নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনায় সরকারি নিয়ম না মেনে যত্রতত্র গড়ে উঠছে অসংখ্য ইটভাটা। একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি এসব ইটভাটা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে ওঠায় চরম হুমকিতে জেলার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ইটভাটাকে লাইসেন্স নবায়ন করাসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। যাঁরা নিয়ম মানবে না তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ ইটভাটাগুলো অবাধে পরিচালিত হয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। জানা গেছে, সরকারি নিয়ম না মেনে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই নেত্রকোনায় অনেক অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
অবৈধ এসব ইটভাটা থেকে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, গ্যাস ও ধুলায় অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন। ইটভাটার জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট এলাকায় ইটভাটার জায়গা ও ভাটার সংখ্যা নির্ধারণ, লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা চালালে দুই বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান সংযোজন করে ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে সংশোধনী এনে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন সংসদে পাস হয়।
নতুন এ আইনের ৪ ধারায় সংশোধন এনে বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইট ভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবে না।
কিন্তু সরেজমিন দেখা গেছে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ-ধর্মপাশা সড়কে কংস নদের সেতু সংলগ্ন সামাইকোনা গ্রামে মোহনগঞ্জ পৌর এলাকার বিপ্লব রায় অবৈধভাবে নদী ভরাট করে ‘ডিসিএস’ ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নদী ভরাট করে এ ইট ভাটাটি পরিচালিত হওয়ায় নদ নাব্য হারাচ্ছে। স্থানীয় পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পরেছে।
একই এলাকার সামাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ‘একিউসি’ ইটভাটা। এ ইটভাটা পরিচালনা করছেন পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার দশধরী গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। এ ছাড়া কোনো ধরনের সরকারি অনুমোদন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় ‘এবিএম’, ‘এএসটি’, ‘সনি ও এপেক্স’ ইটভাটা চলছে। পুরো জেলায় এ রকম ৩৬টি অবৈধ ইটভাটা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
‘ডিসিএস’ ইটভাটা সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম বলেন, বসতবাড়ির পাশে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আমরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছি। ধোঁয়ার কারণে গাছের ফল-ফলাদিও কমে গেছে।
সামাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের সঙ্গে তার স্কুল সংলগ্ন ‘একিউসি’ ইটভাটা নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ইট ভাটাটি স্কুল সংলগ্ন হওয়ায় ভাটার কালো ধোঁয়া ও কালিতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বসবাসকারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় আবু তালেব নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের পর জেলা প্রশাসন ভাটাটি বন্ধের জন্য মালিককে লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরও অদৃশ্য শক্তির বলে ইটভাটার কার্যক্রম চলছে।
এ নিয়ে জেলার মোহনগগঞ্জ উপজেলার ‘ডিসিএস’ ইটভাটার মালিক বিপ্লব রায়ের সঙ্গে কথা হলে নদী ভরাট করার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ‘এবিএম’ও ‘এএসটি’ ব্রিকসের মালিক সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অন্যান্য অবৈধ ইটভাটা যেভাবে চালাচ্ছে। আমরাও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সেভাবেই ইটভাটা চালাচ্ছি।
এসব বিষয়ে কথা হলে নেত্রকোনা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাবিকুন্নাহার বলেন, নেত্রকোনায় ২৪টি ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া আরও কিছু অবৈধ ইটভাটাও চলছে বলে শুনেছি। জনবল সংকটের কারণে দায়িত্ব পালন করতে আমাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া যে সব ইটভাটার কার্যক্রম চলমান রয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, প্রত্যেক ইটভাটাকে লাইসেন্স নবায়ন করাসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেত্রকোনায় সরকারি নিয়ম না মেনে যত্রতত্র গড়ে উঠছে অসংখ্য ইটভাটা। একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি এসব ইটভাটা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে ওঠায় চরম হুমকিতে জেলার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ইটভাটাকে লাইসেন্স নবায়ন করাসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। যাঁরা নিয়ম মানবে না তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ ইটভাটাগুলো অবাধে পরিচালিত হয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। জানা গেছে, সরকারি নিয়ম না মেনে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই নেত্রকোনায় অনেক অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
অবৈধ এসব ইটভাটা থেকে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, গ্যাস ও ধুলায় অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন। ইটভাটার জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট এলাকায় ইটভাটার জায়গা ও ভাটার সংখ্যা নির্ধারণ, লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা চালালে দুই বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান সংযোজন করে ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে সংশোধনী এনে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন সংসদে পাস হয়।
নতুন এ আইনের ৪ ধারায় সংশোধন এনে বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইট ভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবে না।
কিন্তু সরেজমিন দেখা গেছে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ-ধর্মপাশা সড়কে কংস নদের সেতু সংলগ্ন সামাইকোনা গ্রামে মোহনগঞ্জ পৌর এলাকার বিপ্লব রায় অবৈধভাবে নদী ভরাট করে ‘ডিসিএস’ ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নদী ভরাট করে এ ইট ভাটাটি পরিচালিত হওয়ায় নদ নাব্য হারাচ্ছে। স্থানীয় পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পরেছে।
একই এলাকার সামাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ‘একিউসি’ ইটভাটা। এ ইটভাটা পরিচালনা করছেন পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার দশধরী গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। এ ছাড়া কোনো ধরনের সরকারি অনুমোদন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় ‘এবিএম’, ‘এএসটি’, ‘সনি ও এপেক্স’ ইটভাটা চলছে। পুরো জেলায় এ রকম ৩৬টি অবৈধ ইটভাটা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
‘ডিসিএস’ ইটভাটা সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম বলেন, বসতবাড়ির পাশে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আমরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছি। ধোঁয়ার কারণে গাছের ফল-ফলাদিও কমে গেছে।
সামাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের সঙ্গে তার স্কুল সংলগ্ন ‘একিউসি’ ইটভাটা নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ইট ভাটাটি স্কুল সংলগ্ন হওয়ায় ভাটার কালো ধোঁয়া ও কালিতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বসবাসকারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় আবু তালেব নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের পর জেলা প্রশাসন ভাটাটি বন্ধের জন্য মালিককে লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরও অদৃশ্য শক্তির বলে ইটভাটার কার্যক্রম চলছে।
এ নিয়ে জেলার মোহনগগঞ্জ উপজেলার ‘ডিসিএস’ ইটভাটার মালিক বিপ্লব রায়ের সঙ্গে কথা হলে নদী ভরাট করার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ‘এবিএম’ও ‘এএসটি’ ব্রিকসের মালিক সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অন্যান্য অবৈধ ইটভাটা যেভাবে চালাচ্ছে। আমরাও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সেভাবেই ইটভাটা চালাচ্ছি।
এসব বিষয়ে কথা হলে নেত্রকোনা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাবিকুন্নাহার বলেন, নেত্রকোনায় ২৪টি ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া আরও কিছু অবৈধ ইটভাটাও চলছে বলে শুনেছি। জনবল সংকটের কারণে দায়িত্ব পালন করতে আমাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া যে সব ইটভাটার কার্যক্রম চলমান রয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, প্রত্যেক ইটভাটাকে লাইসেন্স নবায়ন করাসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪