Ajker Patrika

বন্য হাতির পাল থেকে ফসল বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
বন্য হাতির পাল থেকে ফসল বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকেরা বন্য হাতির পাল থেকে আমন ধান রক্ষা করতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। গত এক মাস ধরে দুই গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষক প্রায় ২০০ একর জমির ফসল রক্ষায় মশাল জ্বালিয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে, হুল্লোড় করে, পটকা ফুটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। হাতি প্রতিরোধে ফসল রক্ষায় বন বিভাগের সহযোগিতাও চেয়েছেন তাঁরা।

বন বিভাগ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ের ঢালে মায়াঘাসি ও ফেকামারী গ্রামে দেড় শতাধিক প্রান্তিক কৃষক ঋণ করে ২০০ একর জমিতে আমন আবাদ করেছেন। প্রতি একর আবাদে কৃষকের খরচ পড়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এক মাস ধরে ৪০-৪৫টি ছোট-বড় হাতি ফেকামারী পাহাড়ে অবস্থান করছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে খাবারের সন্ধানে হাতির দলটি লোকালয়ে চলে আসে। এক মাসে ফেকামারী ও মায়াঘাসি গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষকের প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর আমনের ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে।

এখন বাকি ফসল রক্ষায় এলাকাবাসী বিকেল থেকে সারা রাত জেগে হাতি পাহারায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। হাতির পাল ফসলে নামলে এলাকাবাসী বিভিন্ন উপায়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় ফসল রক্ষায় হাতি তাড়াতে বন বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নূর ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলে হাতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের দিকেই তেড়ে আসে। প্রায় এক মাস ধরে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি। এ ফসল নষ্ট হইলে সারা বছর পরিবার নিয়া চলমু কেমনে।’

মায়াঘাসি গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক (৪৮) বলেন, ‘অনেক কষ্টে ১৫ হাজার টাকা খরচ কইরা ৫০ শতাংশ জমি চাষ করছিলাম। আত্তি তো সব ফসল শেষ কইরা দিল।

আমার অহন ছয় পুলাপান লইয়া না খাইয়া থাহা লাগবো।’

এ বিষয়ে বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. মাজহারুল হক বলেন, গত বুধবার থেকে হাতির দলটি মায়াঘাসি লোকালয়ে অবস্থান করছে। এলাকাবাসীকে নিয়ে ফসলের মাঠ থেকে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত