Ajker Patrika

বিশ্বকাপটা আয়োজন করতে পারছে না বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

অনেক জাঁকজমক আয়োজনে ২০১৭ সালে রোলবলের চতুর্থ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের জন্য পল্টনের আউটার মাঠের পাশে নিজেদের আলাদা স্টেডিয়াম গড়ে দেওয়া হয়েছিল রোলার স্কেটিং ফেডারেশনকে। শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছয় বছর আগে প্রায় ৪০ দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে সফল এক বিশ্বকাপ আয়োজনের পর ষষ্ঠ রোলবল বিশ্বকাপেরও স্বাগতিক হয়েছে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্ধারিত হয়েছিল বিশ্বকাপের সূচি। ঠিক করা হয়েছিল তিনটি ভেন্যুও; কিন্তু বিশ্বকাপের ১৫ দিনেরও কম সময় বাকি থাকার পরও আশ্চর্য নীরব রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। কেন এই নীরবতা বা টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে তারা নিষ্ক্রিয়, এটির কারণ হিসেবে জানা গেছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থা আর ডলার-সংকটে টুর্নামেন্ট আয়োজনে পিছিয়ে আসতে চাইছে রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। আরেক স্বাগতিক খুঁজতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক রোলবল ফেডারেশনকে অনুরোধও করেছে বাংলাদেশ। শুধু তা-ই নয়, নিজেদের অর্থের সংস্থান না হলে অন্য দেশে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলাও কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের পক্ষে।

বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরে ৫০টি দেশের নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১২০০ খেলোয়াড় অংশ নেওয়ার কথা। সঙ্গে কোচ ও কর্মকর্তা মিলিয়ে সংখ্যাটা বড় হবে আরও।আয়োজন করতে পারলে রোলবল বিশ্বকাপ হতে পারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক আসর। কিন্তু এত খেলোয়াড় আর কর্মকর্তা নিয়ে বিশ্বকাপ করতে যে অর্থের প্রয়োজন, সেই অর্থের জোগান খুঁজতে গিয়ে এক প্রকার হালই ছেড়ে দিয়েছে রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘৫০টা দেশ আসার কথা ছিল। এতগুলো দেশের দুটি করে দলের আসা-যাওয়া, বিমান ভাড়াটা আমাদেরই দিতে হতো। হোটেল ভাড়া, অন্য খরচ তো রয়েছেই। শুধু বিমান ভাড়াতেই খরচ চলে যেত ৮-১০ কোটি টাকা। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে অনেক টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আমরাও এর ব্যতিক্রম নই।’

বিশ্বকাপের অর্থ বরাদ্দের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই অর্থের জোগান যে কঠিন হয়ে যাবে সেটা বুঝতে পেরেই নিজেদের সরিয়ে রেখেছে ফেডারেশনটি। ডলার-সংকটে এরই মধ্যে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা কমিয়ে বুঝেশুনে বিদেশ সফর করার জন্য ফেডারেশনগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আসিফুল হাসান বললেন, ‘আমরা আপাতত চুপচাপ আছি। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশনকেও জানিয়ে দিয়েছি, তাঁরা চাইলে অন্য দেশেও আয়োজন করতে পারেন। আমাদের সময় লাগবে, সে কথা তাঁদের জানিয়ে দিয়েছি।’

অন্য দেশে বিশ্বকাপ হলে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়েও শঙ্কার কথা জানালেন তিনি। আসিফুল বলছেন, ‘আরেকটি দেশে বিশ্বকাপ খেলতে গেলেও অনেক টাকার ব্যাপার। এ পরিস্থিতিতে কোথায় পাব অর্থ।’

২০১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় কোচ সুনীল ধাগের কোচিংয়ে তৃতীয় হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৯ বিশ্বকাপেও ছিল একই অর্জন। বিশ্বকাপের আগে চার মাসের প্রস্তুতির কথা থাকলেও এখনো কোনো প্রস্তুতিই শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। নেই কোনো কোচও। বিদেশে বিশ্বকাপ হলে খেলতে যাওয়ার সম্ভাবনা কমই দেখছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত