হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব ফাদ্রাইল গ্রামে আফজাল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের জেরে পুরুষশূন্য বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় হামলাকারীরা অন্তত ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে হাওরে পালিয়ে যান নারী ও শিশুরা।
গত বুধবার বিকেলে দুই ঘণ্টাব্যাপী হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তাঁদের দাবি, নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ভাঙচুর করে তাঁদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৪ সালে গ্রামবাসীর উদ্যোগে পূর্ব ফান্ডাইল জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সম্প্রতি মসজিদটি নতুনভাবে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কাজও প্রায় শেষের দিকে।
গ্রামবাসী ও বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া অনুদানের টাকা জমা রাখা হয় গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল ইসলাম সেফুলের কাছে। মসজিদ পুনর্নির্মাণের তদারকিও তিনিই করেন। এ সুযোগে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে বাবার নামে করার চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে সেফুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়।
গত সোমবার পাঁচ পীরের মাজারে ওরস চলাকালীন রাতে মসজিদের নাম পরিবর্তন নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় সাইফুল ইসলাম সেফুলের পক্ষের আফজাল চৌধুরী নিহত হন। আহত হন অন্তত আরও ১০ জন।
আফজাল চৌধুরী ওই গ্রামের জামাল উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ের গাড়ির চালক ছিলেন। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গ্রামের পুরুষেরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ সুযোগে বুধবার বিকেলে সাইফুল ইসলাম সেফুলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে। এ সময় নারী ও শিশুরা জীবন বাঁচাতে হাওরের পালিয়ে যান।
তারা গ্রামের সাধন চৌধুরী, শাহাজাহান চৌধুরী, তাউস চৌধুরী, গাউছ চৌধুরী, আওয়াল চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, আবদাল চৌধুরী, জাহির চৌধুরী, সামছুল চৌধুরী, হাজী ইমন চৌধুরী ও কালো চৌধুরীর বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর করে।
হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে জানতে চাইলে নিহত আফজাল চৌধুরীর ভাই তজল মিয়া চৌধুরী বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাইকে হারিয়ে শোকে কাতর। তারপর আমাদের অধিকাংশ লোকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত আমরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলাই দায়ের করতে পারিনি। বাড়ি ভাঙচুর করব কীভাবে? তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন।’
এ ব্যাপারে কোর্ট স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পাই। তবে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মালা হয়নি বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব ফাদ্রাইল গ্রামে আফজাল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের জেরে পুরুষশূন্য বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় হামলাকারীরা অন্তত ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে হাওরে পালিয়ে যান নারী ও শিশুরা।
গত বুধবার বিকেলে দুই ঘণ্টাব্যাপী হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তাঁদের দাবি, নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ভাঙচুর করে তাঁদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৪ সালে গ্রামবাসীর উদ্যোগে পূর্ব ফান্ডাইল জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সম্প্রতি মসজিদটি নতুনভাবে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কাজও প্রায় শেষের দিকে।
গ্রামবাসী ও বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া অনুদানের টাকা জমা রাখা হয় গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল ইসলাম সেফুলের কাছে। মসজিদ পুনর্নির্মাণের তদারকিও তিনিই করেন। এ সুযোগে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে বাবার নামে করার চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে সেফুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়।
গত সোমবার পাঁচ পীরের মাজারে ওরস চলাকালীন রাতে মসজিদের নাম পরিবর্তন নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় সাইফুল ইসলাম সেফুলের পক্ষের আফজাল চৌধুরী নিহত হন। আহত হন অন্তত আরও ১০ জন।
আফজাল চৌধুরী ওই গ্রামের জামাল উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ের গাড়ির চালক ছিলেন। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গ্রামের পুরুষেরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ সুযোগে বুধবার বিকেলে সাইফুল ইসলাম সেফুলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে। এ সময় নারী ও শিশুরা জীবন বাঁচাতে হাওরের পালিয়ে যান।
তারা গ্রামের সাধন চৌধুরী, শাহাজাহান চৌধুরী, তাউস চৌধুরী, গাউছ চৌধুরী, আওয়াল চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, আবদাল চৌধুরী, জাহির চৌধুরী, সামছুল চৌধুরী, হাজী ইমন চৌধুরী ও কালো চৌধুরীর বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর করে।
হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে জানতে চাইলে নিহত আফজাল চৌধুরীর ভাই তজল মিয়া চৌধুরী বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাইকে হারিয়ে শোকে কাতর। তারপর আমাদের অধিকাংশ লোকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত আমরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলাই দায়ের করতে পারিনি। বাড়ি ভাঙচুর করব কীভাবে? তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন।’
এ ব্যাপারে কোর্ট স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পাই। তবে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মালা হয়নি বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪