নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিস্তর ব্যবধানে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা করলেও ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল গতকাল রোববার বিক্রি হয়েছে ১৬৩-১৬৪ টাকায়। আর পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১২৯ টাকা লিটার। আর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকায় এবং পাম তেল ১৪২ থেকে ১৪৫ টাকায়। অর্থাৎ পাইকারি ও খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলে লিটারপ্রতি ব্যবধান হচ্ছে ১২-১৫ টাকা এবং পাম তেলে ১৩-১৬ টাকা। একই তেল শুধু বোতলজাত হলে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১৯২ টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ আসে মূলত মিলগুলো থেকে। আর মিলগুলো ভোজ্যতেল পরিশোধনের পর তিনটি উপায়ে বাজারজাত করে। তাদের একটি হচ্ছে ২০০ লিটারের ড্রামে, ১৬ লিটারের টিনে এবং ১, ২, ৫ ও ৮ লিটারের বোতলে। এসব তেলের গুণগত কোনো পার্থক্য থাকে না। ড্রাম ও টিনের তেল খোলা তেল হিসেবে বিক্রি হয়। আর বোতলের ওপর ১৫ শতাংশ বাড়তি খরচ যোগ করে বাজারে দেওয়া হয়।
২২ আগস্ট সরকার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকা এবং পাম তেল ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করে। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৬-১৮৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৬-১৮২ টাকা। আর পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৪৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১২০-১৩০ টাকায়।
রাজধানীর কামঙ্গারীরচরের বিছমিল্লাহ স্টোরের ব্যবসায়ী হাজি কিসমত আলী জানান, মিলগুলো বাড়তি লাভের কারণে আগেই দাম বাড়িয়ে নির্ধারণ করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, ভোজ্যতেল আমদানিকারক সমিতির একটি প্যাডে দাম বাড়ানোর লিখিত প্রস্তাব করে। সেটির ওপর ট্যারিফ কমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ভরশীল হয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। অথচ আগে দাম বাড়ানো হলে সংসদীয় কমিটি, মন্ত্রণালয় বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদের ডেকে দাম নির্ধারণ করত। কিন্তু বর্তমানে সেটি করছে না। ফলে পাইকারি ও খুচরা দামে ব্যবধান বেশি হচ্ছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ভোজ্যতেল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারও কাছে হয়তো আগের কেনা তেল মজুত আছে। এ কারণে তাঁরা দাম কমিয়ে বিক্রি করছেন। এটি সমন্বয় হতে কয়েকটি দিন সময় লাগবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে শুধু ডলারের দামের অজুহাত টেনে দাম বাড়ানো হলো। সরকারের নজরদারির অভাব ও কোম্পানিগুলোর প্রতি দুর্বলতায় আরেক দফা দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। অপর দিকে বাজারে সব ধরনের ভোজ্যতেল প্যাকেট করা হলে ভোক্তাকে বেশি দামে তা কিনতে হবে।
আন্তর্জাতিক অনলাইন নিউজপোর্টাল ইনডেক্স মুডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টন সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫২৫ থেকে ১ হাজার ৫৬১ মার্কিন ডলারে। এই তেল গত মে মাসে ছিল ১ হাজার ৯৬২ ডলার এবং জুনে ১ হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলার। চলতি মাসের একই তারিখে প্রতি মেট্রিক টন পাম তেল আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়েছে ৯২১ মার্কিন ডলারে, যা মে মাসে বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৭১৭ ডলার ও জুনে ১ হাজার ৫০১ মার্কিন ডলারে। বিগত জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সয়াবিন তেলে দাম কমেছে টনপ্রতি ৪৩৭ ডলার এবং পাম তেলে ৭৯৬ মার্কিন ডলার।
রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিস্তর ব্যবধানে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা করলেও ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল গতকাল রোববার বিক্রি হয়েছে ১৬৩-১৬৪ টাকায়। আর পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১২৯ টাকা লিটার। আর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকায় এবং পাম তেল ১৪২ থেকে ১৪৫ টাকায়। অর্থাৎ পাইকারি ও খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলে লিটারপ্রতি ব্যবধান হচ্ছে ১২-১৫ টাকা এবং পাম তেলে ১৩-১৬ টাকা। একই তেল শুধু বোতলজাত হলে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১৯২ টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ আসে মূলত মিলগুলো থেকে। আর মিলগুলো ভোজ্যতেল পরিশোধনের পর তিনটি উপায়ে বাজারজাত করে। তাদের একটি হচ্ছে ২০০ লিটারের ড্রামে, ১৬ লিটারের টিনে এবং ১, ২, ৫ ও ৮ লিটারের বোতলে। এসব তেলের গুণগত কোনো পার্থক্য থাকে না। ড্রাম ও টিনের তেল খোলা তেল হিসেবে বিক্রি হয়। আর বোতলের ওপর ১৫ শতাংশ বাড়তি খরচ যোগ করে বাজারে দেওয়া হয়।
২২ আগস্ট সরকার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকা এবং পাম তেল ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করে। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৬-১৮৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৬-১৮২ টাকা। আর পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৪৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১২০-১৩০ টাকায়।
রাজধানীর কামঙ্গারীরচরের বিছমিল্লাহ স্টোরের ব্যবসায়ী হাজি কিসমত আলী জানান, মিলগুলো বাড়তি লাভের কারণে আগেই দাম বাড়িয়ে নির্ধারণ করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, ভোজ্যতেল আমদানিকারক সমিতির একটি প্যাডে দাম বাড়ানোর লিখিত প্রস্তাব করে। সেটির ওপর ট্যারিফ কমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ভরশীল হয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। অথচ আগে দাম বাড়ানো হলে সংসদীয় কমিটি, মন্ত্রণালয় বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদের ডেকে দাম নির্ধারণ করত। কিন্তু বর্তমানে সেটি করছে না। ফলে পাইকারি ও খুচরা দামে ব্যবধান বেশি হচ্ছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ভোজ্যতেল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারও কাছে হয়তো আগের কেনা তেল মজুত আছে। এ কারণে তাঁরা দাম কমিয়ে বিক্রি করছেন। এটি সমন্বয় হতে কয়েকটি দিন সময় লাগবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে শুধু ডলারের দামের অজুহাত টেনে দাম বাড়ানো হলো। সরকারের নজরদারির অভাব ও কোম্পানিগুলোর প্রতি দুর্বলতায় আরেক দফা দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। অপর দিকে বাজারে সব ধরনের ভোজ্যতেল প্যাকেট করা হলে ভোক্তাকে বেশি দামে তা কিনতে হবে।
আন্তর্জাতিক অনলাইন নিউজপোর্টাল ইনডেক্স মুডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টন সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫২৫ থেকে ১ হাজার ৫৬১ মার্কিন ডলারে। এই তেল গত মে মাসে ছিল ১ হাজার ৯৬২ ডলার এবং জুনে ১ হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলার। চলতি মাসের একই তারিখে প্রতি মেট্রিক টন পাম তেল আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়েছে ৯২১ মার্কিন ডলারে, যা মে মাসে বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৭১৭ ডলার ও জুনে ১ হাজার ৫০১ মার্কিন ডলারে। বিগত জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সয়াবিন তেলে দাম কমেছে টনপ্রতি ৪৩৭ ডলার এবং পাম তেলে ৭৯৬ মার্কিন ডলার।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪