Ajker Patrika

কদর বেড়েছে পাটকাঠির

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৯: ৩০
কদর বেড়েছে পাটকাঠির

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাট ধুয়ে শুকিয়ে সোনালি আঁশ এখন ঘরে তুলছেন কৃষক। তবে শুধু আঁশ নয়, পাটকাঠিতেও তাঁরা দেখছেন আশা। কেন না পাটের সঙ্গে কদর বেড়েছে পাটকাঠিরও। বাড়ির সামনে, পাকা সড়ক কিংবা মাঠ-ঘাট যেখানে চোখ যায় সেখানেই চোখে পড়ে পাটকাঠি শুকানো ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ।

পাটের উপজাত এই পাটখড়ি বা পাটকাঠি এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এটি বিশেষ চুল্লিতে পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে কার্বন বা চারকোল, যা চীনসহ কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়। কার্বন পেপার, কম্পিউটার, ফটোকপির কালি, আতশবাজি, ফেসওয়াশের উপকরণ, প্রসাধনী পণ্য, মোবাইলের ব্যাটারি, দাঁত মাজার ওষুধ, খেতের সারসহ নানা কাজে এই কার্বন ব্যবহার করা হচ্ছে।

বালিয়াকান্দি, নারুয়া, বহরপুরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক পাট ও পাটকাঠি শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত। তাঁরা এখন পাটকাঠি বেশ যত্নের সঙ্গে মজুত করে রাখছেন। বালিয়াকান্দিতে এক শ আঁটি পাটকাঠি ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, আগে পাটকাঠির ব্যবহার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছিল শুধু জ্বালানি হিসেবে। আর কিছু ভালো মানের পাটকাঠি পানের বরজের আর ঘরের বেড়া তৈরিতে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন আর মূল্যহীনভাবে পড়ে থাকে না পাটকাঠি। বিশ্ববাজারে পাটকাঠির চাহিদা বাড়ায় আঁশের পাশাপাশি কাঠির দামও ভালো পাওয়া যায়। অনেক কৃষক পাটের দাম খুব একটা না পেলেও পাটকাঠির দাম দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

পাটচাষি কালু শেখ বলেন, ‘ইতিমধ্যে পাটকাঠি ক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীরা তাগাদা দিতে শুরু করেছেন। অনেকে তাঁদের কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে পাটকাঠি বিক্রি করে দিয়েছেন।’

পাটকাঠি ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, ‘পাঁচ-ছয় বছর ধরে আমি পাটকাঠি কিনে পাইকারি দামে বিক্রি করি। বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ী আমাদের এলাকার পাটকাঠি কিনে ট্রাক, করিমন, ভ্যানগাড়িতে করে নিয়ে যায়। আমার মতো অনেকেই এখন পাটকাঠির ব্যবসা করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত