Ajker Patrika

স্বতন্ত্রে কোণঠাসা নৌকা

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ৪৮
Thumbnail image

জামালগঞ্জে শেষ মুহূর্তে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন জমে উঠেছে। পঞ্চম ধাপের এ নির্বাচনে উপজেলার চারটি ইউপিতে ভোট কাল বুধবার। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহীরা। ২২ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ মোট ১৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২২ জন। নৌকা প্রতীকে ৪ জন, বিদ্রোহী ৪ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ১৪ জন। বেহেলী ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী ২, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ জন। ফেনারবাঁক ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী ২ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ জন। ভীমখালী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩ জন। সাচনা বাজার ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫ জন।

১ নম্বর বেহেলী ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুব্রত সামন্ত সরকার।

তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেন। এ ছাড়া এই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (বর্তমান বহিষ্কৃত) অসিম কুমার তালুকদার নির্বাচন করছেন বিদ্রোহী হিসেবে ঢোল প্রতীক নিয়ে।

বেহেলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী অজিত রায়ও নির্বাচন করছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে এবং স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে রয়েছেন মাকসুদুল আলম মকসুদ।

এদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে কোন্দল এবং দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে নৌকার অশনিসংকেত বলে দাবি করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

এখানে নৌকার প্রার্থী সুব্রত সামন্ত সরকারের বেশ জনপ্রিয়তা থাকলেও দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর চাপে নৌকার ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে।

ফেনারবাঁক ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন কাজল চন্দ্র তালুকদার। এই ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছে দুজন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীকে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মতিউর রহমান মতি এবং ঘোড়া প্রতীকে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. নূরু মিয়া। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন বিএনপি নেতা মো. জুলফিকার চৌধুরী।

এদিকে ভীমখালী ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আক্তারুজ্জামান শাহ্। এখানে নৌকার বিপক্ষে যদিও আওয়ামী লীগের পদবিধারী কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এতে নৌকার অনেক ক্ষতি হবে বলেও ধারণা স্থানীয়দের।

অপরদিকে সাচনা বাজার ইউপিতে নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন সায়েম পাঠান। এখানে বিদ্রোহী কোনো প্রার্থী না থাকলেও স্বতন্ত্র হিসেবে শক্তভাবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন বিএনপি নেতা মো. মাসুক মিয়া। এ ছাড়া রয়েছেন চশমা প্রতীক নিয়ে তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল হাসানসহ সাত প্রার্থী। এতে চরম শঙ্কা আর চাপে আছেন নৌকার প্রার্থী।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেন বলেন, বিদ্রোহীদের ব্যাপারে দল খুবই কঠোর। এর আগেও যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন, দল তাঁদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। উপজেলা থেকে বিদ্রোহীদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে জামালগঞ্জ উপজেলার ৪ ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে। এতে উপজেলার ৪টি ইউপিতে ২৪ জন চেয়ারম্যান, ৫৯ সংরক্ষিত সদস্য ও ২০১ জন সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৮২ হাজার ২৪৪ জন এবং ৪২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত