুজার বলেন, বোরো আবাদের মুখ্য সময়ে চিন্তিত চরাঞ্চলের কৃষকেরা। শুধু তাই নয় চর এলাকার মানুষের চলাচল এখন হাঁটা পথে। এ জন্য তাঁদের দুর্ভোগেরও শেষ নেই। তাঁরা আরও বলেন, চলতি মৌসুমে সরকারি বা কোনো বে-সরকারি সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বালুর চরে চাষ আবাদের জন্য সাহায্য সহযোগিতা করত তাহলে চরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতো।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করে। কিন্তু এবার কম বৃষ্টিপাতের কারণে অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী মার্চ থেকে আবারও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রণয় কুমার বিষান দাস বলেন, ‘কষ্টকর হলেও চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে পানি আছে সেখানে কৃষকেরা বোরো চাষ করছে। বালু চরেও বিভিন্ন ফসল ফলানো সম্ভব আমরা কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে চলতি মৌসুমেও যেন কোনো চর কিংবা বালুর চর অনাবাদি না থাকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত