Ajker Patrika

মৌলভীবাজারে ধান সেদ্ধ করতে ব্যস্ত কৃষাণীরা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৩৪
Thumbnail image

কেউ ধান কেটে আঁটি বাঁধছেন, কেউ ব্যস্ত ধান মাড়াইয়ে। কেউ আবার ব্যস্ত উনুনে নতুন ধান সেদ্ধ করতে। অগ্রহায়ণ মাসে মৌলভীবাজারে এমন ব্যস্ততা বেড়ে গেছে গ্রামীণ নারীদের।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের বেবি বেগম বলেন, ‘অগ্রহায়ণ মাস এলেই ধান সেদ্ধ করতে মহিলাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ইট দিয়ে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয় অস্থায়ী উনুন। জ্বালানি হিসেবে খড় ও ধানের ভুসি দিয়ে তৈরি কয়েল লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।’

একসময় মা-দাদিরা বড় মাটির হাঁড়িতে ধান সেদ্ধ করতেন। এখন পাতিলে করা হয়। ইট দিয়ে তৈরি অস্থায়ী মাটির চুলাও তৈরি করেন অনেকে। একটি পাতিলে ২০ কেজি ধান সেদ্ধ করা যায়। ২ মণ ধান একসঙ্গে সেদ্ধ করা যায় অল্প সময়ে। এক পাতিল ধান সেদ্ধ করতে সময় লাগে ৪০-৪৫ মিনিট।

বেবি বেগম আরও বলেন, ‘ধান সেদ্ধ দেওয়ার পর ত্রিপল, বাঁশের চাটাই কিংবা বিশেষ ধরনের তৈরি মাটির ‘‘খলা’’য় সেদ্ধ ধান শুকানো হয়। শীতের কারণে সূর্যের তাপমাত্রা কম থাকায় ধান শুকাতে দু-তিন দিন লেগে যায়। বেশি কুয়াশা বা বৃষ্টি হলে ধান শুকাতে সমস্যা হয়।’

একই গ্রামের মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘অগ্রহায়ণ এলে আমাদের সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হয়। পুরুষেরা চলে যান মাঠে ধান কাটতে। ধান বাড়িতে এনে মাড়াই করা হয়। আর নারীরা সকাল থেকে ধান, খড় শুকানো ও সেদ্ধ করে। রাত ৯-১০টা পর্যন্তও ধান সেদ্ধ করা হয়। এভাবে চলে বেশ কয়েক দিন।’

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মৌলভীবাজারে আমন চাষ করা হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন চাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত