সাগর হোসেন তামিম (মাদারীপুর) ও ইমতিয়াজ আহমেদ (শিবচর)
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী সভায় যোগ দিতে আগের দিন রাত থেকে দূর-দূরান্ত হতে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে আসতে থাকে সাধারণ মানুষ। বাস, লঞ্চ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, ট্রাকে চড়ে হাজার হাজার মানুষ জনসভায় যোগ দেয়। অনেকে বাসে-ট্রাকে আসন না পেয়ে ছাদে চড়েও এসেছেন। হেঁটেও আসেন মানুষ। জনসভায় ভোগ দিতে সড়কে যেন মানুষের স্রোত নামে।
এতে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকেই মাদারীপুরের শিবচরের পাঁচ্চর থেকে পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের প্রায় ৮ কিলোমিটার যানবাহনের জট লেগে যায়। বাধ্য হয়ে অ্যাপ্রোচ সড়কে নেমে প্রায় দুই-তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে সমাবেশে যোগ দেন সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভায় যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা জানান, জনসভায় যোগ দিতে তাঁরা খুব ভোরেই পৌঁছান। তবে মহাসড়কে গাড়িতে আটকে পড়েন। বাধ্য হয়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দেন তাঁরা। সড়কে ভোগান্তিতে পড়লেও কারও মধ্যে নেই কোনো কষ্ট। বরং জনসভায় যোগ দিতে পারায় খুশি তাঁরা।
সুমন শীল নামের শিবচরের বন্দরখোলা এলাকার এক যুবক বলেন, ‘পাঁচ্চর থেকে হেঁটে জনসভায় এসেছেন। পথে কয়েকবার বিশ্রাম নিতে হয়েছে। অসংখ্য মানুষের পদযাত্রা ছিল সমাবেশের দিকে। তাই দীর্ঘ পথে হেঁটে আসার কষ্ট অনুভব হয়নি। তবে সমাবেশ চলাকালীন বৃষ্টি ও ভিড়ে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী বিভাগের ২১ জেলা থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, লঞ্চ, ট্রলারসহ বিভিন্ন যানবাহনে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে আসেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। পরে পাঁচ্চর এলাকায় পৌঁছালে আর সামনে যেতে দেওয়া হয়নি। ফলে যানবাহনগুলো অ্যাপ্রোচ সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে পাঁচ্চর থেকে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। অনেকেই এই দীর্ঘপথ হেঁটে জনসভাস্থলে পৌঁছেছেন। নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছিল আনন্দ আর উল্লাস। কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর নৌকার আদলে যানবাহন বানিয়ে পুরো জনসভাস্থল ঘুরছেন। এ ছাড়া প্রবাস থেকে অনেকেই এই সমাবেশে যোগ দিতে ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন।
এ দিকে জনসভা শেষে সবাই নিরাপদে বাড়ি চলে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এখানে এসএসএফ, ডিজিএফআই, এনএসআই, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সকালেই বিলাসবহুল লঞ্চ এসে ভিড়তে থাকে বাংলাবাজার ঘাটে। লঞ্চ ঘাটে ভিড়তেই শত শত যাত্রীর স্লোগান-উল্লাস। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষ চেয়ে আছে সমাবেশস্থলের দিকে। সড়কপথের পাশাপাশি ভোর থেকেই লঞ্চ এসে ভিড়েছে ঘাটে। দূরপাল্লার বড় বড় লঞ্চ এবং মাদারীপুর, ফরিদপুরের আড়িয়াল খাঁ নদবর্তী এলাকা থেকেও ছোট ছোট অসংখ্য লঞ্চ এসে ভিড়েছে বাংলাবাজার ঘাটে। পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল থেকে সুন্দরবন ৯, এমভি জামাল, প্রিন্স আওলাদসহ অনেক বিলাসবহুল লঞ্চ এসে ঘাটে ভিড়ে।
বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটে অবস্থানরত র্যাব–৮ বরিশাল ক্যাম্পের ডিএডি আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমরা জনসভায় আসা মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছি। একই সঙ্গে জনসাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে জনসভায় যেতে পারেন তার ব্যবস্থা করেছি। এখনও পর্যন্ত ঘাট এলাকায় কোনো সমস্যা হয়নি। সমাবেশে আগতদের মধ্যে পানি বিতরণ করা হচ্ছে।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী সভায় যোগ দিতে আগের দিন রাত থেকে দূর-দূরান্ত হতে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে আসতে থাকে সাধারণ মানুষ। বাস, লঞ্চ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, ট্রাকে চড়ে হাজার হাজার মানুষ জনসভায় যোগ দেয়। অনেকে বাসে-ট্রাকে আসন না পেয়ে ছাদে চড়েও এসেছেন। হেঁটেও আসেন মানুষ। জনসভায় ভোগ দিতে সড়কে যেন মানুষের স্রোত নামে।
এতে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকেই মাদারীপুরের শিবচরের পাঁচ্চর থেকে পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের প্রায় ৮ কিলোমিটার যানবাহনের জট লেগে যায়। বাধ্য হয়ে অ্যাপ্রোচ সড়কে নেমে প্রায় দুই-তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে সমাবেশে যোগ দেন সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভায় যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা জানান, জনসভায় যোগ দিতে তাঁরা খুব ভোরেই পৌঁছান। তবে মহাসড়কে গাড়িতে আটকে পড়েন। বাধ্য হয়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দেন তাঁরা। সড়কে ভোগান্তিতে পড়লেও কারও মধ্যে নেই কোনো কষ্ট। বরং জনসভায় যোগ দিতে পারায় খুশি তাঁরা।
সুমন শীল নামের শিবচরের বন্দরখোলা এলাকার এক যুবক বলেন, ‘পাঁচ্চর থেকে হেঁটে জনসভায় এসেছেন। পথে কয়েকবার বিশ্রাম নিতে হয়েছে। অসংখ্য মানুষের পদযাত্রা ছিল সমাবেশের দিকে। তাই দীর্ঘ পথে হেঁটে আসার কষ্ট অনুভব হয়নি। তবে সমাবেশ চলাকালীন বৃষ্টি ও ভিড়ে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী বিভাগের ২১ জেলা থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, লঞ্চ, ট্রলারসহ বিভিন্ন যানবাহনে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে আসেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। পরে পাঁচ্চর এলাকায় পৌঁছালে আর সামনে যেতে দেওয়া হয়নি। ফলে যানবাহনগুলো অ্যাপ্রোচ সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে পাঁচ্চর থেকে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। অনেকেই এই দীর্ঘপথ হেঁটে জনসভাস্থলে পৌঁছেছেন। নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছিল আনন্দ আর উল্লাস। কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর নৌকার আদলে যানবাহন বানিয়ে পুরো জনসভাস্থল ঘুরছেন। এ ছাড়া প্রবাস থেকে অনেকেই এই সমাবেশে যোগ দিতে ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন।
এ দিকে জনসভা শেষে সবাই নিরাপদে বাড়ি চলে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এখানে এসএসএফ, ডিজিএফআই, এনএসআই, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সকালেই বিলাসবহুল লঞ্চ এসে ভিড়তে থাকে বাংলাবাজার ঘাটে। লঞ্চ ঘাটে ভিড়তেই শত শত যাত্রীর স্লোগান-উল্লাস। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষ চেয়ে আছে সমাবেশস্থলের দিকে। সড়কপথের পাশাপাশি ভোর থেকেই লঞ্চ এসে ভিড়েছে ঘাটে। দূরপাল্লার বড় বড় লঞ্চ এবং মাদারীপুর, ফরিদপুরের আড়িয়াল খাঁ নদবর্তী এলাকা থেকেও ছোট ছোট অসংখ্য লঞ্চ এসে ভিড়েছে বাংলাবাজার ঘাটে। পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল থেকে সুন্দরবন ৯, এমভি জামাল, প্রিন্স আওলাদসহ অনেক বিলাসবহুল লঞ্চ এসে ঘাটে ভিড়ে।
বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটে অবস্থানরত র্যাব–৮ বরিশাল ক্যাম্পের ডিএডি আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমরা জনসভায় আসা মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছি। একই সঙ্গে জনসাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে জনসভায় যেতে পারেন তার ব্যবস্থা করেছি। এখনও পর্যন্ত ঘাট এলাকায় কোনো সমস্যা হয়নি। সমাবেশে আগতদের মধ্যে পানি বিতরণ করা হচ্ছে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৯ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫