Ajker Patrika

রাস্তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে খালে

শাহীন রহমান, পাবনা
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ৩০
রাস্তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে খালে

বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণে পুনাইনগর। এক বছর আগে এ এলাকায় খালের পাশের একটি মাটির রাস্তার সংস্কারকাজ শুরু হলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়। উল্টো রাস্তার মাটি কাটায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। রাস্তাসহ আশপাশের বাড়ির জমি খালে বিলীনের পথে।

জানা যায়, পুনাইনগর ছাড়াও ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরে আলীনগর, মধ্যে মাধবপাশা ও পূর্বে কান্দিপাড়া অবস্থিত। পুরো ওয়ার্ডে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। এই ওয়ার্ডেই ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত। সেই বিবেচনায় উন্নয়নের চিত্র মাধবপাশা ও কান্দিপাড়া এলাকায় চোখে পড়ার মতো থাকলেও অবহেলিত থেকে গেছে আলীনগর ও পুনাইনগর।

স্থানীয় লোকজন জানায়, পুনাইনগরে ৩-৪ ফুট চওড়া রাস্তা দিয়ে পুরো এলাকার সাড়ে চার শতাধিক মানুষের যাতায়াত। জনপ্রতিনিধিরা সড়ক সংস্কার করে পাঁচ ফুট চওড়া রাস্তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি পাঁচ বছরেও। নেই কোনো সড়কবাতি। পুনাইনগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের পাশের একটি সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ না করেই বন্ধ রাখা হয়। এতে বাড়িঘরের মাটি ভেঙে খালে বিলীন হচ্ছে।

পুনাইনগর এলাকার বাসিন্দা শাহাবউদ্দিন (৬৭) বলেন, ‘মেইন রোড থেকে পুনাই গ্রামে ঢোকার রাস্তা ৫ ফুট চওড়া কইরা বানাইবো বলছিল। পাঁচ বছর আগে বাঁধ দিসে। এরপর আর কোনো কাজ হয় নাই। তারপরেও মেম্বার কয়দিন আগে কয় এখানে নাকি ১১ লাখ টাকার কাজ হইসে। কী কাজ করছে হেরাই ভালো জানে। পুরো গ্রামের ভেতর একটিও রাস্তার লাইট নাই। খালপাড় দিয়া আগে মাটির রাস্তা আছিলো। সেই রাস্তায় ৯৬ লাখ টাকার কাজ হইবো বইলা রাস্তা কাইটা শ্যাষ কইরা ফেলসে। বাড়িঘরের মাটি ভাইঙ্গা খালে পড়তাছে। এক বছর আগে একটু কাজ ধরছিলো। এখন কোনো কাজও হয় না, আমরা ঠিকমতো চলতেও পারি না।’

অন্যদিকে আলীনগরের বেশির ভাগই মূল সড়কের পাশে। বাসিন্দাদের চলাচলের প্রধান পথই হচ্ছে উপজেলা পরিষদের পাশ থেকে ধামগড় ও আলীসার্দির দিকে যাওয়া সড়ক। সড়কটি বেহাল। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে ভীষণ। রাত নেমে এলে এই এলাকায় দোকান আর বাড়িঘরের আলোই একমাত্র ভরসা। সড়কেও নেই কোনো সড়কবাতির ব্যবস্থা।

আলীনগর এলাকার বাসিন্দা নজরুল (৫৫) বলেন, ‘আমাদের মেইন রোডটা ভালো করে বানাইলে এই সমস্যা হয় না। রাস্তায় কোনো লাইটও নাই। খালি চেয়ারম্যান মেম্বাররা কয় লাখ টাকার কাজ হইবো। কবে হইবো হেরাই ভালো জানে।’

তবে তুলনামূলক ভালো আছেন মাধবপাশা ও কান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় মেম্বার এবং ইউপি অফিস দুটোই কান্দিপাড়ায়। আর তাই এখানে ভালো সড়ক এবং সড়কবাতি দুটোই রয়েছে। মাধবপাশা এলাকাতেও নেই দুর্ভোগের তেমন চিত্র।

যোগাযোগ করা হয় ওয়ার্ডের মেম্বার জামান মিয়ার মুঠোফোনে। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি।

তবে এর জবাবে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ প্রকল্প পাস ও টেন্ডার হওয়ার পর সেসবের বিল আটকে আছে। সরকারি তহবিলে টাকা নেই। এ বিষয়গুলো ঠিকাদারেরা জানতে পেরেছেন। সে কারণে তারা কাজ অর্ধেক করে ফেলে রেখেছেন। টাকা ছাড় পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মরতে পারতাম, আল্লাহ বাঁচিয়েছেন’— ছিনতাইয়ের শিকার শিক্ষিকার কণ্ঠে গা শিউরানো গল্প

ধর্ষণের পর চুপ হয়ে গিয়েছিল লামিয়া, ট্রমা তার জীবনই কেড়ে নিল

কূটনৈতিক পাসপোর্টকে রাতারাতি অর্ডিনারি বানিয়ে দেওয়া পরিচালক বরখাস্ত

৩৫ বছর ভারতে, স্বামী–সন্তান রেখে দেশে ফেরার নোটিশ পেলেন পাকিস্তানি সারদা

এবার সরানো হলো জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত