বিকুল চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
কত আগের মসজিদ এটি। কে-বা নির্মাণ করেছেন, এর কোনো তথ্যই নেই এলাকাবাসীর কাছে। শুধু এটুকুই নাম তার বড় মসজিদ। নির্মাণ স্থাপত্যশৈলী দেখলে বোঝা যায় এটি প্রাচীনকালের। নাম বরুণা বড় জামে মসজিদ। শুধু এ একটি বিষয় থেকেই অনুমান করা যায় এটি কত আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
যখন মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এ অঞ্চলে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় মসজিদ, এতে সন্দেহ নেই। কারণ মসজিদটি এতই প্রাচীন যে এর ইতিহাসও কেউ মনে রাখতে পারেননি। ঐতিহাসিক এই মসজিদটির অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের হাইল হাওরের পূর্ব পাড়ে বরুনা গ্রামে। এটি বর্তমানে বরুনা বড় জামে মসজিদ নামেই পরিচিত।
মসজিদটি পরিচালনা কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য মো. হামজা মিয়া বলেন, বরুণা বড় জামে মসজিদটি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এর কোনো রেকর্ড নেই। এটি লম্বায় ৪৪ হাত, পাশে ১১ হাত। সঙ্গে ১১ হাত একটি বারান্দা সংযুক্ত রয়েছে। চারপাশের দেয়ালগুলো সাড়ে তিন হাত। মসজিদের মেহরাবটি পুরোটাই দেয়ালের ভেতরে পড়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, মসজিদের ভেতর সব সময় ঠান্ডা থাকে। এর নির্মাণ শৈলীও চোখে পড়ার মতো। পুরোটাই চুন শুরকি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। ভেতরে কোরআন শরিফসহ বই রাখার একাধিক খোপ রয়েছে। রয়েছে প্রদীপ রাখারও খোপ। প্রত্যেক গম্বুজের ভেতরে গোল অংশে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন কারুকাজ। গম্বুজের ওপরের অংশ বেশ বড় যা এখন সবুজ রং করে রাখা হয়েছে।
গম্বুজ ছাড়াও এ স্থাপত্যের বিভিন্ন দিকের কারুকাজ দর্শনার্থীদের মন কাড়ে। বারান্দায় কাঠের ওপর টিনের ছাউনি রয়েছে। যা মূল ভবনের সঙ্গে পরবর্তীতে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মুসল্লিরা। টিনের চালের কাঠের তীরগুলোতে খোদাই করে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে ১৯২৯ ইং।
স্থানীয়রা জানান, এরশাদ সরকারের সময় একজন প্রকৌশলী এটি পরিদর্শন করে প্রায় ৪০০ বছর আগে এটি নির্মাণ হতে পারে বলে তাদের জানান। মসজিদটি এখনো অনেক মজবুত। প্রায়ই দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন।
তবে ১০ থেকে ১২ বছর আগে মসজিদটির সামনের সীমানা প্রাচীর এবং প্রাচীরের ওপরের মিনারটি ভেঙে পড়ে। ওই সময় সেখানে নতুন করে একটি মিনার করা হয়েছে। সীমানা প্রাচীর সরিয়ে সেখানে মসজিদ থেকে একই বাউন্ডারিতে স্থাপিত হয়েছে ঈদগা। এর তিনটি গম্বুজ সেই আগের মতোই।
উপজেলার কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতলিব বলেন, ‘বরুণার ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি আমাদের গর্ব। এর নির্মাণ স্থাপত্য নির্ধারণ করে ইউনেসকোতে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণে সরকার দৃষ্টি আকর্ষণ করি।’
কত আগের মসজিদ এটি। কে-বা নির্মাণ করেছেন, এর কোনো তথ্যই নেই এলাকাবাসীর কাছে। শুধু এটুকুই নাম তার বড় মসজিদ। নির্মাণ স্থাপত্যশৈলী দেখলে বোঝা যায় এটি প্রাচীনকালের। নাম বরুণা বড় জামে মসজিদ। শুধু এ একটি বিষয় থেকেই অনুমান করা যায় এটি কত আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
যখন মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এ অঞ্চলে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় মসজিদ, এতে সন্দেহ নেই। কারণ মসজিদটি এতই প্রাচীন যে এর ইতিহাসও কেউ মনে রাখতে পারেননি। ঐতিহাসিক এই মসজিদটির অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের হাইল হাওরের পূর্ব পাড়ে বরুনা গ্রামে। এটি বর্তমানে বরুনা বড় জামে মসজিদ নামেই পরিচিত।
মসজিদটি পরিচালনা কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য মো. হামজা মিয়া বলেন, বরুণা বড় জামে মসজিদটি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এর কোনো রেকর্ড নেই। এটি লম্বায় ৪৪ হাত, পাশে ১১ হাত। সঙ্গে ১১ হাত একটি বারান্দা সংযুক্ত রয়েছে। চারপাশের দেয়ালগুলো সাড়ে তিন হাত। মসজিদের মেহরাবটি পুরোটাই দেয়ালের ভেতরে পড়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, মসজিদের ভেতর সব সময় ঠান্ডা থাকে। এর নির্মাণ শৈলীও চোখে পড়ার মতো। পুরোটাই চুন শুরকি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। ভেতরে কোরআন শরিফসহ বই রাখার একাধিক খোপ রয়েছে। রয়েছে প্রদীপ রাখারও খোপ। প্রত্যেক গম্বুজের ভেতরে গোল অংশে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন কারুকাজ। গম্বুজের ওপরের অংশ বেশ বড় যা এখন সবুজ রং করে রাখা হয়েছে।
গম্বুজ ছাড়াও এ স্থাপত্যের বিভিন্ন দিকের কারুকাজ দর্শনার্থীদের মন কাড়ে। বারান্দায় কাঠের ওপর টিনের ছাউনি রয়েছে। যা মূল ভবনের সঙ্গে পরবর্তীতে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মুসল্লিরা। টিনের চালের কাঠের তীরগুলোতে খোদাই করে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে ১৯২৯ ইং।
স্থানীয়রা জানান, এরশাদ সরকারের সময় একজন প্রকৌশলী এটি পরিদর্শন করে প্রায় ৪০০ বছর আগে এটি নির্মাণ হতে পারে বলে তাদের জানান। মসজিদটি এখনো অনেক মজবুত। প্রায়ই দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন।
তবে ১০ থেকে ১২ বছর আগে মসজিদটির সামনের সীমানা প্রাচীর এবং প্রাচীরের ওপরের মিনারটি ভেঙে পড়ে। ওই সময় সেখানে নতুন করে একটি মিনার করা হয়েছে। সীমানা প্রাচীর সরিয়ে সেখানে মসজিদ থেকে একই বাউন্ডারিতে স্থাপিত হয়েছে ঈদগা। এর তিনটি গম্বুজ সেই আগের মতোই।
উপজেলার কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতলিব বলেন, ‘বরুণার ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি আমাদের গর্ব। এর নির্মাণ স্থাপত্য নির্ধারণ করে ইউনেসকোতে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণে সরকার দৃষ্টি আকর্ষণ করি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪