হারুনুর রশিদ, রায়পুরা
নরসিংদীর রায়পুরায় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলার কারণে আড়িয়াল খাঁ নদের পানি দূষিত হচ্ছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে জলজ প্রাণী। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে নদের দুই পাড়ে বিভিন্ন অংশ দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দখল ও দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী আড়িয়াল খাঁ নদ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দখল ও দূষণে নদটি মারা যাচ্ছে।
এদিকে দূষণের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে উপজেলা পরিষদের সভায় নদের তীরবর্তী শিল্পকারখানাগুলোর তরল বর্জ্য পরিশোধন করার জন্য শোধনাগার বা ইটিপি প্ল্যান্ট চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। এর মধ্য দিয়ে শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে আসা বন্ধ হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার আমিরগঞ্জ, ডৌকারচর, আদিয়াবাদ, পলাশতলী ও মরজাল ইউনিয়ের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া আড়িয়াল খাঁ নদটি এক ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি ছিল। বর্জ্য, ময়লা, বালু ও মাটি ফেলে অবাধে পাড়ের জায়গা দিনের পর দিন ভরাট করে নদ দখল করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। দিন দিন তা বাড়ছে। নদের বিভিন্ন অংশের অনেক জায়গা ইতিমধ্যে দখল হয়ে গেছে।
সরকারি আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী হাসনাবাদ ও রাধাগঞ্জ বাজারসহ ছোট-বড় অনেক বাজার গড়ে উঠেছে। এই নদে সুস্বাদু অনেক মাছ পাওয়া যেত। এক সময়ে সেটাই ছিল নদটির ঐতিহ্য। তবে বর্তমানে শিল্পকারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। মাছ মরে যাচ্ছে। প্রায়ই মরে যাওয়া মাছ ভেসে উঠতে দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ডৌকারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাসুদ ফরাজী বলেন, ‘নরসিংদীতে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানার দূষিত বর্জ্যে আড়িয়াল খাঁ নদের পানি দূষিত হচ্ছে। এর ফলে নদীর মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মরে যাচ্ছে। নদের তীরে চাষ করা বোরো ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তা ছাড়া কিছু লোক নদের বিস্তীর্ণ জায়গায় বালু ফেলে স্থাপনা নির্মাণ করছে। এতে প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে নদের অনেক জায়গা।’
মাসুদ ফরাজী আরও বলেন, ‘আমরা এই নদ দূষণ বন্ধ ও অবৈধ দখল বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছি। অবিলম্বে আড়িয়াল খাঁ নদসহ আশপাশের সকল নদী দূষণ বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
আদিয়াবাদ ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘দূষণের কারণে নদের তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের দুর্যোগের কথা শুনেছি। দ্রুত সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘নদ দূষণের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে নদী তীরবর্তী শিল্পকারখানাগুলোতে ইটিপি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বারবার বলে যাচ্ছি, যেন শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদে আসা বন্ধ হয়।’
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। এর মধ্যে যাঁরা ইটিপি চালাচ্ছেন না তাঁদের আমরা ধরছি। প্রয়োজনে কারখানা বন্ধের ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রতিটি কারখানায় আইপি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা দেব। যাঁরা ইটিপি চালাবেন না, তাঁরা ধরা পড়বেন।’
নরসিংদীর রায়পুরায় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলার কারণে আড়িয়াল খাঁ নদের পানি দূষিত হচ্ছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে জলজ প্রাণী। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে নদের দুই পাড়ে বিভিন্ন অংশ দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দখল ও দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী আড়িয়াল খাঁ নদ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দখল ও দূষণে নদটি মারা যাচ্ছে।
এদিকে দূষণের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে উপজেলা পরিষদের সভায় নদের তীরবর্তী শিল্পকারখানাগুলোর তরল বর্জ্য পরিশোধন করার জন্য শোধনাগার বা ইটিপি প্ল্যান্ট চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। এর মধ্য দিয়ে শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে আসা বন্ধ হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার আমিরগঞ্জ, ডৌকারচর, আদিয়াবাদ, পলাশতলী ও মরজাল ইউনিয়ের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া আড়িয়াল খাঁ নদটি এক ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি ছিল। বর্জ্য, ময়লা, বালু ও মাটি ফেলে অবাধে পাড়ের জায়গা দিনের পর দিন ভরাট করে নদ দখল করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। দিন দিন তা বাড়ছে। নদের বিভিন্ন অংশের অনেক জায়গা ইতিমধ্যে দখল হয়ে গেছে।
সরকারি আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী হাসনাবাদ ও রাধাগঞ্জ বাজারসহ ছোট-বড় অনেক বাজার গড়ে উঠেছে। এই নদে সুস্বাদু অনেক মাছ পাওয়া যেত। এক সময়ে সেটাই ছিল নদটির ঐতিহ্য। তবে বর্তমানে শিল্পকারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। মাছ মরে যাচ্ছে। প্রায়ই মরে যাওয়া মাছ ভেসে উঠতে দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ডৌকারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাসুদ ফরাজী বলেন, ‘নরসিংদীতে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানার দূষিত বর্জ্যে আড়িয়াল খাঁ নদের পানি দূষিত হচ্ছে। এর ফলে নদীর মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মরে যাচ্ছে। নদের তীরে চাষ করা বোরো ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তা ছাড়া কিছু লোক নদের বিস্তীর্ণ জায়গায় বালু ফেলে স্থাপনা নির্মাণ করছে। এতে প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে নদের অনেক জায়গা।’
মাসুদ ফরাজী আরও বলেন, ‘আমরা এই নদ দূষণ বন্ধ ও অবৈধ দখল বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছি। অবিলম্বে আড়িয়াল খাঁ নদসহ আশপাশের সকল নদী দূষণ বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
আদিয়াবাদ ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘দূষণের কারণে নদের তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের দুর্যোগের কথা শুনেছি। দ্রুত সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘নদ দূষণের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে নদী তীরবর্তী শিল্পকারখানাগুলোতে ইটিপি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বারবার বলে যাচ্ছি, যেন শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদে আসা বন্ধ হয়।’
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। এর মধ্যে যাঁরা ইটিপি চালাচ্ছেন না তাঁদের আমরা ধরছি। প্রয়োজনে কারখানা বন্ধের ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রতিটি কারখানায় আইপি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা দেব। যাঁরা ইটিপি চালাবেন না, তাঁরা ধরা পড়বেন।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪