তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
সকাল থেকে রাত অবধি ব্যস্ত থাকে রাজধানীর বেশির ভাগ সড়ক। বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, ট্রাফিক আইন অমান্যসহ নানা কারণে প্রতিদিনই এসব সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। উল্টো সড়ক দুর্ঘটনা এবং এতে হতাহতের সংখ্যাও নিত্যদিন বাড়ছে। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছর ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ১৯ শতাংশ বেড়েছে।
এআরআইয়ের তথ্য বলছে, এ বছর সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়েছে ১৩ শতাংশ। তবে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ ভাগ কমেছে। বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে মাইক্রোবাস, মিনিবাস, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, কার, জিপ, মোটরসাইকেল, লেগুনা ও লরিতে।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা আরেক সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলেছে, রাজধানীতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসে ৬৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৫৯ জন এবং আহত হয়েছেন ২৮ জন। এর মধ্যে অক্টোবরে ১১ জন, নভেম্বরে ১৭ জন এবং ডিসেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এসব পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকায় গত কয়েক মাসে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু বেড়েছে।
গত কয়েক দিন রাজধানীর সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়ারী এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় স্বপন কুমার সরকার নামে একজন নিহত হয়েছেন। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর বনশ্রীর-ডেমরা সড়কের মেরাদিয়ায় ফেমাস হাসপাতালের সামনে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত মঙ্গলবার রামপুরা ব্রিজের ঢালে ট্রাক চাপায় চন্দ্র মোহন দাস নামে এক ব্যক্তি মারা যান। গত বুধবার গুলিস্তানে দিশারি পরিবহনের বাসের ধাক্কায় আহত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
দুর্ঘটনা বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নগর পরিবহনগুলো বেপরোয়া হয়ে গেছে, ফলে ঢাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে। একই সঙ্গে নগরীতে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা নেই। সড়কে বেড়েছে মোটরসাইকেল ও রিকশার সংখ্যা। দুর্ঘটনা কমাতে হলে গণপরিবহন উন্নত করে নগরীতে রিকশা ও মোটরসাইকেল কমাতে হবে। একই সঙ্গে ঢাকার বাইরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত কমাতে হবে। রাজধানীতে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য পৃথক গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করে ব্যক্তিগত গাড়ি নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রধান সড়কগুলোতে গণপরিবহনের জন্য আলাদা লেন করতে হবে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণপরিবহনের নৈরাজ্য এবং যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকা বর্তমানে বসবাস অনুপযোগী শহরের তালিকায়। এখানে পিক আওয়ারে যানবাহনের গড় গতিবেগ ৫ কিলোমিটার। রাজধানীর সড়কের ৭০ শতাংশ দখল করে চলে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা। ৩০ শতাংশেরও কম জায়গায় চলে গণপরিবহন। অথচ ব্যক্তিগত গাড়ি মাত্র ১১ শতাংশ যাত্রী বহন করে, আর গণপরিবহন বহন করে ৪৯ শতাংশ যাত্রী। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে রাজধানীতে একটি নিরাপদ, জনবান্ধব ও টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার কথা বলা হচ্ছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২০ সালে লকডাউন থাকার কিছুটা সময় রাজধানীতে গাড়ি কম চলছে, ফলে দুর্ঘটনা কম হয়েছে। তবে ২০২১ সালে সে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। সড়ক অবকাঠামো ঠিক করার পাশাপাশি গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। যখন সড়কে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি গাড়ি চলাচল করবে, তখনই দুর্ঘটনা ঘটবে। গাড়ির সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নীতিমালার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। ঢাকা শহরে প্রাইভেট কারসহ ছোট ছোট যানবাহন যেমন, রিকশা, সিএনজি এসব বাহনের দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বেড়েছে। একই সঙ্গে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান দুর্ঘটনাও বেড়েছে। গাড়ির চালকদের দক্ষতার বিষয়ে আরও মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। সে ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়াটাও আরও সঠিকভাবে হওয়া উচিত। তাহলে দুর্ঘটনা কমবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা শহরে যে পরিমাণ সড়ক আছে তাতে কী পরিমাণ যানবাহন চলছে এবং কী পরিমাণ চলা উচিত তা নিয়ে কোনও সমীক্ষা নেই।
সকাল থেকে রাত অবধি ব্যস্ত থাকে রাজধানীর বেশির ভাগ সড়ক। বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, ট্রাফিক আইন অমান্যসহ নানা কারণে প্রতিদিনই এসব সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। উল্টো সড়ক দুর্ঘটনা এবং এতে হতাহতের সংখ্যাও নিত্যদিন বাড়ছে। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছর ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ১৯ শতাংশ বেড়েছে।
এআরআইয়ের তথ্য বলছে, এ বছর সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়েছে ১৩ শতাংশ। তবে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ ভাগ কমেছে। বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে মাইক্রোবাস, মিনিবাস, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, কার, জিপ, মোটরসাইকেল, লেগুনা ও লরিতে।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা আরেক সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলেছে, রাজধানীতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসে ৬৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৫৯ জন এবং আহত হয়েছেন ২৮ জন। এর মধ্যে অক্টোবরে ১১ জন, নভেম্বরে ১৭ জন এবং ডিসেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এসব পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকায় গত কয়েক মাসে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু বেড়েছে।
গত কয়েক দিন রাজধানীর সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়ারী এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় স্বপন কুমার সরকার নামে একজন নিহত হয়েছেন। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর বনশ্রীর-ডেমরা সড়কের মেরাদিয়ায় ফেমাস হাসপাতালের সামনে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত মঙ্গলবার রামপুরা ব্রিজের ঢালে ট্রাক চাপায় চন্দ্র মোহন দাস নামে এক ব্যক্তি মারা যান। গত বুধবার গুলিস্তানে দিশারি পরিবহনের বাসের ধাক্কায় আহত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
দুর্ঘটনা বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নগর পরিবহনগুলো বেপরোয়া হয়ে গেছে, ফলে ঢাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে। একই সঙ্গে নগরীতে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা নেই। সড়কে বেড়েছে মোটরসাইকেল ও রিকশার সংখ্যা। দুর্ঘটনা কমাতে হলে গণপরিবহন উন্নত করে নগরীতে রিকশা ও মোটরসাইকেল কমাতে হবে। একই সঙ্গে ঢাকার বাইরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত কমাতে হবে। রাজধানীতে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য পৃথক গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করে ব্যক্তিগত গাড়ি নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রধান সড়কগুলোতে গণপরিবহনের জন্য আলাদা লেন করতে হবে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণপরিবহনের নৈরাজ্য এবং যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকা বর্তমানে বসবাস অনুপযোগী শহরের তালিকায়। এখানে পিক আওয়ারে যানবাহনের গড় গতিবেগ ৫ কিলোমিটার। রাজধানীর সড়কের ৭০ শতাংশ দখল করে চলে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা। ৩০ শতাংশেরও কম জায়গায় চলে গণপরিবহন। অথচ ব্যক্তিগত গাড়ি মাত্র ১১ শতাংশ যাত্রী বহন করে, আর গণপরিবহন বহন করে ৪৯ শতাংশ যাত্রী। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে রাজধানীতে একটি নিরাপদ, জনবান্ধব ও টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার কথা বলা হচ্ছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২০ সালে লকডাউন থাকার কিছুটা সময় রাজধানীতে গাড়ি কম চলছে, ফলে দুর্ঘটনা কম হয়েছে। তবে ২০২১ সালে সে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। সড়ক অবকাঠামো ঠিক করার পাশাপাশি গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। যখন সড়কে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি গাড়ি চলাচল করবে, তখনই দুর্ঘটনা ঘটবে। গাড়ির সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নীতিমালার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। ঢাকা শহরে প্রাইভেট কারসহ ছোট ছোট যানবাহন যেমন, রিকশা, সিএনজি এসব বাহনের দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বেড়েছে। একই সঙ্গে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান দুর্ঘটনাও বেড়েছে। গাড়ির চালকদের দক্ষতার বিষয়ে আরও মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। সে ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়াটাও আরও সঠিকভাবে হওয়া উচিত। তাহলে দুর্ঘটনা কমবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা শহরে যে পরিমাণ সড়ক আছে তাতে কী পরিমাণ যানবাহন চলছে এবং কী পরিমাণ চলা উচিত তা নিয়ে কোনও সমীক্ষা নেই।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫