Ajker Patrika

টানা বৃষ্টি ও বাতাসে ফসলের ক্ষতির শঙ্কা

বাঘারপাড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৩১
Thumbnail image

যশোরের বাঘারপাড়ায় টানা ছয় দিনের বৃষ্টি ও হালকা বাতাসে ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমন চাষিরা। খেতে জমে থাকা পানিতে হেলে পড়েছে ধানগাছ। এভাবে কয়েক দিন পড়ে থাকলে ধানসহ গাছ পচে যাওয়ার শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।

তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, জমে থাকা পানি অপসারণের ব্যবস্থা করতে পারলে এবং রোদ উঠলে ধানগাছ আবার উঠে দাঁড়াবে। সে ক্ষেত্রে ধানের ক্ষতি হবে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দোহাকুলা, রায়পুর, নারিকেলবাড়ীয়া, জামদিয়া, দরাজহাট, বাসুয়াড়ি, বন্দবিলা, জহুরপুর, ধলগ্রাম ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ধানগাছ নুয়ে পড়েছে। এতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় অনেক কৃষক।

পৌর এলাকার মহিরণ গ্রামের কৃষক বাহা উদ্দীন বলেন, ‘এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। প্রতিবছরের চেয়ে এ বছর চাষাবাদে খরচ হয়েছে বেশি। ফলনও বেশ ভালোই হয়েছে। কিন্তু এই কয়দিনের গুঁড়ি বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। এভাবে থাকলে ধানগাছ আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না। সব শেষ হয়ে যাবে।’

একই গ্রামের কৃষক আশিক হোসেন বলেন, ‘আট কাঠা জমিতে আমনের চাষ করেছি। ধান এখনো পরিপক্ব হয়ে পারেনি। এরই মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর বাতাসে ধানগাছ এখন হেলে পড়েছে। একটানা ছয় দিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি জমে গেছে।’

রায়পুর ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামের কৃষক রিয়াজ উদ্দীন জানান, তিন বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন তিনি। কিন্তু ধানগাছ হেলে পড়ায় মাথায় এখন দুশ্চিন্তা তাঁর।

বাঘারপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুহুল আমিন বলেন, ‘এ বছর আমনের ফলন ভালো হয়েছে। গত ৬ দিনের এই গুঁড়ি বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে অনেক জমির ধানগাছ হেলে পড়েছে। তবে ফলনের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। রোদ উঠলে ধানগাছ আবার উঠে দাঁড়াবে। এতে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। তবে জমিতে পানি জমে থাকলে তা বের করে দিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত