Ajker Patrika

ত্বিন ফল চাষে বাজিমাত মুলাদীর দুই তরুণের

আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২২, ১৪: ০৬
ত্বিন ফল চাষে বাজিমাত মুলাদীর দুই তরুণের

মরুর ত্বিন ফল চাষে সফল হয়েছেন মুলাদী উপজেলার দুই তরুণ। তাঁরা হলেন নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের রুসাল মৃধা ও কাঞ্চন মিয়া। ইতিমধ্যে তাঁরা বাগান থেকে প্রায় ৩০০ কেজি ত্বিন ফল বিক্রি করেছেন।

জানা গেছে, উচ্চমানের ভেষজগুণসম্পন্ন এই ফলটি মুলাদীতে ছাদ কিংবা টবে শখের বশে চাষ করেছেন কেউ কেউ। তবে বাণিজ্যিকভাবে লাভের উদ্দেশ্যে বাগান করতে দেখা যায় না। এই দুই তরুণ প্রথম এই উদ্যোগ নিলেন।

নাজিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মৃধার ছেলে রুসাল মৃধা ঢাকায় চাকরি করতেন। করোনা শুরু হলে গ্রামে ফিরে আসেন। কিছু একটা করার লক্ষ্যে ভায়রা কাঞ্চন মিয়াকে নিয়ে ২০২১ সালের শুরুর দিকে বরই ও লেবুর বাগান শুরু করেন। পরবর্তীতে ইউটিউবে ত্বিন ফলের চাষ দেখে আগ্রহী হন এবং বাগানে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে দুজনের চার বিঘা জমিতে ত্বিন, বরই ও লেবু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন বিঘা জমিতে ত্বিন ফল চাষ করছেন তাঁরা।

রুসাল মৃধা বলেন, করোনায় বেকার হয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ইউটিউবে ত্বিন ফলের চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হই। দিনাজপুর থেকে ৩০০ চারা কিনে ত্বিনের বাগান শুরু করি।

রুসাল মৃধা আরও বলেন, বাগান থেকে যাঁরা ফল কিনতে আসেন, তাদের কাছে প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া ঢাকায় ত্বিন ফল প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করা গেছে। এতে বাগান শুরুর দেড় বছরের মধ্যে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

অপর বাগানমালিক কাঞ্চন মিয়া বলেন, এ বছর গাছ থেকে প্রায় তিন হাজার কলম চারা তৈরি করেছি। এসব চারার অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি চারা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করছি। চারা ক্রেতাদের লাগানো ও পরিচর্যার কৌশল শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই উদ্যোক্তা মুলাদীতে ত্বিন ফল চাষ করে সফল হয়েছেন। মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাঁদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত