Ajker Patrika

প্রথম শ্রেণির পৌরসভার ৮০ ভাগ সড়কই ভাঙা

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
প্রথম শ্রেণির পৌরসভার ৮০ ভাগ সড়কই ভাঙা

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ৮০ ভাগ সড়ক ভাঙাচোরা, খানাখন্দ আর গর্তে ভরা। ভেঙে পড়েছে নালা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন ও সড়কবাতি। সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। তবু এ পৌরসভা প্রথম শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।

নাগরিকদের অভিযোগ, পৌরসভার উন্নয়ন খাতে বাজেটে ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও দৃশ্যমান কোনো কাজই হয়নি। সব টাকা লুটপাট করা হয়েছে। নিয়মিত কর পরিশোধ করেও মিলছে না ন্যূনতম নাগরিক সুযোগ-সুবিধা।  

পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫২ সালে এ পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। এর লোকসংখ্যা বর্তমানে প্রায় তিন লাখ। আয়তন ৩৪ দশমিক ৮২ বর্গকিলোমিটার। পৌরসভার মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ২৫টি। মোট রাস্তার পরিমাণ ১৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা ১৫০ ও কাঁচা রাস্তা ২০ কিলোমিটার। 
শিক্ষা, শিল্প ও ব্যবসাসমৃদ্ধ হিসেবে খ্যাত সৈয়দপুর উপজেলার এ পৌরসভায় রয়েছে এ দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা, বিমানবন্দর, সেনানিবাস, ১০০ শয্যা হাসপাতাল, বাস টার্মিনাল, ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক শিল্প-কলকারখানা ছাড়াও রয়েছে সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজসহ আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ১৫টি ওয়ার্ডের প্রায় ১১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা বর্তমানে বেহাল হয়ে পড়েছে।

শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বিমানবন্দর সড়ক ছাড়া অধিকাংশ রাস্তার কার্পেটিং ও খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ শেরে বাংলা সড়কের তামান্না সিনেমা হল থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত অবস্থা খুবই খারাপ। কয়েক মাস আগে সংস্কার করা হলেও সড়কটির ইট, বালু ও খোয়া উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কসহ অন্যান্য সড়কের। এ ছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ণে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ফলে পৌরবাসীর ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে।

তাঁরা বলছেন, প্রতিবার নির্বাচনের আগে পৌরসভার মেয়রসহ জনপ্রতিনিধিরা নানা সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দেন। বছরের পর বছর গেলেও ভালো কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

শহরের ইসলাম এলাকায় রিকশাচালক আতাবুল ইসলাম বলেন, শহরে এমন কোনো রাস্তা নেই, যেখানে ভাঙাচোরা নাই। রিকশা চালাতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। কবে এসব রাস্তাঘাট ঠিক হবে কে জানে।

গোলাহাট এলাকার বাসিন্দা জুলফিকার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘এটি কাগজে-কলমেই শুধু প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। আমরা সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটের আগে নানা রকম সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দিলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেন না।’

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান বেবি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো বরাদ্দ না পাওয়ায় রাস্তার বড় সংস্কারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা এরই মধ্যে প্রায় তিন কোটি টাকার রাস্তার কাজ করেছি।’

সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ৬ থেকে ৭ বছর আগে কাজ হওয়া রাস্তাগুলোর সংস্কার না হওয়ায় অবস্থা খুবই খারাপ। রেজিলেন্ট আরবান টিউটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের টাকা এলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত