রিমন রহমান, রাজশাহী
ছোট্ট দোকানটির ভেতরে গিজগিজ করছে মানুষ। গরম-গরম জিলাপি তোলার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ। কয়েকজন পাচ্ছেন, অন্যরা অপেক্ষা করছেন। জিলাপি না নিয়েই এই ভিড় থেকে বেরিয়ে এলেন মেরাজুল ইসলাম। সঙ্গে থাকা লোকটিকে তিনি বললেন, ‘বাটার মোড়ের জিলাপি আর খাওয়া লাগবে না! দাঁড়িয়ে আছে ১০০ জন, জিলাপিই তো দিতে পারছে না।’
রাজশাহী শহরের বাটার মোড়ের এ দোকানের কোনো নাম নেই। নেই কোনো সাইনবোর্ডও। তবে দোকানটি বাটার মোড়ে বলে এ দোকানের জিলাপির নাম হয়ে গেছে ‘বাটার মোড়ের জিলাপি’। ষাট বছরের বেশি সময় ধরে একই স্বাদের জিলাপি তৈরি হয়ে চলেছে এখানে। রসে টইটম্বুর আর মচমচে জিলাপির টানে সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে দোকানটিতে। রমজানে ইফতারের জন্য এই ভিড় বাড়ে কয়েক গুণ।
এবার প্রথম রোজা থেকেই দোকানটিতে উপচে পড়া ভিড়। বিকেলে ভিড়ের কারণে তো জিলাপি না কিনেই ফিরলেন শহরের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা মেরাজুল ইসলাম। কত দিন ধরে এখানকার জিলাপি খান, এমন প্রশ্নে বললেন, ‘বয়স আমার ৪৮। ছোটবেলায় যখন খেতে শিখেছি, তখন থেকেই খাচ্ছি। এখন এই জিলাপি ছাড়া তো ইফতার ভাবাই যায় না। কিন্তু আজ ভিড়ের কারণে কিনতে পারলাম না। কাল দুপুরে নামাজের পরপরই চলে আসব।’
শোয়েব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি ষাটের দশকে রাজশাহী শহরের রানীবাজারে এই জিলাপির দোকান দেন। তিনি দোকানের নাম দিয়েছিলেন ‘রানীবাজার রেস্টুরেন্ট’। কিছুদিন পর এই সাইনবোর্ড নষ্ট হয়ে গেলে তা আর লাগানো হয়নি। এখন সবাই ‘বাটার মোড়ের জিলাপির দোকান’ নামেই চেনে দোকানটিকে।
প্রথমে দোকানের কারিগর ছিলেন যামিনী সাহা, পরে তাঁর কাছ থেকে জিলাপি তৈরি শেখেন ছেলে কালিপদ সাহা। ১৯৮০ সালে বাবার মৃত্যুর পর দোকানের প্রধান কারিগর হন তিনি। কালিপদ মারা যান ২০১৭ সালে। এখন তাঁর রেখে যাওয়া দুই শিষ্য সাফাত আলী ও শফিকুল ইসলাম জিলাপি বানাচ্ছেন।
এখন দোকানের মালিকানায় শোয়েব উদ্দিনের ছেলেরা। তাঁদের মধ্যে মো. শামীম দেখাশোনা করেন এটি। শুক্রবার বিকেলে শামীমের ছেলে ও ভাতিজাদের জিলাপি বিক্রি করতে দেখা গেল। দোকানের ভেতরে-বাইরে তখন ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। দোকানের সামনে জিলাপি ভাজছিলেন সাফাত আর শফিকুল। ভাজার পরে জিলাপি রসে ডোবাচ্ছিলেন অন্য দুজন। আরও পাঁচজন কর্মচারী জিলাপির ময়দা প্রস্তুতের কাজ করে যাচ্ছিলেন।
কারিগর শফিকুল বললেন, ‘১৯৭৫ সালে ৩০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেছি। এখন ১৫ হাজার পাই। সাধারণ সময় দিনে পাঁচ মণ জিলাপি বিক্রি হয়, এই রোজায় বিক্রি হবে ১০ মণ করে। সকাল ৯টায় কাজ শুরু করেছি। ইফতারের আগপর্যন্ত তা চলবে। বিশ্রামের একটুও সুযোগ নেই।’
কারিগর সাফাত আলী বলেন, ‘কয়েক ধরনের ময়দা আর ভালো তেল দিয়ে জিলাপি ভাজি। বছরের পর বছর একই কৌশল, একই স্বাদ। এ জন্যই শহরজুড়ে এই জিলাপির এত নামডাক। আমাদের মহাজনের একটাই কথা—লাভ কম হোক, কিন্তু মান যেন ভালো হয়। নামটা যেন থাকে।’
বর্তমানে দোকানটির দায়িত্বে থাকা মো. শামীম জানালেন, গত বছর রোজার সময়েও ১৪০ টাকা কেজি দরে জিলাপি বিক্রি হয়েছে। এবার সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কিছুদিন আগে তাঁরাও জিলাপির দাম বাড়িয়েছেন। এখন প্রতি কেজির দাম ১৮০ টাকা।
ছোট্ট দোকানটির ভেতরে গিজগিজ করছে মানুষ। গরম-গরম জিলাপি তোলার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ। কয়েকজন পাচ্ছেন, অন্যরা অপেক্ষা করছেন। জিলাপি না নিয়েই এই ভিড় থেকে বেরিয়ে এলেন মেরাজুল ইসলাম। সঙ্গে থাকা লোকটিকে তিনি বললেন, ‘বাটার মোড়ের জিলাপি আর খাওয়া লাগবে না! দাঁড়িয়ে আছে ১০০ জন, জিলাপিই তো দিতে পারছে না।’
রাজশাহী শহরের বাটার মোড়ের এ দোকানের কোনো নাম নেই। নেই কোনো সাইনবোর্ডও। তবে দোকানটি বাটার মোড়ে বলে এ দোকানের জিলাপির নাম হয়ে গেছে ‘বাটার মোড়ের জিলাপি’। ষাট বছরের বেশি সময় ধরে একই স্বাদের জিলাপি তৈরি হয়ে চলেছে এখানে। রসে টইটম্বুর আর মচমচে জিলাপির টানে সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে দোকানটিতে। রমজানে ইফতারের জন্য এই ভিড় বাড়ে কয়েক গুণ।
এবার প্রথম রোজা থেকেই দোকানটিতে উপচে পড়া ভিড়। বিকেলে ভিড়ের কারণে তো জিলাপি না কিনেই ফিরলেন শহরের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা মেরাজুল ইসলাম। কত দিন ধরে এখানকার জিলাপি খান, এমন প্রশ্নে বললেন, ‘বয়স আমার ৪৮। ছোটবেলায় যখন খেতে শিখেছি, তখন থেকেই খাচ্ছি। এখন এই জিলাপি ছাড়া তো ইফতার ভাবাই যায় না। কিন্তু আজ ভিড়ের কারণে কিনতে পারলাম না। কাল দুপুরে নামাজের পরপরই চলে আসব।’
শোয়েব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি ষাটের দশকে রাজশাহী শহরের রানীবাজারে এই জিলাপির দোকান দেন। তিনি দোকানের নাম দিয়েছিলেন ‘রানীবাজার রেস্টুরেন্ট’। কিছুদিন পর এই সাইনবোর্ড নষ্ট হয়ে গেলে তা আর লাগানো হয়নি। এখন সবাই ‘বাটার মোড়ের জিলাপির দোকান’ নামেই চেনে দোকানটিকে।
প্রথমে দোকানের কারিগর ছিলেন যামিনী সাহা, পরে তাঁর কাছ থেকে জিলাপি তৈরি শেখেন ছেলে কালিপদ সাহা। ১৯৮০ সালে বাবার মৃত্যুর পর দোকানের প্রধান কারিগর হন তিনি। কালিপদ মারা যান ২০১৭ সালে। এখন তাঁর রেখে যাওয়া দুই শিষ্য সাফাত আলী ও শফিকুল ইসলাম জিলাপি বানাচ্ছেন।
এখন দোকানের মালিকানায় শোয়েব উদ্দিনের ছেলেরা। তাঁদের মধ্যে মো. শামীম দেখাশোনা করেন এটি। শুক্রবার বিকেলে শামীমের ছেলে ও ভাতিজাদের জিলাপি বিক্রি করতে দেখা গেল। দোকানের ভেতরে-বাইরে তখন ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। দোকানের সামনে জিলাপি ভাজছিলেন সাফাত আর শফিকুল। ভাজার পরে জিলাপি রসে ডোবাচ্ছিলেন অন্য দুজন। আরও পাঁচজন কর্মচারী জিলাপির ময়দা প্রস্তুতের কাজ করে যাচ্ছিলেন।
কারিগর শফিকুল বললেন, ‘১৯৭৫ সালে ৩০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেছি। এখন ১৫ হাজার পাই। সাধারণ সময় দিনে পাঁচ মণ জিলাপি বিক্রি হয়, এই রোজায় বিক্রি হবে ১০ মণ করে। সকাল ৯টায় কাজ শুরু করেছি। ইফতারের আগপর্যন্ত তা চলবে। বিশ্রামের একটুও সুযোগ নেই।’
কারিগর সাফাত আলী বলেন, ‘কয়েক ধরনের ময়দা আর ভালো তেল দিয়ে জিলাপি ভাজি। বছরের পর বছর একই কৌশল, একই স্বাদ। এ জন্যই শহরজুড়ে এই জিলাপির এত নামডাক। আমাদের মহাজনের একটাই কথা—লাভ কম হোক, কিন্তু মান যেন ভালো হয়। নামটা যেন থাকে।’
বর্তমানে দোকানটির দায়িত্বে থাকা মো. শামীম জানালেন, গত বছর রোজার সময়েও ১৪০ টাকা কেজি দরে জিলাপি বিক্রি হয়েছে। এবার সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কিছুদিন আগে তাঁরাও জিলাপির দাম বাড়িয়েছেন। এখন প্রতি কেজির দাম ১৮০ টাকা।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫