এ জে লাভলু, বড়লেখা (মৌলভীবাজার)
বড়লেখায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে সুগন্ধি আগর-আতর ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিদেশে চাহিদা কমায় রপ্তানিও কমেছে, বন্ধ রয়েছে ছোট-বড় কারখানা। এমন অবস্থায় বেকার হয়ে পড়েছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার প্রভাবে বেচাকেনা কমে গেলেও আগর-আতর একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। এটির ভবিষ্যৎ আছে। বিদেশে আবারও এসব সুগন্ধির চাহিদা বাড়লে রপ্তানিও বাড়বে। তবে স্থিতিশীলতার জন্য খানিকটা সময় লাগবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন শত বছর ধরে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আগর-আতর উৎপাদন হচ্ছে। ওই ইউনিয়নকে আগর-আতরের রাজধানী বলা হয়। বর্তমানে এই শিল্পের সঙ্গে ওই ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবার জড়িত রয়েছে। এখানে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ৩০০ আগর-আতর কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
সুজানগর ইউনিয়নের উৎপাদিত আগর-আতর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, ওমান, ইয়েমেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আগর-আতর রপ্তানি হয়ে থাকে। বড়লেখা থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১ হাজার লিটার আতর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। পাশাপাশি আগরের কাঠও রপ্তানি হয়। প্রতি লিটারের আতরের বাজার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ লাখ টাকা।
সরেজমিনে সুজানগর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ কারখানা বন্ধ। কয়েকটি কারখানা খোলা আছে। এসব কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ করছেন।
এ সুগন্ধি ব্যবসায়ীরা জানান, ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমানের ফ্লাইট। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে সুগন্ধি রপ্তানি কার্যক্রম। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা কমেছে। ফলে সুজানগর ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা সুগন্ধি রপ্তানি করতে পারছেন না। এ অবস্থায় অধিকাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে।
অনেক ব্যবসায়ীর ঘরে কোটি কোটি টাকার সুগন্ধি পড়ে রয়েছে। বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা।
সুগন্ধি তৈরি করা শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘আগে আগর-আতর ভালোই বেচাকেনা হতো। আমাদের কাজ ছিল। করোনার শুরু থেকেই বিকিকিনি নেই। অনেক কারখানাও বন্ধ। আমরাও বেকার। এমনকি ব্যবসায়ীরা গ্যাস বিলও দিতে পারছেন না।’
রুবেল আহমদ বলেন, ‘বিদেশে সুগন্ধির চাহিদা কমায় রপ্তানিও কমেছে। এতে ব্যবসায়ীরা বিপাকে রয়েছেন। অনেকে কারখানা বন্ধ রেখেছেন। এ জন্য আমরা শ্রমিকেরা বেকার। এতে আমরা অনেক কষ্টে আছি। সরকারের উচিত আমাদের পাশে দাঁড়ানো।’
ব্যবসায়ী আব্দুল বাতিন বলেন, ‘প্রায় ১২-১৩ বছর থেকে আমি এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমার কারখানায় প্রায় ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। করোনার শুরু হওয়ার পর থেকে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় সুগন্ধি রপ্তানি কমতে শুরু করে। এদিকে করোনার কারণে বিদেশেও এর চাহিদা কমেছে। আমার কাছে এখনো ১৫ লাখ টাকার আগর-আতর রয়েছে। বিক্রি করতে পারছি না।’
আব্দুল বাতিন আরও বলেন, সুজানগরের অধিকাংশ সুগন্ধি ব্যবসায়ীর অবস্থা এখন একই রকম। কেউ সুগন্ধি বিক্রি করতে পারছেন না। তাঁদের সবার ঘরে সুগন্ধি পড়ে আছে। যার কারণে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে। বিদেশে এর চাহিদা বাড়লে রপ্তানি আবার বাড়বে।
বাংলাদেশ আগর অ্যান্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনছারুল হক বলেন, করোনার প্রভাবে সুগন্ধি ব্যবসা মন্দা চলছে। সব ব্যবসায়ীর কাছে প্রচুর সুগন্ধি জমা রয়েছে। বিক্রি করতে পারছেন না। তবে এই অবস্থা থাকবে না। এটি একটি সম্ভাবনাময় পণ্য। করোনার প্রকোপ কমলে আবারও এই ব্যবসা জমবে। এতে কিছুটা সময় লাগবে।’
বড়লেখায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে সুগন্ধি আগর-আতর ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিদেশে চাহিদা কমায় রপ্তানিও কমেছে, বন্ধ রয়েছে ছোট-বড় কারখানা। এমন অবস্থায় বেকার হয়ে পড়েছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার প্রভাবে বেচাকেনা কমে গেলেও আগর-আতর একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। এটির ভবিষ্যৎ আছে। বিদেশে আবারও এসব সুগন্ধির চাহিদা বাড়লে রপ্তানিও বাড়বে। তবে স্থিতিশীলতার জন্য খানিকটা সময় লাগবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন শত বছর ধরে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আগর-আতর উৎপাদন হচ্ছে। ওই ইউনিয়নকে আগর-আতরের রাজধানী বলা হয়। বর্তমানে এই শিল্পের সঙ্গে ওই ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবার জড়িত রয়েছে। এখানে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ৩০০ আগর-আতর কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
সুজানগর ইউনিয়নের উৎপাদিত আগর-আতর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, ওমান, ইয়েমেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আগর-আতর রপ্তানি হয়ে থাকে। বড়লেখা থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১ হাজার লিটার আতর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। পাশাপাশি আগরের কাঠও রপ্তানি হয়। প্রতি লিটারের আতরের বাজার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ লাখ টাকা।
সরেজমিনে সুজানগর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ কারখানা বন্ধ। কয়েকটি কারখানা খোলা আছে। এসব কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ করছেন।
এ সুগন্ধি ব্যবসায়ীরা জানান, ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমানের ফ্লাইট। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে সুগন্ধি রপ্তানি কার্যক্রম। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা কমেছে। ফলে সুজানগর ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা সুগন্ধি রপ্তানি করতে পারছেন না। এ অবস্থায় অধিকাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে।
অনেক ব্যবসায়ীর ঘরে কোটি কোটি টাকার সুগন্ধি পড়ে রয়েছে। বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা।
সুগন্ধি তৈরি করা শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘আগে আগর-আতর ভালোই বেচাকেনা হতো। আমাদের কাজ ছিল। করোনার শুরু থেকেই বিকিকিনি নেই। অনেক কারখানাও বন্ধ। আমরাও বেকার। এমনকি ব্যবসায়ীরা গ্যাস বিলও দিতে পারছেন না।’
রুবেল আহমদ বলেন, ‘বিদেশে সুগন্ধির চাহিদা কমায় রপ্তানিও কমেছে। এতে ব্যবসায়ীরা বিপাকে রয়েছেন। অনেকে কারখানা বন্ধ রেখেছেন। এ জন্য আমরা শ্রমিকেরা বেকার। এতে আমরা অনেক কষ্টে আছি। সরকারের উচিত আমাদের পাশে দাঁড়ানো।’
ব্যবসায়ী আব্দুল বাতিন বলেন, ‘প্রায় ১২-১৩ বছর থেকে আমি এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমার কারখানায় প্রায় ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। করোনার শুরু হওয়ার পর থেকে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় সুগন্ধি রপ্তানি কমতে শুরু করে। এদিকে করোনার কারণে বিদেশেও এর চাহিদা কমেছে। আমার কাছে এখনো ১৫ লাখ টাকার আগর-আতর রয়েছে। বিক্রি করতে পারছি না।’
আব্দুল বাতিন আরও বলেন, সুজানগরের অধিকাংশ সুগন্ধি ব্যবসায়ীর অবস্থা এখন একই রকম। কেউ সুগন্ধি বিক্রি করতে পারছেন না। তাঁদের সবার ঘরে সুগন্ধি পড়ে আছে। যার কারণে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে। বিদেশে এর চাহিদা বাড়লে রপ্তানি আবার বাড়বে।
বাংলাদেশ আগর অ্যান্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনছারুল হক বলেন, করোনার প্রভাবে সুগন্ধি ব্যবসা মন্দা চলছে। সব ব্যবসায়ীর কাছে প্রচুর সুগন্ধি জমা রয়েছে। বিক্রি করতে পারছেন না। তবে এই অবস্থা থাকবে না। এটি একটি সম্ভাবনাময় পণ্য। করোনার প্রকোপ কমলে আবারও এই ব্যবসা জমবে। এতে কিছুটা সময় লাগবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪