আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
আগৈলঝাড়ায় বেকার যুবকেরা সবজি চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের নিত্যদিনের চাহিদা পূরণ করে তা রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে শাকসবজির বাম্পার ফলন হওয়ায়, চাষিরা কম বিনিয়োগ করে বেশি লাভবান হওয়ার আশায় এ পেশার দিকে ঝুঁকেছেন।
উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের কালিপদ হালদারের ছেলে অমল, ডিগ্রি পাস করেছেন কয়েক বছর আগে। চাকরি নামের সোনার হরিণ ধরতে গিয়ে দুই বছর আগে ৩ লাখ টাকা উৎকোচ দেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্যে চাকরি জোটেনি; বরং ওই টাকার পুরোটাই গচ্চা গেছে। এরপর নিজের বেকারত্ব ঘোচাতে চার বিঘা জমি ইজারা নিয়ে শুরু করেন মাছ ও সবজি চাষ।
অমল হালদার বলেন, ‘১ লাখ টাকা ধারদেনা করে কোমরে গামছা বেঁধে নেমে পড়ি কৃষিকাজে। বছর ঘুরতেই আসল টাকা ঘরে আসে। এ ছাড়া আরও ২ লাখ টাকা লাভ হয় এতে।’
চলতি বছরে ইজারা নেওয়া ওই চার বিঘা জমির ওপর মাছের পাশাপাশি আলু চাষ করেন তিনি। আলু তোলার পরই সেখানে ঢ্যাঁড়স ও ঘেরের চারপাশে লাউ, করলা, বরবটি, শিম ইত্যাদি শাকসবজির চাষ করেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় নিরলস পরিশ্রমে বাম্পার ফলন পেয়েছেন সব ক্ষেত্রেই। করলার বাম্পার ফলনে খুশি অমল হালদার। প্রতিদিন গড়ে ২৫-৪০ মণ করলা বিক্রি হচ্ছে তাঁর খামার থেকে। এক দিন পরপর ৮-১২ মণ ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে।
অমল আরও বলেন, চলতি বছরে মাছ ও শাকসবজিতে ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এখন পর্যন্ত শুধু সবজিই বিক্রি হয়েছে ৩ লক্ষাধিক টাকার। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকলে আরও ২ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করা যাবে। বর্তমানে অমলের মৎস্য ও সবজি খামারে কাজ করে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন প্রায় ১৫ জন শ্রমিক।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভবিষ্যতে খামারের পরিধি আরও বাড়ানোর কথা জানান তিনি। শুধু অমল নয়, উপজেলার আস্কর, কাঠিরা, কুয়াতিয়ারপাড়, বাকাল, বারপাইকা, উজিরপুরের কারফা, বিলগাববাড়ি, ভাউধর, জল্লা, মুন্সিরতালুক, হারতা, জামবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় শাকসবজি চাষে আশাতীত ফলন পাওয়ায় চাষিরা ক্রমাগত এই পেশায় ঝুঁকে পড়ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকেরা আগে শুধু ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। বর্তমানে সবজি ও মাছ চাষে অনেক চাষিই ঝুঁকছেন। বিনা মূল্যে সার, বীজ, বিভিন্ন উপকরণ দেওয়াসহ মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
আগৈলঝাড়ায় বেকার যুবকেরা সবজি চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের নিত্যদিনের চাহিদা পূরণ করে তা রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে শাকসবজির বাম্পার ফলন হওয়ায়, চাষিরা কম বিনিয়োগ করে বেশি লাভবান হওয়ার আশায় এ পেশার দিকে ঝুঁকেছেন।
উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের কালিপদ হালদারের ছেলে অমল, ডিগ্রি পাস করেছেন কয়েক বছর আগে। চাকরি নামের সোনার হরিণ ধরতে গিয়ে দুই বছর আগে ৩ লাখ টাকা উৎকোচ দেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্যে চাকরি জোটেনি; বরং ওই টাকার পুরোটাই গচ্চা গেছে। এরপর নিজের বেকারত্ব ঘোচাতে চার বিঘা জমি ইজারা নিয়ে শুরু করেন মাছ ও সবজি চাষ।
অমল হালদার বলেন, ‘১ লাখ টাকা ধারদেনা করে কোমরে গামছা বেঁধে নেমে পড়ি কৃষিকাজে। বছর ঘুরতেই আসল টাকা ঘরে আসে। এ ছাড়া আরও ২ লাখ টাকা লাভ হয় এতে।’
চলতি বছরে ইজারা নেওয়া ওই চার বিঘা জমির ওপর মাছের পাশাপাশি আলু চাষ করেন তিনি। আলু তোলার পরই সেখানে ঢ্যাঁড়স ও ঘেরের চারপাশে লাউ, করলা, বরবটি, শিম ইত্যাদি শাকসবজির চাষ করেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় নিরলস পরিশ্রমে বাম্পার ফলন পেয়েছেন সব ক্ষেত্রেই। করলার বাম্পার ফলনে খুশি অমল হালদার। প্রতিদিন গড়ে ২৫-৪০ মণ করলা বিক্রি হচ্ছে তাঁর খামার থেকে। এক দিন পরপর ৮-১২ মণ ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে।
অমল আরও বলেন, চলতি বছরে মাছ ও শাকসবজিতে ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এখন পর্যন্ত শুধু সবজিই বিক্রি হয়েছে ৩ লক্ষাধিক টাকার। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকলে আরও ২ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করা যাবে। বর্তমানে অমলের মৎস্য ও সবজি খামারে কাজ করে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন প্রায় ১৫ জন শ্রমিক।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভবিষ্যতে খামারের পরিধি আরও বাড়ানোর কথা জানান তিনি। শুধু অমল নয়, উপজেলার আস্কর, কাঠিরা, কুয়াতিয়ারপাড়, বাকাল, বারপাইকা, উজিরপুরের কারফা, বিলগাববাড়ি, ভাউধর, জল্লা, মুন্সিরতালুক, হারতা, জামবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় শাকসবজি চাষে আশাতীত ফলন পাওয়ায় চাষিরা ক্রমাগত এই পেশায় ঝুঁকে পড়ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকেরা আগে শুধু ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। বর্তমানে সবজি ও মাছ চাষে অনেক চাষিই ঝুঁকছেন। বিনা মূল্যে সার, বীজ, বিভিন্ন উপকরণ দেওয়াসহ মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪