Ajker Patrika

ভবন নির্মাণের দেড় বছরেও শুরু হয়নি কার্যক্রম

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ০৮
ভবন নির্মাণের দেড় বছরেও শুরু হয়নি কার্যক্রম

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় দেড় বছর। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ এবং গণপূর্ত বিভাগের ঠেলাঠেলির কারণে কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। ফলে সুফল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

নেত্রকোনা গণপূর্ত কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ করতে উপজেলা সদর ইউনিয়নের ইলাশপুর চৌরাস্তায় ৩৩ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। মেসার্স মোনালিসা ও এন. এইচ এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণের দরপত্র পায়। নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে শেষ হয়।

কিন্তু নির্মিত ভবনের দেওয়ালে ড্যামেজ, দরজা ও ফিটিংসসহ নানা ত্রুটি দেখা দেয়। এ ছাড়া ভরনের সামনে মাটি ভরাট না করা হলেও বাকি তিন পাশে মাটি ভরাট না থাকায় ফায়ার সার্ভিস বিভাগ ভবনের দায় দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে।

ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হেলিম বলেন, ‘এই ভবনের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় দেড় বছর হলো। কিন্তু কার্যক্রম এখনো শুরু হলো না। ফলে অগ্নিকাণ্ডের বিভিন্ন দুর্ঘটনা মোকাবিলায় কাজে আসছে না স্টেশনটি।’

ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারি নেজামুল হক বলেন, ‘প্রাক্কলন অনুযায়ী ভবন নির্মাণকাজ হয়েছে। ভবনটি বুঝে নিতে গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস বিভাগ যথাসময়ে ভবনের দায়িত্ব না নেওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

ভবন নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা নেত্রকোনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন বলেন, ‘যথাযথ ভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ভবনের কিছু ত্রুটি দেখতে পায়। সেই ত্রুটি ঠিকাদারের মাধ্যমে দূর করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এখন ভবনের দায়িত্ব বুঝে নিতে পারে। কার্যক্রমও শুরু করতে পারে।’

এ দিকে পূর্বধলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের জন্য লোকবল, দুইটি গাড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জাম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কার্যক্রম শুরু না হওয়া পদায়নকৃতদের কাটছে অলস সময়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নেত্রকোনা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক শেখ মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মাণকাজের ত্রুটি থাকায় ভবন গ্রহণ করা হয়নি। আর এই স্টেশনে পদায়নকৃত জনবল বর্তমানে অন্য স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছেন। দুইটি গাড়িও জেলার অন্য স্টেশনগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্টেশন চালু হলেই জনবল এখানে দায়িত্ব পালন করবেন। আর গাড়িও যথা সময়ে চলে আসবে।’

বিভাগীয় উপপরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘ওই স্টেশনের ভবনে কিছু ত্রুটি ছিল। তবে তা সমাধান করে শিগগিরই চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘স্টেশনটি চালু না হওয়ায় এর সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত