Ajker Patrika

স্কুলশিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মে ২০২২, ১২: ৪৯
স্কুলশিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন

পিরোজপুরের কাউখালীতে স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক মিলনায়তনে ঢুকে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষকেরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার উপজেলার এগারো গ্রাম শিক্ষা নিকেতন রঘুনাথপুর স্কুলের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনী কার্যক্রমে মনোনয়নপত্র দাখিল করার শেষ দিন ছিল। এদিন শিক্ষক হাফিজুর রহমান প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনী কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় অভিভাবক গিয়াস উদ্দিন পলাশসহ কয়েকজন শিক্ষক মিলনায়তনে ঢুকে মনোনয়নপত্রের ফাইল দেখতে চাইলে শিক্ষক হাফিজুর রহমান প্রধান শিক্ষক ছাড়া ফাইল না দেওয়ার অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় গিয়াস উদ্দিন পলাশ শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষকেরা বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করার ঘোষণা দেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তানভির আহম্মেদ নাজমুল সাকিব বলেন, ‘আমি জরুরি কাজে বাইরে থাকায় দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষকের সঙ্গে ঝামেলা হয়। ন্যায়বিচারের জন্য শিক্ষকেরা ক্লাস বর্জন করেছেন এবং স্কুলের ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে দাখিল করেছেন।’

শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিলকারী কয়েকজন অভিভাবকসহ গিয়াস উদ্দিন পলাশ স্কুলের লাইব্রেরিতে ঢুকে মনোনয়নপত্র গ্রহণের ফাইল দেখতে চান। দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁরা আমাকে গালিগালাজ করে ও আমার গায়ের পোশাক ধরে টান দেন।’

অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন পলাশ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। শিক্ষকেরা একটি পকেট কমিটি তৈরি করার পাঁয়তারা করছিলেন।’

মনোনয়নপত্র দাখিলকারী কবির হোসেন সিকদার বলেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়ার পর কয়টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে জানতে চাইলে হাফিজুর রহমান ১৫ টির কথা বলেন। সন্দেহ হলে রেজিস্টার দেখতে চাইলে দেখাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। পরবর্তী সময় শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রেজিস্টার দেখান, সেখানে ৯টি মনোনয়নপত্র রেজিস্টার খাতায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। শিক্ষকেরা মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করেছেন।’

প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র অভিভাবক মতিউর রহমান বলেন, ‘আমি নিজেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য স্কুলে উপস্থিত ছিলাম। নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ায় দিতে পারিনি। এ সময় মনোনয়নপত্র দাখিলকারী অভিভাবকেরা কয়টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে জানতে চাইলে শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানাতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় বাগ্বিতণ্ডা হয়।’

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত