সম্পাদকীয়
নারীদের যৌন হয়রানি বা নিপীড়ন বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়। যৌন নিপীড়নের শিকার হননি এমন নারীর সংখ্যা বাস্তবে খুব কম। সাধারণত গণপরিবহন, কর্মস্থল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, রাস্তা, শপিং মল, হাসপাতাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে নারীদের হয়রানি করার ঘটনা ঘটে থাকে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দ্বারা যখন কোনো নারী সহকর্মী যৌন হয়রানির শিকার হন, তখন বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া যায় না। যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকারের নীতি হলো জিরো টলারেন্স। অথচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও তাঁকে শাস্তি হিসেবে তিরস্কৃত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ জুলাই থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অভিযুক্ত অমিত চক্রবর্তী একজন নারী সহকর্মীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে তাঁকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন। ওই নারী সহকর্মী ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তাঁর ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশোভন কথোপকথন, তাঁর স্বামী যেন বদলি হয়ে নীলফামারী জেলায় না আসেন, সে বিষয়ে চাপ প্রয়োগসহ নানা ধরনের অনৈতিক আচরণ করতেন।
শিষ্টাচারবহির্ভূত অশোভন আচরণে বিরক্ত হয়ে ওই নারী সহকর্মী অমিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে বিভাগীয় মামলা করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অথচ সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে ‘তিরস্কার’। এই কর্মকর্তা এখন কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা প্রশাসনের প্রধান ব্যক্তি হলেন নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁকে সেখানে আইনের রক্ষক হিসেবে মনে করা হয়।
নিপীড়নের শিকার নারীটিও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। অথচ আইনের প্রধান রক্ষককেই দেখা গেল ভক্ষকের ভূমিকায়। ঘটনাটি কোনো সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ঘটলে হয়তো এটা আমলেই নেওয়া হতো না।
কর্মস্থলে যৌন হয়রানির প্রতিকার পাওয়ার জন্য ২০০৯ সালে হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, কোনো প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে সেটি তদন্ত এবং প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমাদের দেশে বিভিন্ন বিষয়ে আইন আছে, আছে বিভিন্ন বিধিবিধান, কিন্তু আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা গাফিলতি। সে জন্যই বলা হয়, আইন থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় অপরাধ না কমে বরং তা বাড়তেই থাকে। বর্তমান সরকারের আমলে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন বেড়েছে। শুধু বেসামরিক প্রশাসন নয়, সামরিক বাহিনীতেও নারীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। নারীদের অধস্তন ভাবার চিরায়ত মানসিকতা বা পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যাঁরা বেরিয়ে আসতে পারেননি, তাঁদের দ্বারাই বিভিন্ন পর্যায়ে নারী নিগ্রহের ঘটনা অব্যাহত আছে। যৌন হয়রানির অভিযোগ গুরুতর। কারও বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলে তার শাস্তিটাও গুরুই হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
নারীদের যৌন হয়রানি বা নিপীড়ন বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়। যৌন নিপীড়নের শিকার হননি এমন নারীর সংখ্যা বাস্তবে খুব কম। সাধারণত গণপরিবহন, কর্মস্থল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, রাস্তা, শপিং মল, হাসপাতাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে নারীদের হয়রানি করার ঘটনা ঘটে থাকে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দ্বারা যখন কোনো নারী সহকর্মী যৌন হয়রানির শিকার হন, তখন বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া যায় না। যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকারের নীতি হলো জিরো টলারেন্স। অথচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও তাঁকে শাস্তি হিসেবে তিরস্কৃত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ জুলাই থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অভিযুক্ত অমিত চক্রবর্তী একজন নারী সহকর্মীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে তাঁকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন। ওই নারী সহকর্মী ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তাঁর ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশোভন কথোপকথন, তাঁর স্বামী যেন বদলি হয়ে নীলফামারী জেলায় না আসেন, সে বিষয়ে চাপ প্রয়োগসহ নানা ধরনের অনৈতিক আচরণ করতেন।
শিষ্টাচারবহির্ভূত অশোভন আচরণে বিরক্ত হয়ে ওই নারী সহকর্মী অমিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে বিভাগীয় মামলা করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অথচ সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে ‘তিরস্কার’। এই কর্মকর্তা এখন কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা প্রশাসনের প্রধান ব্যক্তি হলেন নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁকে সেখানে আইনের রক্ষক হিসেবে মনে করা হয়।
নিপীড়নের শিকার নারীটিও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। অথচ আইনের প্রধান রক্ষককেই দেখা গেল ভক্ষকের ভূমিকায়। ঘটনাটি কোনো সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ঘটলে হয়তো এটা আমলেই নেওয়া হতো না।
কর্মস্থলে যৌন হয়রানির প্রতিকার পাওয়ার জন্য ২০০৯ সালে হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, কোনো প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে সেটি তদন্ত এবং প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমাদের দেশে বিভিন্ন বিষয়ে আইন আছে, আছে বিভিন্ন বিধিবিধান, কিন্তু আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা গাফিলতি। সে জন্যই বলা হয়, আইন থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় অপরাধ না কমে বরং তা বাড়তেই থাকে। বর্তমান সরকারের আমলে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন বেড়েছে। শুধু বেসামরিক প্রশাসন নয়, সামরিক বাহিনীতেও নারীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। নারীদের অধস্তন ভাবার চিরায়ত মানসিকতা বা পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যাঁরা বেরিয়ে আসতে পারেননি, তাঁদের দ্বারাই বিভিন্ন পর্যায়ে নারী নিগ্রহের ঘটনা অব্যাহত আছে। যৌন হয়রানির অভিযোগ গুরুতর। কারও বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলে তার শাস্তিটাও গুরুই হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫