Ajker Patrika

তিন মাসে ৩ শতাধিক অবৈধ হাসপাতাল ও ল্যাব বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
তিন মাসে ৩ শতাধিক অবৈধ হাসপাতাল ও ল্যাব বন্ধ

কোনো হাসপাতালে ছিল না সনদধারী নার্স, কোথাও আবার নোংরা-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। অব্যবস্থাপনা আর নিবন্ধন না থাকার বিষয় তো আছেই। এসব অভিযোগে গত তিন মাসে চট্টগ্রামে তিন শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্র (প্যাথলজি ল্যাব) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত তিন দিনেই বন্ধ করা হয়েছে ৩৫টি। 
চলতি বছরের ২৬ অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এর প্রায় ৩ মাস পর, গত সোমবার থেকে আবারও অভিযানের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও অভিযান শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘পরিদর্শনে যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন হালনাগাদ নেই, ভ্যাট-ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে এবং নানা অনিয়ম দেখা যাচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের না জানিয়ে বা কোনো ধরনের আবেদন না করেই সেবা কার্যক্রম চালু করেছে, এমন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানও সিলগালা করে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে গত তিন মাসে আমরা ৩০০টিরও বেশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছি।’

যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে জানিয়ে সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘অভিযান শেষে একটি চিঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। যেসব হাসপাতাল-ল্যাব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সেগুলো যদি সীমাবদ্ধতা হালনাগাদ করে পুনরায় আবেদন করে, তাহলে তাদের খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু গোপনে যদি কার্যক্রম চালু করে তাহলে চির দিনের জন্য সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ 
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার নগরীর কালুরঘাট ও চান্দগাঁও এলাকায় ১০টি হাসপাতাল-ল্যাবে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে নয়টি চালু ছিল। বাকিটি এখনো কার্যক্রম চালু করেনি। এগুলোর মধ্যে দুটির কর্তৃপক্ষ অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত