শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট নৌপথে বর্তমানে সাতটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের কারণে ঘাটে চাপ কম থাকলেও ঈদে পাল্টে যাবে চিত্র। তখন ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাবে। তবে ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মাঝিরঘাটে একমাত্র ঘাটের পাশেই নতুন আরেকটি ঘাট নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। নির্মাণকাজ শেষে ২৮ এপ্রিল থেকে নতুন ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপারের কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এ ছাড়া নতুন করে আরও তিনটি ফেরি বহরে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিআইডব্লিউটিসি।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার সঙ্গে শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট নৌপথ দিয়ে শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার হয়। বর্তমানে এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ থেকে ৬০০ যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। মাঝিরঘাট ফেরিঘাটে একটি ঘাট ব্যবহার করে সাতটি ছোট-বড় ফেরিতে এসব যানবাহন পারাপার করা হয়। ঈদ সামনে রেখে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে ১৯ এপ্রিল মাঝিরঘাট পরিদর্শনে এসে নতুন করে আরেকটি ঘাট নির্মাণের ঘোষণা দেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হয় নতুন ঘাটের নির্মাণকাজ। গতকাল শনিবার পর্যন্ত নির্মাণকাজ এগিয়েছে ৪০ শতাংশ। ইতিমধ্যে মাঝিরঘাটে স্থাপনের জন্য নতুন একটি পন্টুন নিয়ে আসা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল থেকে নতুন ঘাটসহ মোট দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু করা হবে। এ ছাড়া বহরে থাকা সাতটি ফেরির সঙ্গে আরও তিনটি নতুন ফেরি সংযুক্ত করে মোট ১০টি ফেরি দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যানবাহন পারাপার করা হবে।
শনিবার দুপুরে মাঝিরঘাট ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘাট এলাকায় চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। নতুন ফেরিঘাট নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শেষে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে বালু ভরাট করা হচ্ছে। একই স্থানে ইট আর বস্তা দিয়ে নির্মিত হওয়া সংযোগ সড়কের দুই প্রান্তে বাঁধ দিচ্ছেন শ্রমিকেরা। এ ছাড়া এখানে থাকা লঞ্চঘাট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। লঞ্চঘাটের জন্য ব্যবহার করা লোহার সেতু সরিয়ে নিচ্ছেন শ্রমিকেরা।
নির্মাণকাজ তদারকি করেছেন বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল আহমেদ। এ সময় প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ফয়সাল আহমেদের। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের আগে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে নতুন একটি ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। গত তিন দিনে নির্মাণকাজ ৪০ শতাংশ শেষ করা হয়েছে। আশা করি ২৭ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ২৮ এপ্রিল থেকে নতুন ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে।’
শরীয়তপুর থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকা যাওয়ার পথে ফেরিঘাটে কথা হয় নড়িয়ার ব্যবসায়ী নান্নু মাঝির সঙ্গে। তিনি জানান, নতুন করে আরও একটি ঘাট নির্মাণের ফলে দুর্ভোগ কিছুটা কমে আসবে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী ফেরির সংখ্যা বাড়ানো না হলে ঘাট বসিয়ে করে কোনো লাভ হবে না।
মাঝিরঘাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নেছার মাদবর বলেন, ‘এখানে একটি ঘাট থাকায় সব সময় যানবাহনের জট লেগেই থাকে। বিকেলের পরে ঘাটে থাকা যানবাহনের কারণে বাইরে বের হতে পারি না। হাট-বাজারে যেতে সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। নতুন ঘাটটি নির্মাণ করায় আশা করি যানবাহনের চাপ কমবে। যাত্রীদের পাশাপাশি আমাদেরও ভোগান্তি কমবে।’
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির মাঝিরঘাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘রাতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট বন্ধ থাকায় মাঝিরঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে মাঝিরঘাটে নতুন করে আরেকটি ফেরিঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘাটটি চালু হলে যানবাহন পারাপারে গতি ফিরে আসবে। আশা করি ঈদের সময় যাত্রীদের স্বাভাবিক সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’
শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট নৌপথে বর্তমানে সাতটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের কারণে ঘাটে চাপ কম থাকলেও ঈদে পাল্টে যাবে চিত্র। তখন ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাবে। তবে ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মাঝিরঘাটে একমাত্র ঘাটের পাশেই নতুন আরেকটি ঘাট নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। নির্মাণকাজ শেষে ২৮ এপ্রিল থেকে নতুন ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপারের কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এ ছাড়া নতুন করে আরও তিনটি ফেরি বহরে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিআইডব্লিউটিসি।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার সঙ্গে শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট নৌপথ দিয়ে শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার হয়। বর্তমানে এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ থেকে ৬০০ যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। মাঝিরঘাট ফেরিঘাটে একটি ঘাট ব্যবহার করে সাতটি ছোট-বড় ফেরিতে এসব যানবাহন পারাপার করা হয়। ঈদ সামনে রেখে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে ১৯ এপ্রিল মাঝিরঘাট পরিদর্শনে এসে নতুন করে আরেকটি ঘাট নির্মাণের ঘোষণা দেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হয় নতুন ঘাটের নির্মাণকাজ। গতকাল শনিবার পর্যন্ত নির্মাণকাজ এগিয়েছে ৪০ শতাংশ। ইতিমধ্যে মাঝিরঘাটে স্থাপনের জন্য নতুন একটি পন্টুন নিয়ে আসা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল থেকে নতুন ঘাটসহ মোট দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু করা হবে। এ ছাড়া বহরে থাকা সাতটি ফেরির সঙ্গে আরও তিনটি নতুন ফেরি সংযুক্ত করে মোট ১০টি ফেরি দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যানবাহন পারাপার করা হবে।
শনিবার দুপুরে মাঝিরঘাট ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘাট এলাকায় চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। নতুন ফেরিঘাট নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শেষে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে বালু ভরাট করা হচ্ছে। একই স্থানে ইট আর বস্তা দিয়ে নির্মিত হওয়া সংযোগ সড়কের দুই প্রান্তে বাঁধ দিচ্ছেন শ্রমিকেরা। এ ছাড়া এখানে থাকা লঞ্চঘাট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। লঞ্চঘাটের জন্য ব্যবহার করা লোহার সেতু সরিয়ে নিচ্ছেন শ্রমিকেরা।
নির্মাণকাজ তদারকি করেছেন বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল আহমেদ। এ সময় প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ফয়সাল আহমেদের। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের আগে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে নতুন একটি ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। গত তিন দিনে নির্মাণকাজ ৪০ শতাংশ শেষ করা হয়েছে। আশা করি ২৭ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ২৮ এপ্রিল থেকে নতুন ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে।’
শরীয়তপুর থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকা যাওয়ার পথে ফেরিঘাটে কথা হয় নড়িয়ার ব্যবসায়ী নান্নু মাঝির সঙ্গে। তিনি জানান, নতুন করে আরও একটি ঘাট নির্মাণের ফলে দুর্ভোগ কিছুটা কমে আসবে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী ফেরির সংখ্যা বাড়ানো না হলে ঘাট বসিয়ে করে কোনো লাভ হবে না।
মাঝিরঘাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নেছার মাদবর বলেন, ‘এখানে একটি ঘাট থাকায় সব সময় যানবাহনের জট লেগেই থাকে। বিকেলের পরে ঘাটে থাকা যানবাহনের কারণে বাইরে বের হতে পারি না। হাট-বাজারে যেতে সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। নতুন ঘাটটি নির্মাণ করায় আশা করি যানবাহনের চাপ কমবে। যাত্রীদের পাশাপাশি আমাদেরও ভোগান্তি কমবে।’
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির মাঝিরঘাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘রাতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট বন্ধ থাকায় মাঝিরঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে মাঝিরঘাটে নতুন করে আরেকটি ফেরিঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘাটটি চালু হলে যানবাহন পারাপারে গতি ফিরে আসবে। আশা করি ঈদের সময় যাত্রীদের স্বাভাবিক সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪