জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
খেলাপির ভারে জর্জরিত দেশের ২২টি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নামে-বেনামে দেওয়া ঋণ আদায় কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ চাপে পড়েছে। ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণকৃত ঋণের খেলাপির হার ১৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর ২২টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি হারের স্বাভাবিক সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে ৩টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি প্রায় ৯০ শতাংশে রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, আমানতকারীরা কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, সময়মতো আমানত ফেরত দিতে পারছেন না এসব প্রতিষ্ঠান। আর খেলাপিও বেড়ে গেছে। এসব বিষয় আমানতকারীদের হতাশ করেছে। এখন সাধারণ আমানতকারীর মতো বেশ কিছু করপোরেট প্রতিষ্ঠানও আগের মতো আর এসব প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এটা খুব একটা ভালো সংকেত নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস শেষে অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৭ হাজার ৩৫৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর মাত্র আটটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপির পরিমাণ ৯ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। এই আটটি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি আর্থিক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৭৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
এদিকে সবচেয়ে ভয়াবহ খেলাপিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) ৯৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ৮৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ৮৮ দশমিক ৯২ শতাংশ খেলাপির রেকর্ড গড়েছে। এ ছাড়া বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে আভিভা ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৬ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৮৩ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৭৯ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের খেলাপি ৪৬ শতাংশ এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৪২ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) ভাইস চেয়ারম্যান ও আইআইডিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনাকালে খেলাপি ঋণের বিষয়ে সরকার যে সুবিধা দিয়েছিল, তা চলতি বছরের শুরু থেকে তুলে নেওয়ার কারণেই মূলত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের খেলাপি বেড়েছে। এমনকি ২০২১ সালে কিস্তির ১৫ শতাংশ দিতে না পারায় অনেক গ্রাহক নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়েছেন। আগামী জুনে খেলাপি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সামনে ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও ঋণের সুদ নির্ধারণ করে দিলে কী ধরনের প্রভাব পড়বে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর আমানত ও বিনিয়োগে যথাক্রমে ৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ হার বেঁধে দেওয়া রয়েছে। এর প্রভাব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পড়েছে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও ঋণের সুদ নির্ধারণ করে দিলে কতটা প্রভাব পড়তে পারে, তা আগাম বলাটা মুশকিল।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঋণ আদায় কম হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন দুর্বল হয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি আমানতকারীর আস্থার জায়গাটাও দুর্বল হয়। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এসব প্রতিষ্ঠানকে। বিশেষ করে ঋণ দেওয়ার সময় যেন কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। সামনে প্রজ্ঞাপন জারি করে যাবতীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
খেলাপির ভারে জর্জরিত দেশের ২২টি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নামে-বেনামে দেওয়া ঋণ আদায় কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ চাপে পড়েছে। ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণকৃত ঋণের খেলাপির হার ১৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর ২২টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি হারের স্বাভাবিক সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে ৩টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি প্রায় ৯০ শতাংশে রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, আমানতকারীরা কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, সময়মতো আমানত ফেরত দিতে পারছেন না এসব প্রতিষ্ঠান। আর খেলাপিও বেড়ে গেছে। এসব বিষয় আমানতকারীদের হতাশ করেছে। এখন সাধারণ আমানতকারীর মতো বেশ কিছু করপোরেট প্রতিষ্ঠানও আগের মতো আর এসব প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এটা খুব একটা ভালো সংকেত নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস শেষে অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৭ হাজার ৩৫৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর মাত্র আটটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপির পরিমাণ ৯ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। এই আটটি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি আর্থিক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৭৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
এদিকে সবচেয়ে ভয়াবহ খেলাপিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) ৯৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ৮৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ৮৮ দশমিক ৯২ শতাংশ খেলাপির রেকর্ড গড়েছে। এ ছাড়া বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে আভিভা ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৬ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৮৩ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৭৯ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের খেলাপি ৪৬ শতাংশ এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৪২ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) ভাইস চেয়ারম্যান ও আইআইডিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনাকালে খেলাপি ঋণের বিষয়ে সরকার যে সুবিধা দিয়েছিল, তা চলতি বছরের শুরু থেকে তুলে নেওয়ার কারণেই মূলত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের খেলাপি বেড়েছে। এমনকি ২০২১ সালে কিস্তির ১৫ শতাংশ দিতে না পারায় অনেক গ্রাহক নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়েছেন। আগামী জুনে খেলাপি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সামনে ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও ঋণের সুদ নির্ধারণ করে দিলে কী ধরনের প্রভাব পড়বে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর আমানত ও বিনিয়োগে যথাক্রমে ৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ হার বেঁধে দেওয়া রয়েছে। এর প্রভাব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পড়েছে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও ঋণের সুদ নির্ধারণ করে দিলে কতটা প্রভাব পড়তে পারে, তা আগাম বলাটা মুশকিল।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঋণ আদায় কম হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন দুর্বল হয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি আমানতকারীর আস্থার জায়গাটাও দুর্বল হয়। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এসব প্রতিষ্ঠানকে। বিশেষ করে ঋণ দেওয়ার সময় যেন কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। সামনে প্রজ্ঞাপন জারি করে যাবতীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪