Ajker Patrika

বিনা কীটনাশকে লালশাক

গাজী আবদুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০: ৪১
Thumbnail image

ডুমুরিয়ায় এবার কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই অসময়ে দেশীয় জাতের লালশাক চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন পুরস্কার প্রাপ্ত খর্ণিয়া এলাকার কৃষক আবু হানিফ মোড়ল। জমিতে কীটনাশক ছাড়াই একই জমিতে একাধিক বার লালশাক উৎপাদন করে লাভবান হয়েছেন তিনি। তবে এ অবদান ও উৎসাহ-উদ্দীপনা উপজেলা কৃষি অফিসারের বলে জানিয়েছেন কৃষক আবু হানিফ।

সরেজমিনে গিয়ে কৃষক আবু হানিফ ও অন্যান্য চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের খর্ণিয়া গ্রামের মৃত সুলতান মোড়লের ছেলে আবু হানিফ মোড়ল ২০০৩ সালে এইচএসসি পাশ করার পর চাকরির সন্ধানে না ঘুরে কৃষিকাজে জড়িয়ে পড়েন।

হানিফ জানান, আস্থা ও বিশ্বাস মাথায় নিয়ে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত মাত্র ৫০ শতাংশ জমিতে কৃষি কর্মসূচি গ্রহণ করেন তিনি। প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও তৎকালীন কৃষি অফিসের সহায়তায় বিভিন্ন প্রজাতি সবজি চাষে মাত্র ২ / ৩ বছরের মধ্যেই ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন। এরপর ২০১৩ সালে সবজি উৎপাদন, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের ওপর ফিলিপাইনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ, ২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, ২০১৫ সালে সেরা কৃষক হিসেবে এগ্রো অ্যাওয়ার্ড ও ২০১৬ সালে শ্রেষ্ঠ সবজি চাষি হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন।

আবু হানিফ জানান, তার ওই ৫০ শতাংশ জমিতে এবার তিনি কীটনাশক ছাড়াই জৈব সার ব্যবহার করে দেশীয় জাতের লালশাক চাষাবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। মাত্র ২৫ দিনের ব্যবধানে একই জমিতে একাধিকবার লালশাক চাষাবাদ করে আসছেন তিনি। এতে প্রতিবার বীজ, সার ও শ্রমিক বাবদ ৬ /৭ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার লালশাক বিক্রি করে আসছেন।

এ জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোসাদ্দেক হোসেন তাঁর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোসাদ্কে হোসেন বলেন, একজন কৃষক হিসেবে শতভাগ মনোযোগী আবু হানিফ সবজি চাষে শুধু সফলতা নয়, ব্যাপক সুনামও অর্জন করেছে। তিনি উপজেলায় একজন মডেল কৃষক হিসেবে পরিচিতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত