Ajker Patrika

ঈদের হাট কাঁপাবে ‘খান বাহাদুর’

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৭: ০২
Thumbnail image

বিশালকায় দেহে সাদা-কালো ছোপ ছোপ দাগ। ওজন এবং দাম নিয়ে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আলোচনায় উঠে এসেছে ‘খান বাহাদুর।’

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ধরমপুর ইউনিয়নের বৃত্তিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুব আলম খান ও তাঁর বাবা ও মা মিলে খান বাহাদুর নামের গরুটিকে লালন পালন করেছেন।

খান পরিবারের ভাষ্যমতে, গরুটির বয়স যখন এক বছর, তখন আল্লারদর্গা হাট থেকে কিনে নিয়ে আসেন খান বাড়ির ছেলে মাহাবুব আলম খান। তখন থেকেই তাকে পরম যত্নে লালন পালন করা হচ্ছে।

হলিস্টিন ফিজিয়ান প্রজাতির গরুটি ছোটাছুটি আর চঞ্চলতার কারণে খান বাড়ির খান পদবি যুক্ত করে নাম রাখা হয় ‘খান বাহাদুর’।

গরুটির উচ্চতা, লম্বা ও ওজনের দিক দিয়ে অন্যান্য কোরবানির গরু ছাপিয়ে মানুষের মুখে এখন আলোচনা ও আড্ডায় বেশ এগিয়ে খান বাহাদুরের নাম।

৪ বছর বয়সের গরুটির ওজন ২২ মণ। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এর দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। বিশাল দেহী গরুটি দেখতে প্রতিদিন মাহাবুবের বাড়িতে আশেপাশের উৎসাহী মানুষজন ভিড় করছে।

খান বাহাদুরের তিন বেলা খাবার তালিকায় রয়েছে ঘাসসহ সাধারণ খাবারের পাশাপাশি কলা, আখের গুড়ের শরবত, ওরস্যালাইন ও ভুসি। দুই বেলা গোসল করানো, সময়মতো খাবার দেওয়া, মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে মশারি টানানো, গরমের সময় শরীর শীতল রাখতে বাতাসের ব্যবস্থা করা পালাক্রমে পরিবারের তিন সদস্য করে থাকেন।

গরুর মালিক মাহাবুব আলম খাঁনের বাবা জহিরউদ্দিন খান বলেন, ‘প্রতিদিন খুব সকালে খাবারের জন্য হাঁকডাক শুরু করে দেয় খান বাহাদুর। তিন বেলাসহ প্রায় সব সময় খাবার সামনে রেখে দেওয়া হয়।

মাহাবুবের মা এসে খান বাহাদুরকে খাইয়ে দিয়ে যান। ছোটাছুটি আর চঞ্চলতা দেখেই গরুটির নাম দেওয়া হয় ‘খান বাহাদুর’।’ এত ভালোবাসার খান বাহাদুর যখন চলে যাবে তখন মাহাবুবের মা খুব কষ্ট পাবেন বলে তিনি জানান।

মাহাবুব আলম খান বলেন, ‘আমি, আব্বা ও মা তিনজন মিলে খাঁন বাহাদুরকে লালন পালন করেছি। এত বিশাল গরু একজনের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু বাহাদুর আমাদের খুব পছন্দ করে বলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘৬ ফুট উচ্চতার সাড়ে নয় ফুট লম্বা গরুটির স্কেলে ওজন করা হয়েছে। তার ওজন ২২ মন। ক্রেতা ১৫ লাখ টাকা দাম দিলে বেঁচে দেব।’

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে যত দ্রুত সম্ভব গরুটিকে বিক্রি করতে চান বলে তিনি জানান।

স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই জানান, এ গ্রামের সবাই খান বাহাদুরকে চেনে। প্রতিদিন মানুষজন বিশাল এ গরুটি দেখতে আসেন। মাহাবুব অনেক টাকা গরুর পেছনে খরচ করেছে। গরুটি উপযুক্ত দামে বিক্রি হোক এটা আমরাও চাই।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাইরান ইকবাল বলেন, এমন দর্শনধারী গরু এবার এ উপজেলায় অনেক কৃষক ও খামারিরা তৈরি করেছেন। খান বাহাদুরকে দেখে অনেকে গরু পালনে উৎসাহী হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত