Ajker Patrika

পেট্রলপাম্পে তেল বিক্রি: পরিবেশক যন্ত্রে কারসাজি, ঠকছেন ভোক্তারা

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
পেট্রলপাম্পে তেল বিক্রি: পরিবেশক যন্ত্রে কারসাজি,  ঠকছেন ভোক্তারা

জ্বালানি তেল পরিমাপে দেশের বিভিন্ন পাম্পে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল ডিসপেনসিং ইউনিট। আর তেল পরিবেশক যন্ত্রের সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ পাম্পমালিকদের কবজায়। পরিবেশক যন্ত্রের মডেল অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন পাম্পে। এমনকি যন্ত্র অনুমোদনের ব্যবস্থাই রাখা হয়নি বিএসটিআইয়ের বিধিমালায়।

ফলে ডিজিটাল যন্ত্রে সফটওয়্যারের কারসাজিতে পাম্পমালিকেরা কারচুপি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জ্বালানি তেল পরিমাপে কম দেওয়া হলেও সেটি জানতে পারছেন না ভোক্তা। শুধু ভোক্তাই নন, ওজন ও পরিমাপ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআইও এ বিষয়ে অজ্ঞ।

বিএসটিআই জানিয়েছে, বিভিন্ন পেট্রলপাম্পে ওজনে কম দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। আবার অনেক সময় ত্রুটিপূর্ণ ডিফেন্ডিং ইউনিটের মাধ্যমেই তেল বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে যানবাহনের মালিকেরা ওজনে ঠকছেন। বিভিন্ন পাম্পে অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই কারসাজির সত্যতাও পেয়েছে।

বিভিন্ন পাম্প সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল যন্ত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ মূলত মালিকদের হাতেই থাকছে। যে কারণে প্রতারণার বিষয়টি ভোক্তারা বুঝতেই পারছেন না। পাম্পের ডিজিটাল ডিসপেনসিং ইউনিটের সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও সিনডেনসিং ইউনিট মেশিন আমদানিকারক মিজানুর রহমান রতন বলেন, ‘সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণে সরকারি মনিটরিং নেই।’

সফটওয়্যার বিএসটিআইয়ের নিয়ন্ত্রণে না থাকা এবং নির্দিষ্ট মডেল না থাকার পেছনে বিএসটিআইকেই দুষলেন ক্যাবের জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, জ্বালানি তেল পরিবেশনের যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ বিএসটিআইয়ের হাতেই থাকতে হবে। এটি ব্যত্যয়ের কোনো সুযোগ রাখাই ঠিক নয়।

বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেল ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে ২০২০ সালে ১ জুলাই থেকে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ আট জেলায় অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৩৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৩৯৯টি অভিযানে ৬৫৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক (সিএম) রিয়াজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, জ্বালানি তেল পরিমাপে কম দেওয়ার অপরাধে বিভিন্ন পাম্পমালিককে জরিমানা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, ‘জ্বালানি তেল পরিবেশনের যন্ত্র আমদানি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়েই করতে হয়। কিন্তু যে চোর সে সব সময়ই চুরি করবে।’

বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মেট্রোলজি) প্রকৌশলী সাজ্জাদুল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, জ্বালানি তেল পরিবেশনের ডিজিটাল ডিসপেনসিং ইউনিটের সফটওয়্যার বিএসটিআইয়ের নিয়ন্ত্রণে নেই। আইনে না থাকায় এটা করা যাচ্ছে না। বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে তখন করা যাবে।’  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত