Ajker Patrika

রাস্তার পাশে স’ মিলের গাছ

মহসিন মোল্যা, শ্রীপুর (মাগুরা)
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৪
রাস্তার পাশে স’ মিলের গাছ

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর-নাকোল সড়কে সরকারি রাস্তার দুই পাশে গাছ রেখে স’ মিল ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে স ‘মিলে চিরাই করতে আনা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রাস্তার পাশে রেখে জনভোগান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে স’মিলের ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে সেখানে।

স’মিলের মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাছ এনে রাস্তার দু পাশে ফেলে জমাট (স্তূপ) করে রাখছে। ফলে বিভিন্ন সময় ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এ ছাড়া ট্রাক, ট্রলি ও ভ্যান স’মিলের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থামিয়ে গাছ ওঠা নামা করায় রাস্তার দু পাশে যানবাহন আটকে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহসাধারণ পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।

শ্রীপুর হতে নাকোল সড়কের পাশে ৬টি স’মিল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে, কাজলি বাজারে হান্নান মোল্লার হান্নান স’মিল, আমতৈল বাজারে কাসেম মোল্লার কাসেম স’মিল, সব্দালপুর বাজারে সিরাজুল ইসলামের আমিনউদ্দীন স’মিল, রাধানগর বাজারে মালেক বিশ্বাসের মালেক স’মিল ও নাকোল বাজারে সিফাতুল ইসলামের প্যাসিফিক টিম্বার্স অ্যান্ড স’মিল নামে ২টি স’মিল।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শ্রীপুর হতে নাকোল ব্যস্ততম সড়কের প্রায় প্রতিটি বাজার সংলগ্ন স’মিল গড়ে উঠেছে। শ্রীপুর থেকে নাকোল যেতে প্রথমেই চোখে পড়ে কাজলি বাজারের পাশে গড়ে ওঠা হান্নান স’মিল। সড়কের সরকারি জায়গার ওপর গাছ রেখে দীর্ঘদিন জমজমাট ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। এ ছাড়া কাজলি বাজার থেকে প্রায় আমতৈল বাজার, আমতৈল বাজার থেকে তারাউজিয়াল, সব্দালপুর বাজারে প্রবেশ মুখে, রাধানগর ও নাকোল বাজারে প্রবেশের সময় এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

এ বিষয়ে হান্নান স’মিলের মালিক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘কেউ এ বিষয়ে কোনো দিন বলেনি। গাছের লগ এভাবে রাখলে সমস্যা হয়। কেউ বললে সরিয়ে নেব। তবে মিল এলাকার বাইরে আমরা রাখি না, ব্যবসায়ীরা রাখে। সে দায়ভার আমাদের না।’

আমিনউদ্দীন স’মিলের মালিক সিরাজুল ইসলাম ও প্যাসিফিক টিম্বার্স অ্যান্ড স’মিলের মালিক সিফাতুল ইসলাম বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে গাছের গুঁড়ি এভাবে রাখা ঠিক না আমরাও বুঝি। তবে এগুলো আমরা রাখি না, ব্যবসায়ীরা রাখে।’

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমরা গাছগুলো রাস্তা থেকে দূরেই রেখেছি। তবে যত দূর রাখার প্রয়োজন জায়গার অভাবে পারছি না।’

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কণ্ডু জানান, সরকারি জায়গায় ওপর গাছ রেখে জনভোগান্তি সৃষ্টি করে ব্যবসা পরিচালনা করার কোনো সুযোগ নেই। যদি এমনই হয় অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত