মাদারীপুর প্রতিনিধি
যাত্রীর চাপ কমতে শুরু করেছে বাংলাবাজার ঘাটে। গতকাল রোববার সকাল থেকে যাত্রীবাহী পরিবহন কম আসতে শুরু করে। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও হালকা যানবাহনও কমতে শুরু করেছে। ফলে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীর সংখ্যা কমেছে। তবে শেষ মুহূর্তে ফেরি সার্ভিসে যোগ হয়েছে একটি বড় টানা ফেরি।
ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি, আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত যাত্রী ও পরিবহনের চাপ থাকবে। এর পর থেকে স্বাভাবিক হবে ঘাটের পরিস্থিতি।
ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই কর্মজীবী মানুষের রাজধানীমুখী চাপ বাড়তে থাকে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে। গত চার দিনেই যাত্রীদের ঢল নামে ঘাটে। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি থেকে নেমে গাড়িতে উঠে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যায় যাত্রীরা। ফলে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এবারও ঘাটে মোটরবাইক লেনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তীব্র গরম, অসহনীয় যানজট আর মানুষের ঠ্যাসাঠেসিতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বাংলাবাজার ঘাটে।
বাংলাবাজার ঘাটে সরেজমিন দেখা যায়, ফেরিঘাটের ৩ নম্বর লেনে দুই পাশে অন্তত শতাধিক ছোট যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ঘাট এলাকায় দুটো রো রো ফেরি আছে। এতে অন্তত ৬০টি যানবাহন পার হতে পারবে। এরপরও বাড়তি ফেরি হিসেবে যোগ করা হয়েছে একটি ডাম্ব ফেরি। এতে রাতেই আটকে পড়া ব্যক্তিগত ও হালকা যানবাহন দ্রুতই পার করা সম্ভব হবে।
অন্যদিকে লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও যাত্রীর চাপ আগের দিনের তুলনায় কমে গেছে। দূরপাল্লার পরিবহন কমতে থাকায় ঘাটেও যাত্রী কম। কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে ঘাটের দৃশ্যপট। স্পিডবোট ঘাটেও নোঙর করা রয়েছে বেশ কয়েকটি যান।
পটুয়াখালী থেকে আসা প্রাইভেট কারচালক আমিনুদ্দিন বলেন, ‘নৌযানে ছোট যানবাহনের চাপ একটু কমেছে। আগের মতো বাড়তি চাপ নেই। কিছুটা স্বাভাবিকভাবেই পারাপার হচ্ছে। তবে দিনে যদি আরও কয়েকটি ফেরি বাড়ানো যেত, তাহলে এত তাড়াহুড়া করতে হতো না। কী কারণে কর্তৃপক্ষ বড় ফেরিগুলো বন্ধ রেখেছিল, তা আমার মাথায় আসে না। যাক, ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরতে পারছি, সেটাই শুকরিয়া।’
বাংলাবাজার টার্মিনালে থাকা পিকআপের সুপারভাইজার জানে আলম বলেন, ‘বড় ফেরি আসার পর থেকেই যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করেছে। এখন সারা রাত অন্য যানবাহন চললে আর সমস্যা থাকবে না। ফলে আমাদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। তারপর পুলিশের সিরিয়াল-বাণিজ্যের কারণে অনেক কষ্ট হয়েছে আমাদের। ভিআইপি পারাপারের কারণে আমাদের পেছনে পড়তে হয়েছিল।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ‘ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষের যাত্রা সহজ করতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পুলিশের বিরুদ্ধে সিরিয়াল-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠলে প্রমাণ সাপেক্ষে কঠোর বিচার করা হবে। অনেক সময় ভিআইপিদের আগে-পার করতে আমাদের বেগ পেতে হয়। সেটা ছাড়া কোনো অনিয়মের সঙ্গে পুলিশ জড়িত নয়।’
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘শনিবার বিকেলের পর থেকে চাপ অনেকটাই কমে গেছে। ফেরিঘাটে আগের মতো যানবাহনও নেই। তবে যাত্রী আর পরিবহনের কথা চিন্তা করে দুপুরের পর থেকে ঘাটে ডাম্ব ফেরি “রায়পুরা” যোগ করা হয়েছে। ফলে রাতের মধ্যেই ঘাটে আটকে পড়া অন্য যানবাহন পার করা সম্ভব হবে। আশা রাখি, সোমবার সকালের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
যাত্রীর চাপ কমতে শুরু করেছে বাংলাবাজার ঘাটে। গতকাল রোববার সকাল থেকে যাত্রীবাহী পরিবহন কম আসতে শুরু করে। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও হালকা যানবাহনও কমতে শুরু করেছে। ফলে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীর সংখ্যা কমেছে। তবে শেষ মুহূর্তে ফেরি সার্ভিসে যোগ হয়েছে একটি বড় টানা ফেরি।
ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি, আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত যাত্রী ও পরিবহনের চাপ থাকবে। এর পর থেকে স্বাভাবিক হবে ঘাটের পরিস্থিতি।
ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই কর্মজীবী মানুষের রাজধানীমুখী চাপ বাড়তে থাকে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে। গত চার দিনেই যাত্রীদের ঢল নামে ঘাটে। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি থেকে নেমে গাড়িতে উঠে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যায় যাত্রীরা। ফলে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এবারও ঘাটে মোটরবাইক লেনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তীব্র গরম, অসহনীয় যানজট আর মানুষের ঠ্যাসাঠেসিতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বাংলাবাজার ঘাটে।
বাংলাবাজার ঘাটে সরেজমিন দেখা যায়, ফেরিঘাটের ৩ নম্বর লেনে দুই পাশে অন্তত শতাধিক ছোট যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ঘাট এলাকায় দুটো রো রো ফেরি আছে। এতে অন্তত ৬০টি যানবাহন পার হতে পারবে। এরপরও বাড়তি ফেরি হিসেবে যোগ করা হয়েছে একটি ডাম্ব ফেরি। এতে রাতেই আটকে পড়া ব্যক্তিগত ও হালকা যানবাহন দ্রুতই পার করা সম্ভব হবে।
অন্যদিকে লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও যাত্রীর চাপ আগের দিনের তুলনায় কমে গেছে। দূরপাল্লার পরিবহন কমতে থাকায় ঘাটেও যাত্রী কম। কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে ঘাটের দৃশ্যপট। স্পিডবোট ঘাটেও নোঙর করা রয়েছে বেশ কয়েকটি যান।
পটুয়াখালী থেকে আসা প্রাইভেট কারচালক আমিনুদ্দিন বলেন, ‘নৌযানে ছোট যানবাহনের চাপ একটু কমেছে। আগের মতো বাড়তি চাপ নেই। কিছুটা স্বাভাবিকভাবেই পারাপার হচ্ছে। তবে দিনে যদি আরও কয়েকটি ফেরি বাড়ানো যেত, তাহলে এত তাড়াহুড়া করতে হতো না। কী কারণে কর্তৃপক্ষ বড় ফেরিগুলো বন্ধ রেখেছিল, তা আমার মাথায় আসে না। যাক, ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরতে পারছি, সেটাই শুকরিয়া।’
বাংলাবাজার টার্মিনালে থাকা পিকআপের সুপারভাইজার জানে আলম বলেন, ‘বড় ফেরি আসার পর থেকেই যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করেছে। এখন সারা রাত অন্য যানবাহন চললে আর সমস্যা থাকবে না। ফলে আমাদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। তারপর পুলিশের সিরিয়াল-বাণিজ্যের কারণে অনেক কষ্ট হয়েছে আমাদের। ভিআইপি পারাপারের কারণে আমাদের পেছনে পড়তে হয়েছিল।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ‘ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষের যাত্রা সহজ করতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পুলিশের বিরুদ্ধে সিরিয়াল-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠলে প্রমাণ সাপেক্ষে কঠোর বিচার করা হবে। অনেক সময় ভিআইপিদের আগে-পার করতে আমাদের বেগ পেতে হয়। সেটা ছাড়া কোনো অনিয়মের সঙ্গে পুলিশ জড়িত নয়।’
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘শনিবার বিকেলের পর থেকে চাপ অনেকটাই কমে গেছে। ফেরিঘাটে আগের মতো যানবাহনও নেই। তবে যাত্রী আর পরিবহনের কথা চিন্তা করে দুপুরের পর থেকে ঘাটে ডাম্ব ফেরি “রায়পুরা” যোগ করা হয়েছে। ফলে রাতের মধ্যেই ঘাটে আটকে পড়া অন্য যানবাহন পার করা সম্ভব হবে। আশা রাখি, সোমবার সকালের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪