রাশেদ নিজাম ও সুমেল সারাফাত মোংলা (বাগেরহাট) থেকে
যাত্রা শুরু চালনা নামে। ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর। নাম বদলে পরে মোংলা বন্দর। কাগজে-কলমে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের একচ্ছত্র দাপটে অনেকটাই ব্রাত্য হয়ে পড়ে মোংলা। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কয়েক কোটি মানুষের যোগাযোগ সহজ করেছে পদ্মা সেতু। এতে নতুন স্বপ্ন জাগে মোংলা বন্দরেরও।
স্বপ্ন ডালপালা মেলেছে বন্দর ব্যবহারে নেপাল ও ভুটানের আগ্রহ, নতুন ছয়টি জেটি নির্মাণের কাজ, খুলনা-মোংলা রেলপথসহ নানা প্রকল্পে। চলতি দশকের মধ্যেই নৌ, রেল ও সড়কপথের সমন্বয়ে ‘মাল্টিমোডাল’ হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এই গতিকে ধীর করেছে।
মোংলা বন্দরের পরিকল্পনাপ্রধান মো. জহিরুল হকের মতে, বাংলাদেশের একক প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পের ৭০ শতাংশ কারখানার অবস্থান ঢাকা ও এর আশপাশে। বাকি ৩০ শতাংশ চট্টগ্রামে। কিন্তু তৈরি পোশাকের শতভাগ রপ্তানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের কাছে মোংলা একপ্রকার ব্রাত্যই থেকে গেছে। তবে পদ্মা সেতু এই বন্দরের সামনে ভাগীদার হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। গত বছর ২৭টি প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাক মোংলা দিয়ে রপ্তানি করেছে।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫১৬টি জাহাজের ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন পণ্য ওঠানামা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে জাহাজের সংখ্যা ছিল ৮৮৬। ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্দরে ভেড়ে রেকর্ড ৯৭০টি জাহাজ। গত অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে এসেছে ২১ হাজার ৪৮৪টি গাড়ি।
বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের মূল সমস্যা অগভীরতা। খনন করা হয় বছরজুড়ে। কিন্তু পলি জমা রোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
আমরা এখনো ৭ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়াতে পারি। যদি সেটা ১০ মিটার ড্রাফটের করা যায়, তাহলে মোংলা বন্দরের চেহারাই বদলে যাবে। এ ছাড়া খুলনা-মোংলা রেলপথ চালু হওয়াও বন্দরের জন্য জরুরি।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ৫০টির বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে মোংলা বন্দর ঘিরে। বন্দরের জন্য স্বল্পমেয়াদি (২০২৫), মধ্যমেয়াদি (২০৪১) এবং দীর্ঘমেয়াদি (২০৭০)—এই তিন ধরনের কৌশলগত মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্থলবেষ্টিত দুই দেশ ভুটান ও নেপাল মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব আগেই দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। এই দুই দেশের পণ্য পরিবহনে মাঝে ভারতের স্থলভাগের একটি অংশ ব্যবহার হবে। এখন সেই অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) চুক্তির আওতায় বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে।
বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহীনুর আলম জানান, বন্দরে চলমান ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চ্যানেলে ৮ দশমিক ৫ সিডি গভীরতা অর্জিত হবে। এতে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ মোংলা বন্দরে ভেড়ানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া আরও ছয়টি কনটেইনার জেটি, কনটেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড, কনটেইনার ইয়ার্ড, মাল্টিলেভেল কার ইয়ার্ডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এবং ২০০টির বেশি হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম ও ১৪টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ করা হবে। এতে মোংলা বন্দরে বছরে প্রায় ৩ হাজার জাহাজ, ৮ লাখ টিইইউএস কনটেইনার এবং ৩০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা তৈরি হবে।
তবে বন্দরের বেশির ভাগ কর্মকর্তার মতে, সবকিছু ঠিকঠাক হলেও পলি জমার কারণ অনুসন্ধান এবং বঙ্গোপসাগর থেকে ১৪০ কিলোমিটারের নৌপথে মোংলা বন্দরের যে রুট, এখানে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। পশুর নদের মোহনায় লবণাক্ততার কারণে ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় পলি জমাও বেড়ে যাচ্ছে। পশুর চ্যানেলে ডুবে যাওয়া বিভিন্ন নৌযানের ধ্বংসাবশেষ এবং নদের দুই ধারে অব্যাহত পোল্ডার নির্মাণ কাজের কারণে এই সংকট আরও বাড়ছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নের কাজ চলমান রয়েছে। নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
যাত্রা শুরু চালনা নামে। ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর। নাম বদলে পরে মোংলা বন্দর। কাগজে-কলমে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের একচ্ছত্র দাপটে অনেকটাই ব্রাত্য হয়ে পড়ে মোংলা। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কয়েক কোটি মানুষের যোগাযোগ সহজ করেছে পদ্মা সেতু। এতে নতুন স্বপ্ন জাগে মোংলা বন্দরেরও।
স্বপ্ন ডালপালা মেলেছে বন্দর ব্যবহারে নেপাল ও ভুটানের আগ্রহ, নতুন ছয়টি জেটি নির্মাণের কাজ, খুলনা-মোংলা রেলপথসহ নানা প্রকল্পে। চলতি দশকের মধ্যেই নৌ, রেল ও সড়কপথের সমন্বয়ে ‘মাল্টিমোডাল’ হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এই গতিকে ধীর করেছে।
মোংলা বন্দরের পরিকল্পনাপ্রধান মো. জহিরুল হকের মতে, বাংলাদেশের একক প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পের ৭০ শতাংশ কারখানার অবস্থান ঢাকা ও এর আশপাশে। বাকি ৩০ শতাংশ চট্টগ্রামে। কিন্তু তৈরি পোশাকের শতভাগ রপ্তানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের কাছে মোংলা একপ্রকার ব্রাত্যই থেকে গেছে। তবে পদ্মা সেতু এই বন্দরের সামনে ভাগীদার হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। গত বছর ২৭টি প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাক মোংলা দিয়ে রপ্তানি করেছে।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫১৬টি জাহাজের ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন পণ্য ওঠানামা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে জাহাজের সংখ্যা ছিল ৮৮৬। ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্দরে ভেড়ে রেকর্ড ৯৭০টি জাহাজ। গত অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে এসেছে ২১ হাজার ৪৮৪টি গাড়ি।
বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের মূল সমস্যা অগভীরতা। খনন করা হয় বছরজুড়ে। কিন্তু পলি জমা রোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
আমরা এখনো ৭ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়াতে পারি। যদি সেটা ১০ মিটার ড্রাফটের করা যায়, তাহলে মোংলা বন্দরের চেহারাই বদলে যাবে। এ ছাড়া খুলনা-মোংলা রেলপথ চালু হওয়াও বন্দরের জন্য জরুরি।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ৫০টির বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে মোংলা বন্দর ঘিরে। বন্দরের জন্য স্বল্পমেয়াদি (২০২৫), মধ্যমেয়াদি (২০৪১) এবং দীর্ঘমেয়াদি (২০৭০)—এই তিন ধরনের কৌশলগত মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্থলবেষ্টিত দুই দেশ ভুটান ও নেপাল মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব আগেই দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। এই দুই দেশের পণ্য পরিবহনে মাঝে ভারতের স্থলভাগের একটি অংশ ব্যবহার হবে। এখন সেই অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) চুক্তির আওতায় বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে।
বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহীনুর আলম জানান, বন্দরে চলমান ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চ্যানেলে ৮ দশমিক ৫ সিডি গভীরতা অর্জিত হবে। এতে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ মোংলা বন্দরে ভেড়ানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া আরও ছয়টি কনটেইনার জেটি, কনটেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড, কনটেইনার ইয়ার্ড, মাল্টিলেভেল কার ইয়ার্ডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এবং ২০০টির বেশি হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম ও ১৪টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ করা হবে। এতে মোংলা বন্দরে বছরে প্রায় ৩ হাজার জাহাজ, ৮ লাখ টিইইউএস কনটেইনার এবং ৩০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা তৈরি হবে।
তবে বন্দরের বেশির ভাগ কর্মকর্তার মতে, সবকিছু ঠিকঠাক হলেও পলি জমার কারণ অনুসন্ধান এবং বঙ্গোপসাগর থেকে ১৪০ কিলোমিটারের নৌপথে মোংলা বন্দরের যে রুট, এখানে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। পশুর নদের মোহনায় লবণাক্ততার কারণে ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় পলি জমাও বেড়ে যাচ্ছে। পশুর চ্যানেলে ডুবে যাওয়া বিভিন্ন নৌযানের ধ্বংসাবশেষ এবং নদের দুই ধারে অব্যাহত পোল্ডার নির্মাণ কাজের কারণে এই সংকট আরও বাড়ছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নের কাজ চলমান রয়েছে। নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪