Ajker Patrika

শৈলকুপায় আবেদনের পরও মিলছে না ভাতার কার্ড

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৪১
শৈলকুপায় আবেদনের পরও মিলছে না ভাতার কার্ড

ঝিনাইদহের শৈলকুপার পৌর এলাকার হাবিবপুর চরপাড়ার বিধবা ও স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন শতাধিক নারী শ্রমিকেরা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির ভাতা কার্ডের জন্য আবেদন করলেও তাঁদের ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড। আবেদনের পরও কার্ড না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

জানা যায়, বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তদের জন্য সরকার ঘোষিত ভাতার কার্ড এই এলাকার নারী শ্রমিকদের মধ্যে কেউ পায়নি। এখানে শতাধিক নারী শ্রমিকেরা চাতালসহ অন্যান্য পেশার সঙ্গে জড়িত তবে চাতাল শ্রমিকদের সংখ্যা বেশি।

মোমেনা খাতুন নামে এক চাতাল শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যায়। সংসার চালাতে নিজেই ধান শুকানোর কাজ নেন একটি চাতালে। থাকার মতো নিজের কোনো ঘর না থাকায় চাতাল মালিকের দেওয়া ঝুপড়ী ঘরে বাস করছেন। চাতালে ধান শুকানো থাকলে প্রতি বস্তায় তারা ১৫ টাকা করে পান। তাতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় হয় প্রতিদিন। না থাকলে আয় নেই।

তিনি বলেন, ‘দালালকে টাকা দিতে না পারায় এবারও হলো না আমার ভাতার কার্ড।’

একই এলাকার চাতাল শ্রমিক কোতরি বেগম। স্বামী হারা হয়েছেন ২০ বছর আগে। তার অবস্থাও একই। সংসারের হাল ধরতে তিনিও নেমেছেন চাতালে ধান শুকানোর কাজে। সেখানে কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়েই কোনোরকমে চলে তাঁর সংসার।

অন্যদিকে শ্রমিক নুরজাহান বেগম। বাসায় বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে কিন্তু বিধবা ভাতার কার্ড পাননি তিনিও। এ এলাকার অধিকাংশ নারীশ্রমিকের একই অবস্থা।

চাতাল শ্রমিক মোমেনা বলেন, ‘১৫ বছর ধরে চাতালে ধান শুকানোর কাজ করছি। চাতাল মালিকের দেওয়া ঝুপড়ী ঘরে থাকি। সরকার গরিবদের জন্য এতকিছু দিলেও তা আমাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি।’

একই চাতালে কাজ করা চাতাল শ্রমিক কোতরি, জামেনা ও চায়না জানান, দীর্ঘদিন স্বামীহারা হয়ে চাতালে কষ্টে দিনযাপন করলেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান না। ভোট এলেই বিভিন্ন আশ্বাস দেখায় নেতারা। ভোটের পর আর খোঁজ থাকে না তাঁদের।’

সংশ্লিষ্ট ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাহারুল ইসলাম জানান, পৌরসভা থেকে প্রতিটি এলাকায় ভাতার জন্য মাইকিং করা হয়েছিল। যারাই তার কাছে আইডি কার্ড জমা দিয়েছে নিজের টাকা খরচ করে তিনি তাদের অনলাইনে ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি ঠিক নয়।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘মাইকিং করা হয়েছিল। যারা অনলাইনে আবেদন করেছিল যাচাইয়ের পর তাঁরা ভাতার জন্য মনোনীত হয়েছেন। যদি বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারী শ্রমিকেরা এবার না পেয়ে থাকেন তাহলে খোঁজ নিয়ে পরবর্তীতে তাঁদের ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত