Ajker Patrika

খাল নয়, সড়কেই সাঁকো

মুলাদী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ২৬
খাল নয়, সড়কেই সাঁকো

মুলাদীতে ভাঙা সড়কে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর খোকন মাস্টারের বাড়ি থেকে কুড়িরচর পর্যন্ত মাটির সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মিয়ারচর গ্রামটি নাজিরপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অংশ। এটি আড়িয়াল খাঁ নদী দিয়ে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। এই গ্রামে প্রায় ৩ হাজার মানুষের বাস। ৫-৬ বছর আগে স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য বিভিন্ন বরাদ্দ দিয়ে মিয়ারচর খোকন মাস্টারের বাড়ি থেকে কুড়িরচর পর্যন্ত মাটির রাস্তা তৈরি করেন। এই সড়ক দিয়ে ওই গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা মিয়ারচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর ইউনাইটেড কলেজে যাতায়াত করে।

দীর্ঘ দিন সড়কটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ফলে বৃষ্টির পানি, বিলের পানি এবং খালের পানিতে সড়কটি ধীরে ধীরে ভেঙে যায়। কিছু কিছু জায়গায় দিয়ে সড়ক নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। বড় ভাঙন স্থানে মাটি ভরাট না হওয়ায় গ্রামবাসী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন।

মিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা খোকন মাস্টার জানান, সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আগে এলাকার বেশির ভাগ লোক মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন অনেক ছেলে-মেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া শিখছে। মিয়ারচর থেকে কুড়িরচর পর্যন্ত সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বর্ষা মৌসুমে তাদের নৌকায় করে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। অনেক সময় অভিভাবকেরা নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে চলে গেলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।

মিয়ারচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোজিনা আক্তার বলেন, ভেঙে যাওয়ায় সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর। শুকনো মৌসুমে কোনো মতে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় ভোগান্তি হয় বেশি। কষ্টের জন্য অনেক সময় কাঁদা পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ইচ্ছে করে না।

নাজিরপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শায়লা শারমিন মিম্মু বলেন, মিয়ারচর এলাকাটি নাজিরপুর ইউনিয়নের মূলখণ্ড থেকে আড়িয়াল খাঁ নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন এবং অনেকটা অবহেলিত। এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে কয়েক বছর আগে কাঁচা সড়ক করার ব্যবস্থা করেছিলাম। এখন সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, ইউনিয়নের সব মানুষ সমান সুবিধা পাবেন। তাই মিয়ারচর গ্রামের ভাঙা সড়কটি সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত