খান রফিক, বরিশাল
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে বরিশালের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও থামেনি আন্দোলন। বিভিন্ন স্থানে দাঁড়াতেই পারেনি আওয়ামী লীগ।
এমনকি বিএনপি প্রকাশ্যে মাঠে এসে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘর্ষে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামলার শিকার হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মহানগরীতে দলের এ ব্যর্থতা ভালো চোখে দেখছে না কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। সারা দেশের মতো বরিশালেও তাই নগর আওয়ামী লীগের পরিবর্তন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশ যখন উত্তাল, তখন বরিশালও ছিল আন্দোলনকারীদের দখলে। বিশেষ করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বিএম কলেজ ছিল আন্দোলনকারীদের দখলে। ওই সময় নগর আওয়ামী লীগ কিংবা অঙ্গসংগঠনের নেতাদের অস্তিত্ব মাঠে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যে কারণে মার খেতে হয়েছে ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে রাজপথেও।
শেষ মুহূর্তে ১৯ জুলাই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে সিঅ্যান্ডবি রোডে বিএনপির মিছিল মোকাবিলা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাদিক নিজেই। দলের সাধারণ সম্পাদক হামলার শিকার হওয়ায় নগর আওয়ামী লীগের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। পরে সাদিক অনুসারী নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাজিব বাদী হয়ে বিএনপির নামধারী ২৮ জনসহ ৮০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল এক নেতা বলেছেন, বরিশালে আওয়ামী লীগের চরম ব্যর্থতা আছে। তাঁরা শুরু থেকে যেমন তৎপর ছিলেন না, তেমনি প্রতিরোধও করেননি। কেন্দ্র থেকে কথা বলার পর ১৭ জুলাই রাতে এক শ্রমিক লীগ নেতা লাইভে গালাগালি করেছেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদের এক সদস্যের ভূমিকা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন। তা ছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগ যেভাবে মহড়া দিয়েছে, তা সাংগঠনিক পর্যায়ে পড়ে না। কারণ এখানকার আওয়ামী লীগের অনেকেই সাংগঠনিক নন। দল এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক হারুন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এই ব্যর্থতা নগর আওয়ামী লীগের নেতাদেরই বহন করতে হবে। তাঁরা সাংগঠনিকভাবে আন্দোলন মোকাবিলা করতে পারেননি। ওবায়দুল কাদের মেয়র খোকনকেও ফোন দিয়েছিলেন; কিন্তু বিগত সময়ে মেয়রই থাকতেন নগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আমরা মনে করি, এই ব্যর্থতার দায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ নগর কমিটি ভেঙে দিয়ে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের নেতৃত্বে সাংগঠনিক অবস্থা দৃঢ় করা দরকার।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেন, সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণে বরিশাল নগরের অনেক জায়গায় ওই আন্দোলন প্রতিরোধ করা যায়নি। মহানগর আওয়ামী লীগ মেয়াদ উত্তীর্ণ। এখন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে নগরের নেতৃত্ব গঠন দরকার। তাতে বরিশাল আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, ছাত্র আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের নগরীতে সৃষ্ট ঘটনা মোকাবিলার জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা না থাকায় প্রথমে মহানগর আওয়ামী লীগ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। পরে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই ফোনে নির্দেশ দিলে সাদিক মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এরপর উচিত ছিল সব নেতাকে একসঙ্গে বসা। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে বসে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। কারণ বিপদ সামনে আরও আসতে পারে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে বরিশালের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও থামেনি আন্দোলন। বিভিন্ন স্থানে দাঁড়াতেই পারেনি আওয়ামী লীগ।
এমনকি বিএনপি প্রকাশ্যে মাঠে এসে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘর্ষে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামলার শিকার হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মহানগরীতে দলের এ ব্যর্থতা ভালো চোখে দেখছে না কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। সারা দেশের মতো বরিশালেও তাই নগর আওয়ামী লীগের পরিবর্তন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশ যখন উত্তাল, তখন বরিশালও ছিল আন্দোলনকারীদের দখলে। বিশেষ করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বিএম কলেজ ছিল আন্দোলনকারীদের দখলে। ওই সময় নগর আওয়ামী লীগ কিংবা অঙ্গসংগঠনের নেতাদের অস্তিত্ব মাঠে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যে কারণে মার খেতে হয়েছে ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে রাজপথেও।
শেষ মুহূর্তে ১৯ জুলাই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে সিঅ্যান্ডবি রোডে বিএনপির মিছিল মোকাবিলা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাদিক নিজেই। দলের সাধারণ সম্পাদক হামলার শিকার হওয়ায় নগর আওয়ামী লীগের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। পরে সাদিক অনুসারী নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাজিব বাদী হয়ে বিএনপির নামধারী ২৮ জনসহ ৮০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল এক নেতা বলেছেন, বরিশালে আওয়ামী লীগের চরম ব্যর্থতা আছে। তাঁরা শুরু থেকে যেমন তৎপর ছিলেন না, তেমনি প্রতিরোধও করেননি। কেন্দ্র থেকে কথা বলার পর ১৭ জুলাই রাতে এক শ্রমিক লীগ নেতা লাইভে গালাগালি করেছেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদের এক সদস্যের ভূমিকা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন। তা ছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগ যেভাবে মহড়া দিয়েছে, তা সাংগঠনিক পর্যায়ে পড়ে না। কারণ এখানকার আওয়ামী লীগের অনেকেই সাংগঠনিক নন। দল এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক হারুন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এই ব্যর্থতা নগর আওয়ামী লীগের নেতাদেরই বহন করতে হবে। তাঁরা সাংগঠনিকভাবে আন্দোলন মোকাবিলা করতে পারেননি। ওবায়দুল কাদের মেয়র খোকনকেও ফোন দিয়েছিলেন; কিন্তু বিগত সময়ে মেয়রই থাকতেন নগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আমরা মনে করি, এই ব্যর্থতার দায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ নগর কমিটি ভেঙে দিয়ে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের নেতৃত্বে সাংগঠনিক অবস্থা দৃঢ় করা দরকার।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেন, সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণে বরিশাল নগরের অনেক জায়গায় ওই আন্দোলন প্রতিরোধ করা যায়নি। মহানগর আওয়ামী লীগ মেয়াদ উত্তীর্ণ। এখন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে নগরের নেতৃত্ব গঠন দরকার। তাতে বরিশাল আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, ছাত্র আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের নগরীতে সৃষ্ট ঘটনা মোকাবিলার জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা না থাকায় প্রথমে মহানগর আওয়ামী লীগ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। পরে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই ফোনে নির্দেশ দিলে সাদিক মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এরপর উচিত ছিল সব নেতাকে একসঙ্গে বসা। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে বসে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। কারণ বিপদ সামনে আরও আসতে পারে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫