নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এসব স্থাপনায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলার আগমুহূর্ত পর্যন্ত সবকিছুর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছে। সেসব ফুটেজ দেখেই এখন হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন স্থাপনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এর বাইরে ওই স্থাপনার আশপাশে থাকা ভবন থেকেও সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে অনেকের তথ্য জানার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে সাহায্য চাইছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
ইতিমধ্যে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, তাদের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে হামলার সময় হামলাকারীদের ছবি ও ভিডিও সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেগুলো তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেবে। মেট্রোরেলের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই দিন হামলাকারীরা স্টেশনে ঢুকে সবার আগে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এরপর স্টেশনের লিফট, টিকিট কাউন্টার, স্বয়ংক্রিয় টিকিট মেশিন, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ সবকিছুই ভাঙচুর করেছে। তবে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার আগেই তাঁদের চেহারা এসব ক্যামেরা শনাক্ত করতে পেরেছে। সেসব ছবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত আছে।
মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ তিনটি মামলা করেছে। এর মধ্যে দুটি মামলা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং একটি মামলা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তদন্ত করছে।
রাজধানীর বনানী সেতু ভবনেও আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যে সেতু ভবনে হামলার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, সেতু ভবনের সামনে রাখা ৫৩টি গাড়ি পুড়েছে। লিফট পুড়েছে চারটি। ভবনের ক্যাফেটেরিয়া, অডিটরিয়াম, বাচ্চাদের জন্য ডে কেয়ার, বঙ্গবন্ধু কর্নার পুড়েছে। ভবনের দোতলা পর্যন্ত সব নথি পুড়েছে। ছয়তলা পর্যন্ত অবকাঠামো পুড়েছে। এসবে আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালীতে দুটি টোল প্লাজা পুড়েছে। এসব স্থাপনায় যেসব সিসি ক্যামেরা আছে, সেগুলোর ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভবনে বৃহস্পতি ও শুক্রবার তিন দফা হামলা হয়েছে। বিআরটিএর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বনানী কার্যালয়ে তিন দফায় হামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শুধু নিচতলায় ও দোতলায়, বিকেলে পাঁচতলা পর্যন্ত, পরের দিন শুক্রবার ১৩ তলা পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার মিরপুর সার্কেল অফিসে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়। এই দুই ভবনের সিসি ক্যামেরা দেখে হামলাকারী শনাক্তের কাজ চলছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই আন্দোলনকারীরা ঢাকার কয়েকটি অঞ্চলে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রামপুরা, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুর। এসব এলাকায় পুলিশ বক্স ও আশপাশের স্থাপনায় থাকা সিসি ক্যামেরার ছবি বিশ্লেষণ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ৪৪টি বাস ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বাস একদম পুড়ে গেছে। তিনটি আংশিক পুড়েছে, ৩৮টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। চট্টগ্রামে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতার নির্দেশে ভাড়ায় বাসে আগুন দিয়েছেন তিনি।
মহাখালীতে অনেকগুলো সরকারি স্থাপনায় হামলা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবন, জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি অধিদপ্তর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুর্যোগ ভবন। ভবনের আশপাশের অন্যান্য স্থাপনায় থাকা সিসি ক্যামেরা দেখে হামলাকারী শনাক্তের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, যারা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, সেসব সরকারি স্থাপনার সিসি ক্যামেরা দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। হামলাকারীদের নাম-পরিচয়, মোবাইল নম্বরও বের করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এসব স্থাপনায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলার আগমুহূর্ত পর্যন্ত সবকিছুর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছে। সেসব ফুটেজ দেখেই এখন হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন স্থাপনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এর বাইরে ওই স্থাপনার আশপাশে থাকা ভবন থেকেও সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে অনেকের তথ্য জানার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে সাহায্য চাইছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
ইতিমধ্যে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, তাদের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে হামলার সময় হামলাকারীদের ছবি ও ভিডিও সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেগুলো তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেবে। মেট্রোরেলের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই দিন হামলাকারীরা স্টেশনে ঢুকে সবার আগে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এরপর স্টেশনের লিফট, টিকিট কাউন্টার, স্বয়ংক্রিয় টিকিট মেশিন, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ সবকিছুই ভাঙচুর করেছে। তবে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার আগেই তাঁদের চেহারা এসব ক্যামেরা শনাক্ত করতে পেরেছে। সেসব ছবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত আছে।
মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ তিনটি মামলা করেছে। এর মধ্যে দুটি মামলা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং একটি মামলা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তদন্ত করছে।
রাজধানীর বনানী সেতু ভবনেও আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যে সেতু ভবনে হামলার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, সেতু ভবনের সামনে রাখা ৫৩টি গাড়ি পুড়েছে। লিফট পুড়েছে চারটি। ভবনের ক্যাফেটেরিয়া, অডিটরিয়াম, বাচ্চাদের জন্য ডে কেয়ার, বঙ্গবন্ধু কর্নার পুড়েছে। ভবনের দোতলা পর্যন্ত সব নথি পুড়েছে। ছয়তলা পর্যন্ত অবকাঠামো পুড়েছে। এসবে আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালীতে দুটি টোল প্লাজা পুড়েছে। এসব স্থাপনায় যেসব সিসি ক্যামেরা আছে, সেগুলোর ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভবনে বৃহস্পতি ও শুক্রবার তিন দফা হামলা হয়েছে। বিআরটিএর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বনানী কার্যালয়ে তিন দফায় হামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শুধু নিচতলায় ও দোতলায়, বিকেলে পাঁচতলা পর্যন্ত, পরের দিন শুক্রবার ১৩ তলা পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার মিরপুর সার্কেল অফিসে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়। এই দুই ভবনের সিসি ক্যামেরা দেখে হামলাকারী শনাক্তের কাজ চলছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই আন্দোলনকারীরা ঢাকার কয়েকটি অঞ্চলে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রামপুরা, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুর। এসব এলাকায় পুলিশ বক্স ও আশপাশের স্থাপনায় থাকা সিসি ক্যামেরার ছবি বিশ্লেষণ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ৪৪টি বাস ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বাস একদম পুড়ে গেছে। তিনটি আংশিক পুড়েছে, ৩৮টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। চট্টগ্রামে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতার নির্দেশে ভাড়ায় বাসে আগুন দিয়েছেন তিনি।
মহাখালীতে অনেকগুলো সরকারি স্থাপনায় হামলা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবন, জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি অধিদপ্তর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুর্যোগ ভবন। ভবনের আশপাশের অন্যান্য স্থাপনায় থাকা সিসি ক্যামেরা দেখে হামলাকারী শনাক্তের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, যারা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, সেসব সরকারি স্থাপনার সিসি ক্যামেরা দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। হামলাকারীদের নাম-পরিচয়, মোবাইল নম্বরও বের করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪